363101

রায়ের পর যা বললেন জায়েদ খান

বিনোদন ডেস্ক।। চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনে সাধারণ সম্পাদক পদে জায়েদ খানের প্রার্থিতা বৈধ বলে আজ বুধবার রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট। বিচারপতি মামনুন রহমান ও বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।

আদালতে জায়েদ খানের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট আহসানুল করিম ও অ্যাডভোকেট নাহিদ সুলতানা যুথি। আর নিপুণের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার রোকন উদ্দিন মাহমুদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল সেলিম আজাদ।

রায়ের পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন জায়েদ খান। এসময় তিনি বলেন, ‘আমি সবার আগে কৃতজ্ঞতা জানাই, মহান সৃষ্টিকর্তার প্রতি। তারপর আমি ধন্যবাদ জানাই, প্রধানমন্ত্রীর প্রতি, যার শাসনামলে আজকে ন্যায় বিচার দেখলাম। হাইকোর্টের প্রতি আমি কৃতজ্ঞতা জানাই, যিনি আমাকে ন্যায়বিচার দিয়েছেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘ভোটে নির্বাচিত হওয়ার পরও আমি আমার আসনে বসতে পারছিলাম না। তখন আমি আইনজীবী আহসানুল করিম ও নাহিদ সুলতানা যুথীর কাছে আসি। এ আইনজীবীরা দায়িত্বের বাইরে থেকেও আমার জন্য খেটেছেন। আমার আইনজীবীদের প্রতি আমি আমৃত্যু কৃতজ্ঞ।’

ভক্তদের প্রতিও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন জায়েদ খান। তিনি জানান, অনেকেই তার জন্য নফল রোজা রেখেছেন, তাদের প্রতি তিনি কৃতজ্ঞ। আজকে গিয়েই দায়িত্ব গ্রহণ করবেন বলেও জানান তিনি।

জায়েদ খান আরও বলেন, ‘আমার জনপ্রিয়তাকে তারা ঈর্ষা করছেন। আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র তারা চালিয়ে যাবে। শিল্পী সমিতির নির্বাচন শুধু একটা মালা বদলের পালা মাত্র। নিপুণের উচিত ছিল নির্বাচনকে মেনে নিয়ে ফুল দিয়ে আমাকে বরণ করা। সেটা না করে এটা বাধাগ্রস্ত করছে।’

এদিকে, রায় ঘোষণার পর ফেসবুকে তিনবার ‘আলহামদুলিল্লাহ’ লিখেছেন এই চিত্রনায়ক।

উল্লেখ্য, গত ২৮ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত নির্বাচনে ১৭৬ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন চিত্রনায়ক জায়েদ খান। নিপুণ আক্তার পান ১৬৩ ভোট। এরপর টাকা দিয়ে ভোট কেনাসহ একাধিক অভিযোগ আনেন নিপুণ। পরে জায়েদের প্রার্থিতা বাতিল চেয়ে শিল্পী সমিতির আপিল বোর্ডে আবেদন করেন নিপুণ। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ে করণীয় জানতে আবেদন করেন আপিল বোর্ডের চেয়ারম্যান সোহানুর রহমান সোহান।

আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত ২ ফেব্রুয়ারি সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক চিঠিতে আপিল বোর্ডকে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়। ৫ ফেব্রুয়ারি অর্থের বিনিময়ে ভোট কেনার দায়ে বিজয়ী প্রার্থী জায়েদ খানের প্রার্থিতা বাতিল করেন আপিল বোর্ডের চেয়ারম্যান সোহানুর রহমান সোহান। একই সঙ্গে নিপুণকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সাধারণ সম্পাদক ঘোষণা দেন।

এরপর আপিল বোর্ডের চেয়ারম্যানের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হন জায়েদ খান। গত ৭ ফেব্রুয়ারি আপিল বোর্ডের দেওয়া সিদ্ধান্ত স্থগিত করে আদেশ দেন হাইকোর্ট। এর বিরুদ্ধে আপিল বিভাগের চেম্বার আদালতে আবেদন করেন নিপুণ। পরে গত ৯ ফেব্রুয়ারি শুনানি শেষে হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত করে শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক পদে স্থিতাবস্থা জারি করেন চেম্বার আদালত।

 

ad

পাঠকের মতামত