363002

আমাকে মার্ডার মামলায় ফাঁসানোর চেষ্টা হয়েছে: জায়েদ খান

বিনোদন ডেস্ক।। চিত্রনায়ক জায়েদ খানের প্রার্থিতা বাতিল করে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনের আপিল বোর্ডের দেওয়া সিদ্ধান্ত স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। পাশাপাশি চিত্রনায়িকা নিপুণের সাধারণ সম্পাদক পদও স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট।

বিচারপতি মামনুন রহমান ও বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামান সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ সোমবার রুলসহ এই আদেশ দেন। রুলে প্রার্থিতা বাতিলের সিদ্ধান্ত কেন অবৈধ হবে না, তা এক সপ্তাহের মধ্যে সংশ্লিষ্ট বিবাদীদের জানাতে বলা হয়েছে। আপিল বোর্ড, সমাজ সেবা অধিদপ্তরের সংশ্লিষ্টদের আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

আদালতের এই আদেশে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন জায়েদ খান। তিনি বলেছেন, তিনি ন্যায়বিচার পেয়েছেন।

মহামান্য হাইকোর্ট ও প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়ে জায়েদ খান বলেন, নির্বাচনী প্রচারণাকালীন আমাকে মার্ডারের মামলায় ফাঁসানোর চেষ্টা করা হয়েছে।

আদালতের আদেশ শেষে সোমবার দুপুরে সাংবাদিকদের জায়েদ খান বলেন, আমি সুষ্ঠু ও সুন্দর নির্বাচনে জয়লাভ করেছি। নিপুণের সব অভিযোগ অবৈধ ও মনগড়া। নির্বাচনের শুরুতেই আমাকে মার্ডারের মামলায় ফাঁসানোর চেষ্টা করা হয়েছে অবৈধভাবে। সেটাও তাদের একটা কৌশল ছিল। আমার সঙ্গে অন্যায় করা হয়েছে সেখানে। শুরু থেকেই বিভিন্নভাবে আমার পথ রোধ করার চেষ্টা করেছে তারা।

তিনি অরও বলেন, আমি পর পর দুইবার শিল্পীদের ভোটে সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচিত। তৃতীয়বারও আমি এগারোটি পদে জিতেছি। তারা ১০টি পদে জিতেছে। ২৯ তারিখে তাদের দাবিতে আমাদের সবার উপস্থিতিতে ব্যালট পুর্নগণনা হলো। সেখানেও আমার জয় নিশ্চিত হয়েছে। চূড়ান্তভাবে আমাকে বিজয়ী ঘোষণা করল নির্বাচন কমিশন। আমাদের তফসিল অনুযায়ী ৩০ তারিখে চূড়ান্ত ঘোষণা পর নির্বাচন কমিশন অকার্যকর হয়ে যায়। এরপর তারা নিজেরা উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে মন্ত্রণালয়ে একটি চিঠি পাঠিয়েছে যেটা সংবিধান ও তফসিলে কোথাও উল্লেখ নাই। এরপর আমাকে কোনো নোটিশ করেন নাই সোহান ভাই। উনি নিজে নিজেই নিপুণকে নিয়ে একটা মিটিং ডেকে বিচারক হয়েও নিপুণকে হাত ধরে বিজয়ী ঘোষণা করেন।

জায়েদ খান বলেন, আমি নাকি ২ হাজার টাকায় ভোট কিনেছি। মাত্র ২ হাজার টাকায় কোনো শিল্পীর ভোট কেনা যায়! এ অভিযোগ তুলে নিপুণ সমস্ত শিল্পীকে অপমান করেছেন।

উল্লেখ্য, সোমবার সকালে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি নির্বাচনের আপিল বোর্ডের প্রার্থিতা বাতিলের সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে আবেদন করেন চিত্রনায়ক জায়েদ খান। দুপুরেই তার পক্ষে আদেশ আসে। উৎস: সমকাল।

 

ad

পাঠকের মতামত