360366

সিটি কর্পোরেশন এলাকায় পশুর হাট বসবে, প্রস্তুতি শেষ পর্যায়ে

নিউজ ডেস্ক।। সবকিছু ঠিক থাকলে পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে এবার কোরবানির পশুর ২৩টি অস্থায়ী হাট বসবে। এর মধ্যে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে বসবে ১৩টি এবং ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে বসবে ১০টি পশুর হাট। পাশাপাশি যারা হাটে যেতে পারবেন না বা যেতে পারছেন না তাদের জন্য অনলাইনে পশু কেনাকাটার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

ইতোমধ্যে যারা হাটের ইজারা পেয়েছেন তারা সীমানা নির্ধারণের পাশাপাশি পশুর খাবার, হাতধোয়ার স্থান, মহাজনদের থাকা ও খাওয়ার স্থান তৈরির কাজ শুরু করেছে। করোনার কারণে সরকার থেকে বিশেষ কোন নির্দেশনা না আসলে স্বাস্থ্য বিধি মেনে পশুর হাটের সকল বরাদ্দ প্রক্রিয়া ২০ হাটের সম্পন্ন হয়েছে। বুধবার বাকি ৩টি হাটের বরাদ্দ চূড়ান্ত হবে।

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, পশুর হাট চলবে। শিশু ও বয়স্করা যারা বিগত বছরগুলোতে পছন্দের পশুটি কিনতে বিভিন্ন হাটে যেতেন, আমি অনুরোধ করব এ বছর আপনারা এভাবে গরুর হাটে যাওয়া থেকে বিরত থাকুন। স্বাস্থ্যবিধি অনুযায়ী দূরত্ব নিশ্চিত, পর্যাপ্ত হাত ধোয়ার ব্যবস্থা ও সচেতনতামূলক মাইকিং থাকবে।

ভাটারা সাঈদ নগর (১শ’ ফুট) হাটের ইজারাদার হাজী ইকবাল হোসেন খন্দকার বলেন, আমাদের হাটের সকল প্রস্ততি সম্পন্ন হয়েছে। আমরা স্বাস্থ্যবিধির ব্যাপারে শতভাগ সচেতন। স্বাস্থ্যবিধি মানার জন্য আমরা একাধিক টিম তৈরি করেছি। যারা হ্যান্ড স্যানিটাইজার, ম্যাস্ক সরবরাহ করবে।

ঢাকা দক্ষিণ সিটির প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা রাসেল সাবরিন বলেন, করোনা সংক্রমণসহ যেকোনো পরিস্থিতি বিবেচনায় হাট বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। ১৬ জুলাই থেকে হাটের কার্যক্রম শুরু হবে। তবে অনেকে ২/১ দিন আগেই শুরু করে দেয়।

ঢাকা উত্তর সিটির প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা মোজাম্মেল হক বলেন, করোনা মহামারির এ দুর্যোগে রাজধানীসহ দেশের সব পশুর হাটে স্বাস্থ্যবিধি মেনে, সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে নির্দিষ্ট স্থানে পশুর হাট বসানো হবে। রাস্তার ধারে কোনো প্রকার পশুর হাট বসানো যাবে না।

তিনি আরো বলেন, যেসব স্থানে অস্থায়ী কোরবানির পশুর হাট বসবে সেখানে ক্রেতা-বিক্রেতাকে স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব মেনে চলতে হবে। প্রতিটি হাটে মোবাইল কোর্ট ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নিয়োজিত থাকবে।

অন্যদিকে হাট ব্যবস্থাপনায় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় যে গাইড লাইন দেবে সেটা মেনে চলতে হবে। হাটের প্রবেশপথে বাধ্যতামূলক হাত ধোয়ার ব্যবস্থা রাখতে হবে, মাস্ক পরতে হবে ক্রেতা-বিক্রেতাদের।

ক্রেতারা বলছেন, অনলাইনে গরুর দাম বেশি, এই দামে তাদের পোষাবে না। খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, অনলাইনে ৯০ কেজি গোশত হবে এমন একটি গরুর দাম লিখে রাখা হয়েছে ৬০ থেকে ৬৬ হাজার টাকা। অর্থাৎ প্রতি কেজি গোশতের দাম পড়বে ৬৬৬ টাকা। অথচ বাজারে গোশতের কেজি ৫৫০-৫৭০ টাকা।

 

ad

পাঠকের মতামত