ইউপি নির্বাচন: স্বামী-স্ত্রীর ভোটযুদ্ধ
নিউজ ডেস্ক।। আগামী ৫ জানুয়ারি পঞ্চম ধাপের ইউপি নির্বাচনে গাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলার কঞ্চিপাড়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে স্বামী ও স্ত্রী দুজনেই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
ইতোমধ্যে তাদের প্রতীক বরাদ্দ প্রদান করা হয়েছে। স্বামীর বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে স্ত্রী পেয়েছেন টেলিফোন প্রতীক আর স্বামী পেয়েছেন চশমা। সস্ত্রীক নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করায় এলাকায় ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ গুঞ্জন উঠেছে।
উপজেলার কঞ্চিপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান লিটন মিয়া ও তার স্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন শম্পা দুজনে ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। উপজেলা নির্বাচন অফিসার ও কঞ্চিপাড়া ইউনিয়নের রিটার্নিং অফিসার প্রার্থীদের চাহিদা মোতাবেক গত ২০ ডিসেম্বর লিটন মিয়াকে প্রতীক হিসেবে চশমা ও সাবিনা ইয়াসমিন শম্পাকে টেলিফোন প্রতীক বরাদ্দ দিয়েছেন। কঞ্চিপাড়া ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানে লিটন মিয়া প্রতীক সংবলিত পোস্টার দেখা গেলেও ছাবিনা ইয়াসমিন শম্পার পোস্টার এখনও দেখা যায়নি। স্বামী-স্ত্রী চেয়ারম্যান পদে লড়াই করায় ওই ইউনিয়নের ভোটারদেরকে বেশ গোলকধাঁধায় ফেলেছে।
এ বিষয়ে সাবিনা ইয়াসমিন শম্পার সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি। তবে তার স্বামী লিটন মিয়া বলেন, নির্বাচনের একটা কৌশল হিসেবে আমার স্ত্রী প্রার্থী হয়েছে। তবে তার পক্ষে প্রচার-প্রচারণা চালানো হবে না।
স্বামী স্ত্রী দু’জন ছাড়াও কঞ্চিপাড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান প্রার্থীরা হলেন, আওয়ামী লীগ মনোনিত সোহেল রানা শালু, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মনোনীত আবদুল মান্নান। স্বতন্ত্র প্রার্থীরা হলেন, রাজিব রায়হান, রেজাউল করিম, রেদওয়ান আশরাফ হোসেন, মেহেদী হাসান, রফিকুল ইসলাম ও গোলাম কিবরিয়া সবুজ। আগামী ৫ জানুয়ারি পঞ্চম ধাপের ইউপি নির্বাচনে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
