আপনি কী সারাক্ষণ হেডফোন ব্যবহার করেন? সাবধান!
ডেস্ক রিপোর্ট।। আপনি কী সারাক্ষণ কানে হেডফোন ব্যবহার করেন? তাহলে এখনই সাবধান হউন। নিজেই নিজের চরম ক্ষতি করছেন না তো! আপনি ইয়ারফোন ছাড়া অনেকেই তাদের জীবন কল্পনা করতে পারেন না।
অফিসে যাওয়া-আসার সময়, কাজের ফাঁকে, সারা দিনই যখন সুযোগ পান কানে হেডফোন তুলে নেন। আবার করোনাকালে বাড়ি থেকে ক্লাস, অফিসের কারণে বেড়েছে হেডফোনের ব্যবহার। কিন্তু অতিরিক্ত হেডফোন ব্যবহারে শরীরে অনেক সমস্যা তৈরি হয়। চলুন জেনে নেওয়া যাক কী কী সমস্যা হতে পারে।
তাহলে জেনে নেই হেডফোনে যেসকল সমস্য হয়: কানের যন্ত্রণা: আপনি যখন হেডফোন বা ইয়ারফোন ব্যবহার করছেন বা দীর্ঘ সময় ধরে গান শুনছেন, কেবল তখনই আপনার কানের ভেতরে অদ্ভুত শব্দটি অনুরণিত হয় এবং কানে ব্যথা হয়। ৯০ ডেসিবেল বা তার চেয়ে বেশি মাত্রার আওয়াজ সরাসরি কানে লাগলে এই সমস্যা হতে পারে।
মনের ওপর ক্ষতিকর প্রভাব: আপনি হয়তো জানেন না, হেডফোন ইলেকট্রোম্যাগনেটিক তরঙ্গ উৎপন্ন করে। অতএব, আপনি যদি এটি দীর্ঘ সময়ের জন্য ব্যবহার করেন তবে এটি মস্তিষ্কে খুব খারাপ প্রভাব ফেলবে। এ জন্য নির্দিষ্ট সময় ইয়ারফোন ব্যবহার করুন।
শোনার অসুবিধা : আপনার কি কাজ করার সময় বা কথা বলার সময় ইয়ারফোন ব্যবহার করার অভ্যাস আছে? যদি তা-ই হয়, তবে সাবধান! কয়েক ঘণ্টা হেডফোন ব্যবহার করলে কানের সমস্যা হতে পারে।
শ্রবণ ক্ষতি: হেডফোন থেকে যে ইলেকট্রোম্যাগনেটিক তরঙ্গ সৃষ্টি হয়, সেটি মস্তিষ্কের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। এ কারণে ব্লুটুথ হেডফোন ব্যবহারকারীদের ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি। সুস্থ থাকতে হেডফোন কেনার আগে সতর্ক হন।
কানের সংক্রমণ: অনেকেই তাদের হেডফোন একে অন্যের সঙ্গে শেয়ার করে। এ পরিস্থিতিতে ব্যাকটেরিয়া এবং জীবাণু ব্যক্তি থেকে অন্য ব্যক্তির কাছে ইয়ারফোন স্পঞ্জের মধ্য দিয়ে চলে যায়, যা কানে সংক্রমণের সম্ভাবনা বাড়িয়ে তোলে। তাই চেষ্টা করুন নিজের হেডফোন নিজেই ব্যবহার করতে।
আরেকটি বিষয় খেয়াল রাখবেন যে সংক্রমণ এড়াতে হেডফোনগুলো পরিষ্কার রাখবেন এবং হাই ভলিউমে শুনবেন না। ৯০ ডেসিবেল বা তার চেয়ে বেশি মাত্রার আওয়াজ সরাসরি কানে লেগে হতে পারে কানের সমস্যা।