পরীমনির ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগ, যা বললেন জায়েদ খান
বিনোদন ডেস্ক।। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে মা সম্বোধন করে ফেসবুকে এক দীর্ঘ স্ট্যাটাস দিয়েছেন ঢালিউডের আলোচিত নায়িকা পরীমনি।
স্ট্যাটাসে প্রধানমন্ত্রীকাছে বিচার চাইলেন এ চিত্রনায়িকা। যেখানে তিনি অভিযোগ করেছেন, তাকে ধর্ষণ ও এবং হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে। তিনি নির্যাতিত হয়েছেন।
তবে স্ট্যাটাসের কোথায় অভিযুক্তের নাম লেখেননি তিনি।
রোববার সন্ধ্যা ৭টা ৫৩ মিনিটে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পোস্টে এসব অভিযোগ করেছেন পরীমনি, যা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়া তোলপাড় চলছে।
পরীমনি জানিয়েছেন, গত চার দিন ধরে থানা থেকে শুরু করে চলচ্চিত্র বন্ধুদের কাউকে পাশে পাননি তিনি। চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতিতেও অভিযোগ নিয়ে গেছেন। কিন্তু তিনি কোনো প্রতিকার পাননি। যাদেরকে পেয়েছেন সবাই বিস্তারিত ঘটনা জেনে ‘দেখছি’ বলে চুপ হয়ে গেছে। তাই বাধ্য হয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট দিয়েছেন।
পরীমনির এমন অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক চিত্রনায়ক জায়েদ খানও।
এক গণমাধ্যমকে তিনি বলেন, ‘পরীমণি আমার সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন। একটি অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার বিচার চান তিনি।’
তবে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনায় পরীমনি কতটা ভুক্তোভোগী হয়েছেন বা ঘটনাটি কি সে বিষয়ে কিছু জানাননি জায়েদ খান।
তবে এটাই স্পষ্ট যে, জায়েদ খানসহ শিল্পী সমিতির কেউ কেউ ঘটনার প্রসঙ্গে অবগত আছেন।
কী ছিল সেই ঘটনা আর অভিযুক্ত কে বা কারা – সেই বিষয়ে সংবাদ সম্মেলনে অচিরেই প্রকাশ করবেন বলে জানিয়েছেন পরীমনি।
গণমাধ্যম কর্মীদের সঙ্গে মুঠোফোনে পরীমনি কাঁদতে কাঁদতে জানান, তার স্ট্যাটাসটি সত্য। অনেক ভেবেচিন্তেই এই স্ট্যাটাস দিয়েছেন। তার সঙ্গে অনেক খারাপ কিছু ঘটেছে যে স্ট্যাটাস দিতে বাধ্য হয়েছেন।
পরীমনি বলেন, ‘আপনাদের জানানো ছাড়া আর কোনো উপায় নেই। গত কদিনে আমি শিল্পী সমিতি, থানা সব জায়গায় গিয়েছি। শেষ পর্যন্ত ফেসবুকে পোস্ট দিতে বাধ্য হয়েছি। আপনাদের মুখোমুখি হয়ে সব বলতে চাই আমি।’
কে বা কারা তাকে ধর্ষণ ও হত্যার চেষ্টা করেছে? সেই প্রশ্নের জবাবে পরীমনি বলেন, ‘এটা আমি অবশ্যই বলব। তবে ফোনে বলা যাবে না। আপনারা সাংবাদিকরা আসেন। আমি সবার সামনে, ক্যামেরার সামনে বলতে চাই। আমি সবাইকে জানাতে চাই। আমার ভরসা নষ্ট হয়ে গেছে। আমি কাউকে ভরসা করতে পারি না ভাই। আজ রাতে আমার যদি কিছু হয়ে যায় তার দায়িত্ব কে নেবে? আমি এজন্য ফোনে কিছু বলব না।’