360608

রাত পোহালেই ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা দুই মহারথীর স্বপ্নের ফাইনাল

স্পোর্টস ডেস্ক: নিজের মাঠে বন্ধু মেসির আর্জেন্টিনাকে হারিয়ে শিরোপা জিততে চান নেইমার। ফাইনালে প্রতিদ্বন্দ্বিতার ইচ্ছে হয়েছে পূরণ। এবার তাই সাম্বা ড্যান্স দেখতে চায় সমর্থকরা।

জেসুসের না থাকার ক্ষতিতেও সেলেসাওদের বাড়তি প্রেরণা, মাঠে থাকছে দর্শক। প্রতিপক্ষের মাটিতে খেলা, তবে ছেড়ে কথা বলবে না আর্জেন্টিনাও।

ব্রাজিল বনাম আর্জেন্টিনা মানেই মর্যাদার লড়াই, আবেগের বিস্ফোরণ। বিশ্বকে দু’ভাগে বিভক্ত করে দেয়া দ্বৈরথ।

ফাইনালে যখন আর্জেন্টিনা-ব্রাজিল, তখন মাঠে দর্শক থাকবে না তাই কি হয়! কনমেবল থেকে আমন্ত্রণ পাওয়া ব্যক্তিরা কোভিড নেগেটিভ রিপোর্ট দেখিয়ে প্রবেশ করতে পারবেন মাঠে।

রিও ডি জেনিরোর মেয়র এদুয়ার্দো পায়েস বলেন, করোনার টিকা দেয়া থাকলে দর্শক প্রবেশে আমরা কোন সমস্যা দেখি না। তাই ফাইনালে ১০ শতাংশ দর্শক মাঠে থাকবে।

খোদ নেইমার যেখানে এগিয়ে রাখেন মেসিকে, সেখানে লিওকে নিয়ে চিন্তিত নন ব্রাজিল কোচ তিতে। তিনি জানান, মেসিকে কিভাবে থামাতে হয় তা আমি জানি, কিন্তু বলবো না। নেইমারকে আর্জেন্টিনা কিভাবে থামাবে তা জানালে তবেই মেসিকে নিয়ে পরিকল্পনা জানাবো।

ফাইনাল ম্যাচে মেসিকে সুযোগ তৈরি করতে না দেওয়াই লক্ষ্য ব্রাজিল অধিনায়ক থিয়াগো সিলভার। তিনি বলেন, ফাইনালে মেসিকে সুযোগ তৈরি করতে না দেয়াই আমাদের লক্ষ্য। ব্রাজিলের অনুপ্রেরণা নেইমার। ফাইনালে দর্শকও বাড়তি অনুপ্রেরণা দেবে আমাদের।

ব্রাজিলের বিপক্ষে চাপ না নিয়ে ঠাণ্ডা মাথায় খেলতে হবে মেসিদের, বলছেন আর্জেন্টাইন কোচ লিওনেল স্কালোনি। তিনি জানান, ফাইনালে ঠান্ডা মাথায় খেলতে হবে আমাদের। আমি প্রতিশোধে বিশ্বাসী নই্ পুরো আসরে যেভাবে খেলে এসেছি, ফাইনালেও সেভাবেই খেলতে চাই।

ফাইনালে জেসুসের বদলে দেখা যেতে পারে এভারটনকে। পেশির ইনজুরিতে অ্যালেক্স সান্দ্রোও অনিশ্চিত। তাই নেইমারের পাশাপাশি স্পটলাইট থাকবে শেষ দুই ম্যাচে ব্রাজিলের জয়ের নায়ক লুকাস পাকেতার দিকে।

এদিকে, ক্রিশ্চিয়ান রোমেরোর খেলা নিয়ে সুখবর দিতে পারেনি আর্জেন্টিনা। কোপায় এখন পর্যন্ত ফ্লপ সার্জিও অ্যাগুয়েরো নাও থাকতে পারেন শুরুর একাদশে। অ্যাটাকে মেসির সাথে মার্তিনেজ-গোমেজ আর মিডফিল্ডে থাকতে পারেন পারেদেস, দি পল আর লো চেলসো।

 

ad

পাঠকের মতামত