360560

২৫-৩০ নারী শ্রমিক বাঁচলেন তাজুলের বীরত্বে

নিউজ ডেস্ক।। নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে হাসেম ফুড অ্যান্ড বেভারেজ কারখানার আগুন লাগলে ৬ষ্ঠ তলায় আটকা পড়েন অনেকে। ওই ফ্লোরে বেশির ভাগই ছিলেন নারী শ্রমিক।

জীবন বাঁচাতে তারা ফ্লোরেই এদিক-ওদিক ছোটাছুটি করতে থাকেন। আতঙ্ক আর উৎকণ্ঠায় জড়োসড়ো হয়ে পড়েন কেউ কেউ।

প্রাণের ভয়ে কান্না, চিৎকার করতে থাকেন অনেকে। অন্যদিকে ধোঁয়া ঢুকতে শুরু করে ফ্লোরে। এক পর্যায়ে তারা চলে যান ছাদে। সেখান থেকেও নিচে নামার উপায় খুঁজে পাচ্ছিলেন না। ঠিক সেই সময় আটকে পড়া শ্রমিকদের সামনে দেবদূতের মতোই আবির্ভূত হন তাজুল ইসলাম। দড়ির সাহায্যে তিনি একে একে নিচে নামান ২৫-৩০ জন নারী শ্রমিককে।

তাজুলের সাহসিক চেষ্টায় বেঁচে যান ওই ফ্লোরের শ্রমিকরা। তবে সবাইকে নামাতে নামাতে নিজেই অনেকটা আহত হয়ে পড়েন তিনি। তাজুল ইসলাম ওই ভবনের ইলেকট্রিক ইঞ্জিনিয়ার।

তাজুল ইসলাম জানান, বিকাল ৫টার দিকে তিনি ওই ভবনের ৫ তলায় ইলেকট্রিকের কাজ করছিলেন। হঠাৎ করে গ্যাসের গন্ধ পেয়ে শ্রমিকরা আতঙ্কিত হয়ে পড়ে চারদিকে ছুটতে থাকেন। এ সময় আগুন লাগার খবরে ৬ষ্ঠ তলার শ্রমিকরা আতঙ্কিত হয়ে ভবনের ছাদে চলে যান। তিনি (তাজুল) শ্রমিকদের রক্ষার চেষ্টা করেন। এক পর্যায়ে ফায়ার সার্ভিসের লোকজন ওপরে দড়ি পাঠালে তাজুল ইসলাম একাই ২৫-৩০ জন নারী শ্রমিককে নিচে নামিয়ে আনেন।

তাজুল ইসলাম বলেন, ‘আমি নিজের দায়িত্ববোধ থেকেই কাজটি করেছি। আমি নিজেই এখন একটু অসুস্থ। তাই আর আপনাদের সঙ্গে কথা বলতে পারছি না।’নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে হাসেম ফুড অ্যান্ড বেভারেজ কারখানায় বৃহস্পতিবার রাতের ভয়াবহ অগ্নিকা-ে এ পর্যন্ত ৫২ জন নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে। এখনো ৭০ জনের বেশি নিখোঁজ রয়েছেন।

 

ad

পাঠকের মতামত