359303

সেই রাতে পরীমণির সঙ্গে কী হয়েছিল, জানালেন কস্টিউম ডিজাইনার জিমি

নিউজ ডেস্ক : ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে নাসির উদ্দিন মাহমুদের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন ঢাকাই ছবির আলোচিত নায়িকা পরীমণি।

সেই রাতে ঘটনার সময় পরীমণির সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন তার কস্টিউম ডিজাইনার জিমি। সংবাদমাধ্যমের কাছে জানালেন সব ঘটনা। আরটিভ

পরীমণির দায়ের করা মামলায় সোমবার গ্রেপ্তার করা হয় মামলার প্রধান আসামি নাসির ইউ মাহমুদ ও অমিসহ ৫ জন। তাদের গ্রেপ্তারে পর সোমবার (১৪ জুন) রাতে বনানীর বাসায় সংবাদ সম্মেলন করেন ঢাকাই ছবির নায়িকা পরীমণি।

গণমাধ্যমকর্মীদের প্রশ্নের উত্তরে কস্টিউম ডিজাইনার জিমি বলেন, আমার নাম জিমি। আমি ফ্যাশন ডিজাইনার। সব কথা বলার মতো সাহস সবসময় থাকে না। কথাগুলো বলার সময় হয়েছে। আমি সবার প্রতি কৃতজ্ঞ। সব কিছু বের হবে, সবার সামনে আসবে, আমি এটা বিশ্বাস করি।

জিমি বলেন, তারা আপিকে (পরীমণি) বাজেভাবে গালাগাল করল। আপি আমাকে আগেই বলেছিল যদি কখনো এমন পরিস্থিতি তৈরি হয় তাহলে ৯৯৯ নম্বরে ফোন করতে। ওরা যখন আপিকে গালাগাল করছিল তখন আমার হাত কাঁপছিল। আমি আপির মোবাইল ফোন বের করেছি, তবে ব্যবহার করতে পারিনি।

পরে আমি আমার মোবাইলে ১৫ সেন্ডের একটি ভিডিও ধারণ করেছি। ওটা হাতে নিয়ে দেখার পরে আমাকে এসে ওনারা দুইজন আক্রমণ করেছে। আমি আপির ফোনটা ওখানেই রেখে এসেছি। ওরা ভাবছে আপির ফোনেই ভিডিওটা করেছি। আপির ফোন ফেলে দিয়েছে।

কস্টিউম ডিজাইনার জিমি বলেন, ওরা লাইট বন্ধ করে দিয়েছে। এসি বন্ধ। আপির অক্সিজেন কমে আসায় আমি ওয়েটারকে এসি ছাড়ার অনুরোধ করি। ওরা আমাকে সাপোর্ট দিয়েছে। ওরা এসি ছেড়ে দেয়।

ওয়েটাররা পাশেই ছিল। আর এর মধ্যে ওরা চলে গেছে। ওয়েটারদের বলেছি ভাইয়া লাইটা জ্বালিয়ে দেন। তখন তো আপি নিশ্বাস নিতেই পারছিল না। হাসপাতালে নিতে হবে, অক্সিজেন দিতে হবে। তখন আমি তাদের বলেছি প্লিজ আপিকে ধরেন, তো আমি ধরছি আমার সঙ্গে তারাও ধরছে গাড়িতে তুলে দিয়েছে।

নাসিরকে মারধরের বিষয়টি জানতে চাইলে জিমি বলেন, আসলে আমি একটা গেঞ্জি আর শটর্স পরা ছিলাম। এ অবস্থায় আমাদের ঢুকতেও দিচ্ছিল না। ফোন করার পরে আমাদের ঢুকতে দেয়। আপি সেখানে উঠে বাথরুমে যায়। আমি মদপানের বিষয় বলতে, আমি তো ওনাকে চিনিও না।

 

ad

পাঠকের মতামত