362945

নেতাকর্মীদের ধাক্কাধাক্কি: ভেঙে পড়ল বিএনপির সমাবেশ মঞ্চ (ভিডিও)

নিউজ ডেস্ক।। বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি ও বিদেশে উন্নত চিকিৎসার দাবিতে ডাকা চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির সমাবেশ মঞ্চ নেতাকর্মীদের ধাক্কাধাক্কিতে ভেঙে পড়েছে।

চট্টগ্রাম-১৩ (আনোয়ারা-কর্ণফুলী) আসনের এমপি ও বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য সরওয়ার জামাল নিজামকে লাঞ্চিত করে নিজ দলের নেতাকর্মীরা। এ সময় নেতাকর্মীদের ধাক্কাধাক্কিতে অনুষ্ঠানে ভেঙে পড়ে সভা মঞ্চ।

বুধবার দুপুর একটার দিকে চট্টগ্রামের কর্ণফুলী উপজেলার সিডিএ আবাসিক এলাকা মাঠে অনুষ্ঠিত সভায় এ ঘটনা ঘটে। আহতদের নেতাকর্মীরা ঘটনাস্থল থেকে সরিয়ে নেন।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেওয়ার সময় আনোয়ারা উপজেলার বিএনপির নেতা হেলাল ও মোস্তাফিজ সমর্থিত ফারুক নামের এক বিএনপি কর্মী মঞ্চে বসে থাকা সাবেক এমপি সরওয়ার জামাল নিজামের ওপর হামলা চালায়।

এ সময় তার শার্ট ও গেঞ্জি ছিঁড়ে ফেলা হয়। পরে এমপি নিজাম আমাকে বাঁচাও বাঁচাও বললে নেতাকর্মীরা এগিয়ে সরওয়ার জামাল নিজামকে গাড়িতে তুলে দেন। এ সময় নেতাকর্মীদের ধাক্কাধাক্কিতে হঠাৎ মঞ্চ ভেঙে পড়ে।

তবে এ সময় আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বক্তব্য দেওয়া বন্ধ রাখেননি। বক্তব্যের একপর্যায়ে আমীর খসরু বলেন, দক্ষিণ জেলার আজকের সমাবেশে বাঁধ ভেঙেছে সরকার পতন আন্দোলনের। কিছুতেই জনগণকে আটকে রাখা যাবে না। এত লোকের সমাবেশ, মঞ্চ তো ভাঙবেই। আন্দোলন বন্ধ হবে না, চলতে থাকবে।

তিনি আরও বলেন, ১৪৪ ধারার দিন শেষ হয়ে গেছে। দফায় দফায় অনুমতি নিয়ে জনসভার দিন শেষ হয়ে গেছে। দেশের মানুষ আজ ঐক্যবদ্ধ। তিনি বলেন, ঘুঘুর ফাঁদ দক্ষিণ চট্টগ্রাম থেকে উম্মোচন করা হবে। ফাঁদ অনেক বসিয়েছেন। এখন আর বসার সময় নাই। আমরা খালেদা জিয়ার মুক্তি চাই না, আমরা খালেদা জিয়াকে মুক্ত করে আনব।

বিএনপির নেতা ও সাবেক এমপি লাঞ্চিত হওয়ার বিষয়ে কর্ণফুলী উপজেলা বিএনপির সভাপতি মামুন মিয়া সমকালকে বলেন, দীর্ঘদিন ধরে তিনি নেতাকর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ না রাখায় নেতাকর্মীরা ক্ষুব্ধ। তবে কর্ণফুলী উপজেলার কোনো নেতাকর্মী তাকে লাঞ্চিত করেননি। যারা লাঞ্চিত করেছে তারা সবাই আনোয়ারার।

এদিকে সমাবেশের শুরুর দিকে জনসভায় সরওয়ার জামাল নিজাম বক্তব্য দেওয়ার সময় নেতাকর্মীদের ভুয়া-ভুয়া স্লোগান দিতে দেখা যায়।

চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সুফিয়ানের সভাপতিত্বে সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক, কেন্দ্রীয় যুবদলের সভাপতি সাইফুল আলম নীরব, দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি জাফরুল ইসলাম চৌধুরী, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাশেম, সাবেক এমপি গাজী শাহজাহান জুয়েল, দক্ষিণ জেলা বিএনপি নেতা এনামুল হক এনাম প্রমুখ।

কর্ণফুলী থানার ওসি দুলাল মাহমুদ বলেন, সকাল থেকে বিএনপির নেতাকর্মীরা সমাবেশে আসতে শুরু করে। সমাবেশ শুরু হওয়ার কিছুক্ষণ পরই দুপুরে তারা মারামারিতে জড়ান। বিএনপির এক নেতা লাঞ্ছিত হয়েছেন বলে শুনেছি। তবে এ ঘটনায় কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি।

দক্ষিণ চট্টগ্রামের আনোয়ারা, পটিয়া, বোয়ালখালী, বাঁশখালী, সাতকানিয়া, লোহাগাড়া, চন্দনাইশ ও কর্ণফুলী উপজেলা থেকে আসা নেতাকর্মীরা সমাবেশে যোগ দেন। উৎস: সমকাল।

 

ad

পাঠকের মতামত