362754

বিবস্ত্র করে ধর্ষণচেষ্টা, রায়ে সন্তুষ্ট নন সেই গৃহবধূ

নিউজ ডেস্ক।। নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে বিবস্ত্র করে ধর্ষণচেষ্টা ও নির্যাতনের মামলায় আদালত যে রায় দিয়েছেন তাতে রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি ও বাদীর আইনজীবী সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। তবে ভুক্তভোগী সেই গৃহবধূ জানিয়েছেন তিনি রায়ে সন্তুষ্ট নন।

এ মামলায় আজ মঙ্গলবার ১২টা ১০ মিনিটে দেলোয়ার বাহিনীর প্রধান দেলোয়ার হোসেন ওরফে দেলুসহ অভিযোগপত্রভুক্ত ১৩ আসামির সবাইকে কারাদণ্ড দিয়েছেন নোয়াখালীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১-এর বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) জয়নাল আবেদীন। একইসঙ্গে তাদের প্রত্যেককে ১০ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড এবং ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরও তিন মাস করে সশ্রম কারাদণ্ড দেন আদালত।

দণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা হলেন- নুর হোসেন বাদল, আবদুর রহিম ওরফে রহিম, সামছুদ্দিন ওরফে সুমন, মোহাম্মদ আলী ওরফে আবু কালাম, ইস্রাফিল হোসেন ওরফে মিয়া, মাঈন উদ্দিন ওরফে সাজু, আবদুর রব ওরফে চৌধুরী মিয়া ওরফে লম্বা চৌধুরী, মোস্তাফিজুর রহমান, জামাল উদ্দিন ওরফে প্রবাসী জামাল, নুর হোসেন ওরফে রাসেল, মিজানুর রহমান ওরফে তারেক, আনোয়ার হোসেন ওরফে সোহাগ ও দেলোয়ার হোসেন।

গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে আলাপকালে ওই গৃহবধূ বলেন, ‘আমি এ রায়ে সন্তুষ্ট নই। তাদের যেন যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়। হাইকোর্ট থেকে যেন তারা জামিন না পান, এটাই আমার কথা।’

রায় ঘোষণাকালে বিচারক জানান, বেগমগঞ্জ থানার এ মামলায় প্রত্যক্ষ কোনো সাক্ষী ছিলেন না। কিন্তু এ মামলায় সাতজন আসামি ১৬৪ ধারায় আদালতে দেওয়া জবানবন্দিতে নিজেদের এবং অপর আসামিদের দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন সরকারি কৌঁসুলি মামুনুর রশিদ। বাদী পক্ষে আদালতে রাষ্ট্রপক্ষকে সহায়তা করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী, জেলা বারের সাবেক সভাপতি মোল্লা হাবিবুর রাছুল ও কল্পনা রানী দাস। আর আসামি পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন আবদুল কাইয়ুম, জসিম উদ্দিন ও মো. আলী সহিদ।

গত বছরের ২ সেপ্টেম্বর দেলোয়ার বাহিনীর প্রধান দেলোয়ার হোসেন ওরফে দেলুসহ ১৪-১৫ জন দুর্বৃত্ত জোর করে গৃহবধূর ঘরে ঢুকে তাকে বিবস্ত্র করে ধর্ষণের চেষ্টা চালায় এবং পুরো ঘটনাটি ভিডিওচিত্র ধারণ করে রাখে। এ ঘটনার পর দেলোয়ার বাহিনীর সদস্যরা ওই নারীকে পুনরায় অনৈতিক প্রস্তাব দেয়। তাদের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় নির্যাতনের ৩২ দিন পর গত বছরের ৪ অক্টোবর অভিযুক্ত ব্যক্তিরা ভিডিওচিত্রটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়। নির্যাতনের ঘটনায় ওই গৃহবধূ বাদী হয়ে গত বছরের ৪ অক্টোবর রাতে দেলোয়ার বাহিনীর ৯‍ সদস্যের নাম উল্লেখ করে বেগমগঞ্জ থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা করেন। পরে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) মামলাটি তদন্ত করে।

 

ad

পাঠকের মতামত