361974

বিকেএসপি থেকে বহিষ্কার হওয়া সেই ছেলেটিই খেলতে যাচ্ছে বিশ্বকাপ

নিউজে ডেস্ক।। পঞ্চ পাণ্ডবের পর বাংলাদেশ ক্রিকেটকে যারা প্রতিনিধিত্ব করবেন তাদের মধ্যে অন্যতম তরুণ ক্রিকেটার আফিফ হোসেন ধ্রæব। একাধারে ব্যাটিং-বোলিংয়ে প্রতিপক্ষকে নাস্তানাবুদ করা আফিফ বর্তমান সময়ের সেরা একজন অলরাউন্ডার। তবে খুলনা মহানগরীর ছোট বয়রার করিমনগরে জন্ম নেওয়া আফিফের ক্রিকেট ক্যারিয়ার হয়তো শুরুতেই শেষ হয়ে যেতো।

২০১২ সালে বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে (বিকেএসপি) অধ্যয়নরত অবস্থায় নিয়ম ভাঙার জন্য তাকে বহিষ্কার করা হয়েছিল। পরে জরিমানা দিয়ে ফের বিকেএসপিতে ভর্তি করা হয় ক্রিকেট পাগল আফিফকে। এরপর আর ফিরে আসা হয়নি, এগিয়ে যাওয়ার পথে যুক্ত হয়েছে সাফল্যের নতুন নতুন পালক।

আফিফের বাবার নাম মো. জাহাঙ্গীর হোসেন, মা হেলেনা বেগম। ধ্রæব তাদের একমাত্র ছেলে। খুব ছোটবেলা মাকে হারানো ছেলেটা এবার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ দলে জায়গা করে নিয়েছেন। অলরাউন্ডার আফিফ হোসেন ধ্রæবর জন্ম খুলনায় হলেও ক্রিকেট ক্যারিয়ার গড়ে ওঠে বিকেএসপিতে।

বিভিন্ন বয়সভিত্তিক দলে খেলেছেন বিকেএসপির হয়ে। যদিও বয়সভিত্তিক অনূর্ধ্ব-১৪ দলে খেলেছিলেন খুলনার হয়ে। পরবর্তীতে খুলনা বিভাগের হয়ে জাতীয় দলেও খেলেছেন এই ক্রিকেটার। ইতোমধ্যে দেশের হয়ে ২৭টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলে ব্যাট হাতে করেছেন ৩২৪ রান, আর ঝুলিতে রয়েছে ছয় উইকেট।

আফিফের বাবা মো. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, তৃতীয় শ্রেণিতে থাকা অবস্থায় সে ক্রিকেটের জন্য পাগলামি শুরু করে। এ সময় তাকে মোহামেডান ক্লাবের সেলিম স্যারের কাছে নিয়ে ভর্তি করি। এরপর ২০১০ সালে বিকেএসপিতে ক্রিকেটের অডিশন দিয়ে শীর্ষ স্থান নিয়ে ভর্তি হয় আফিফ। সেখান থেকে ২০১৬ সালে এইচএসসি পাশ করে বের হয়। পরে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় এআইইউবিতে বিবিএতে ভর্তি হয় আফিফ। পাশাপাশি চলে তার খেলাধুলা।

রাঙ্গামাটি বাঘাইছড়িতে হেফাজতের পলাতক আসামি হাছান আটক ≣ [১] পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় জাতীয় শ্রমিক লীগের দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত ≣ [১] দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় করোনার টিকা পৌঁছে দিচ্ছে বিমান বাহিনী

২০১৮ সালে জাতীয় দলে তার অভিষেক হয়। এরপর ধারাবাহিক সাফল্যের অংশ হিসেবে বিশ্ব আসরে খেলার সুযোগ পেয়েছে সে। ক্রিকেটার হওয়ার তার স্বপ্ন পূরণ হলো। এখন তার সামনে এগিয়ে যাওয়ার পালা। আমি বাবা হিসেবে তার সাফল্য কামনা করি।

এ বিষয়ে আফিফের বাবা জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ২০১২ সালের মাঝামাঝি সময়ে আফিফ বিকেএসপি থেকে বহিষ্কার হয়। কারণ ছিল নিষেধ থাকার পরও আফিফ সেখানে মোবাইল ব্যবহার করে এবং ধরা পড়ে। সে ঘটনার পর আমি, ওর নানা, বড় খালা বিকেএসপিতে গিয়ে অধ্যক্ষের সঙ্গে কথা বলি।

আমরা যাওয়ার পর জানা যায়, বিকেএসপির মধ্যে আগে বহিষ্কার হওয়া এক ছেলে ব্যট দিয়ে আফিফকে প্রহার করে। সব মিলিয়ে আফিফ গো ধরে আর বিকেএসপিতে পড়বে না। আর আলোচনার পর ৩০ হাজার টাকা জরিমানা দিয়ে আফিফকে পুনরায় বিকেএসপিতে ভর্তি করানো হয়।

ad

পাঠকের মতামত