362247

বাংলাদেশের সেমির স্বপ্ন ধুলিসাৎ

খেলাধূলা ডেস্ক।। নানা সমীকরণের হিসেবে বিশ্বকাপের সুপার টুয়েলভে যেতে শেষ দুই ম্যাচে বাংলাদেশের সামনে জয়ের বিকল্প ছিল না। পেসার তাসকিন আহমেদের দুর্দান্ত ঝলকের দিনে নিজেদের চতুর্থ ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে হেরে সেই সব স্বপ্ন একেবারই ধুলিসাৎ হলো টাইগারদের।

টানা চার পরাজয়ে বিশ্বকাপের সেমি-ফাইনাল তো দূরে থাক, আগামী বিশ্বকাপের মূল পর্বের টিকিটও হাত ছাড়া হতে যাচ্ছে মাহমুদউল্লাহদের।

আজ মঙ্গলবার আবুধাবির শেখ জায়েদ আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ৬ উইকেট হাতে রেখে জিতেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। বাংলাদেশের দেওয়া ৮৫ রানের লক্ষ্য ৬ ওভার তিন বল বাকি থাকতেই পেরিয়ে যায় প্রোটিয়ারা। চার ম্যাচের তিনটিতে জিতেছে সেমির আশা বাঁচিয়ে রাখলো তারা।

বাংলাদেশের দেওয়া লক্ষ্য তাড়ায় শুরুটা ভালো হয়নি দক্ষিণ আফ্রিকার। মাত্র ৮ রানে তাসকিনের শিকার হয়ে সাজঘরে ফেরেন রেজা হেন্ডরিকস। আরেক ওপেনার কইন্টন ডি কককে ব্যক্তিগত ১৫ রানে প্যাভিলিয়নে ফেরান শেখ মেহেদী হাসান। দলীয় ৩৩ রানের মাথায় ফর্মে থাকা এইডেন মারক্রামকে শূন্য রানে ফেরান তাসকিন।

তিন উইকেট হারিয়ে কিছুটা চাপে পড়ার পর ব্যাট হাতে প্রতিরোধ গড়েন রসি ফন ডার ডুসেন ও টেম্বা বাভুমা। তাদের ৪৭ রানের জুটিতে জয়ের নিকট পৌঁছে যায় প্রোটিয়ারা। যদিও নাসুমের শিকার হয়ে তার আগেই সাজঘরে ফেরেন ডুসেন। ২৭ বলে ২২ রান তোলেন তিনি। শেষের দিকে বাভুমার অপরাজিত ৩১ রানে ভর করে জয় নিশ্চিত করে দক্ষিণ আফ্রিকা।

এর আগে, টসে হেরে ব্যাট করতে এসে শুরুটা ভালো হয়নি বাংলাদেশের। মাত্র ২২ রানের মাথায় ওপেনার নাঈম শেখকে ফেরান কাগিসো রাবাদা। স্লোয়ার ডেলিভারি ছিল পুল করতে গিয়ে মিডউইকেটে থাকা রেজা হেন্ডরিকসের তালুবন্দি হন তিনি। পরের বলে সৌম্য সরকারকে লেগ বিফোরের ফেরান রাবাদা। গোল্ডেন ডাকে সাজঘরে ফেরেন সৌম্য।

দলের বিপর্যয়ে নিজের উইকেট রেজা হেন্ডরিকসের হাতে তুলে দিয়ে সাজঘরের পথ ধরেন মুশফিকুর রহিম। তিন বল থেকে শূন্য রানে ফেরেন তিনি। নতুন ব্যাটসম্যান হিসেবে ক্রিজে এসে ৯ বলে মাত্র ৩ রান করেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। এনরিচ এর্টজের বাউন্সার টাইগার অধিনায়কের গ্লাভস ঘেঁষে এইডেন মারক্রামের তালূবন্দি হয়। পরের ওভারে নতুন ব্যাটসম্যান আফিফ হোসেনকে গোল্ডেন ডাকে ফেরান ডোয়াইন প্রিটোরিয়াস।

এক পাশে যখন আসা যাওয়ায় ব্যস্ত ব্যাটাররা। অন্যপাশে তখন উইকেট আগলে দাঁড়িয়ে ছিলেন ওপেনার লিটন দাস। দলীয় ৪৫ রানে এই ব্যাটসম্যানকে ফেরান তাবরাইজ শামসি। ৩৬ বলে ২৪ রান করে এলবিডব্লিউ হন তিনি। দলীয় ৬৪ রানের মাথায় শামীম পাটোয়ারিকে নিজের দ্বিতীয় শিকার বানান শামসি। ২০ বলে মাত্র ১১ করে ফেরেন এই ব্যাটসম্যান।

শেষের দিকে উইকেটে কামড়ে থেকে দলকে কিছুটা সম্মানসূচক রানের মর্যাদায় নিয়ে যান শেখ মেহেদী হাসান। নির্ধারিত ওভারের দশ বল বাকি থাকতেই থামে টাইগারদের ইনিংসের গতি।

 

ad

পাঠকের মতামত