361343

পরীমণির বাবা খুন হন, মা আগুনে পুড়ে মারা যান

এম আর ফারজানা, ফেসবুক থেকে, আমার কৌতুহলি মনকে আমি নিজেই প্রশ্ন করলাম আচ্ছা পরীমণি এত বেপরোয়া হল কেন ? কেন তাকে এত টাকার মালিক হতে হবে, কেন তাকে ছুটতে হবে। মানুষের একটা স্বপ্ন থাকে সেই স্বপ্নের কাছে গেলে মানুষ থেমে যায়, বা ক্লান্ত হয় ।কিন্তু পরীর বেলায় তা উলটা। কিন্তু কেন ?

পরীমণির অতীতের খোঁজ নিলাম একটু যা সত্যি মর্মান্তিক। ছবিতে যাকে দেখছেন তারা পরীমণির বাবা-মা। পরী দেখতে একদম মায়ের মত হয়েছে। যাই হোক পরীমণির মা আগুনে পুড়ে মারা যায়। কিভাবে আগুন লেগেছিল , বা কেউ লাগিয়ে দিয়েছে কিনা তা আজো অজানা, রহস্যঘেরা। মায়ের এমন মর্মান্তিক ঘটনার পর ছোট পরী বাবার কাছে থাকে। এরপর বাবাও খুন হন। তাকে ও খুন করা হয়। ছোট একটা বাচ্চা মেয়ে এরপর কিভাবে পথ চলেছে কতটা শেয়াল শকুনের থাবা পরেছে আমরা জানিনা। শুধু জানি পরী নানার কাছে বড় হয়েছে। অনেকে হয়ত বলবেন আমি এগুলো কেন বলছি।

বলছি, আমার কেন জানি মনে হচ্ছে পরীর মনে একধরণের প্রতিশোধের স্পীহা কাজ করছে। কারন মেয়েটি কিন্তু ছবি করতেছে, ছবি হাতে আছে ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করলে সে খুব ভালো অবস্থানে যেতেই পারত। সেই পথ তার তৈরী হয়েছিল। দেখতে সুন্দর বেশ পরিনত বয়সও। কিন্তু সেদিকে না যেয়ে বোহেমিয়ান জীবন –যাপনে অভ্যস্ত হয়ে উঠেছিল। টাকার লোভ থাকলে সেটা এতদিনে মিটে যাবার কথা অনেক আগেই। তার থেমে যাওয়ার কথা কিন্তু কিছুই তোয়াক্কা করেনি। যদি আপনারা বলেন সে এমন বিপদে পরবে জানলে এমন করত না, আমি বলবো ভুল বলছেন, এমন পথে বরং বিপদ আরো বেশী যার ফলাফল এখন রিমান্ডে যাওয়া । আমার এই লেখার অর্থ এই নয় যে পরীমণি খুব ভালো সব দোষ সমাজের বা অন্যের। আমি শুধু বলতে চাইছি মেয়েটি যে পথে বড় হয়েছে সেই পথটা হয়ত কাটা বিছানো রক্তাক্ত পথ ছিল। অবশ্য আমার ধারনা ভুল ও হতে পারে।

শুধু পরীমণি না আমাদের সমাজে আরো বহু ছেলে,মেয়ে আছে যারা বাবা – মা হারিয়ে বিপথে পা বাড়িয়েছে। অনেক ছেলেমেয়ে ভুল পথের স্বীকার, ভুলের খাদে পরে গিয়ে আর উঠতে পারেনি।

হারিয়ে গেছে অন্ধকারে। আর যারা অন্ধকার পথের রাখব-বোয়াল তারা ওত পেতে থাকে কখন পরীর মত মেয়েরা তাদের জালে আটকা পড়বে। আমরা শুধু সামনে বিষয় দেখি। ঘটনার আড়ালে আরো ঘটনা থাকে তা অনেক সময় অজানা থেকে যায়।

 

ad

পাঠকের মতামত