359174

মোবাইল চুরির অপবাদে শিশুকে গাছে বেঁধে নির্যাতন

নিউজ ডেস্ক।। ময়মনসিংহের গৌরীপুরে রিফাত (৯) নামের দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়ুয়া এক শিক্ষার্থীকে মোবাইল চুরির অপবাদ দিয়ে গাছে বেঁধে নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ-সংক্রান্ত একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে।

গত শুক্রবার (৪ জুন) দুপুরে রামগোপালপুর ইউনিয়নের মধুবন আদর্শ গ্রামে (গুচ্ছগ্রাম) এ ঘটনা ঘটে। বিষয়টি স্থানীয়দের মাঝেই গোপন থাকে। পরে নির্যাতনের ভিডিওটি ফেসবুকে শেয়ার দিলে তা ছড়িয়ে পড়ে।

নির্যাতনের শিকার রিফাত রামগোপালপুর ইউনিয়নের মধুবন আদর্শ গ্রামের সুরুজ মিয়ার ছেলে। সে স্থানীয় রামগোপালপুল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্র।

ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, শিশুটিকে মোটা দড়ি দিয়ে গাছে বেঁধে নির্যাতন করছেন এক নারী ও তার ছেলে।

অভিযুক্ত নারীর নাম ফাতেমা বেগম বলে জানা গেছে। তিনি ডৌহাখলা ইউনিয়নের তাতকুড়া গ্রামে মৃত বারেক ডাকাতের স্ত্রী। তার ছেলের নাম হিমেল (২৫)।

নির্যাতনের শিকার রিফাতের বাবা সুরুজ মিয়া বলেন, গতমাসের শেষের সপ্তাহে ফাতেমা বেগমের ভাইয়ের স্ত্রী রিফাতকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে গাছ থেকে আম পেড়ে দিতে বলেন। রিফাত আম পাড়ার জন্য গাছে উঠলে ফাতেমা ও তার ছেলে হিমেল রিফাতকে গাছ থেকে নামান। পরে তাকে পিটিয়ে আহত করা হয়। এরপর থেকে রিফাত সপ্তাহখানেক জ্বরে ভোগে।

তিনি আরও বলেন, ‘জ্বর কিছুটা সেরে উঠলে গত শুক্রবার আমি বাড়িতে না থাকায় ফাতেমার ছেলে হিমেল রিফাতকে বাড়ি থেকে নিয়ে গাছের সঙ্গে গরুর রশি দিয়ে বেঁধে মারধর করেন। পরে আমি বাড়িতে ফিরে বিষয়টি জানতে পেরে তাদের বাড়িতে গিয়ে রশি খুলে ছেলেকে বাড়িতে নিয়ে আসি। গ্রামের গণ্যমান্য ব্যক্তিদের বিষয়টি জানালে তারা বিচারের আশ্বাস দেন।’

মধুবন আদর্শ গ্রামের (গুচ্ছগ্রাম) সভাপতি জামাল আহমেদ বলেন, আমি নির্যাতনের বিষয়টি মঙ্গলবার জানতে পেরেছি। বুধবার বিষয়টি নিয়ে বসার কথা ছিল। তবে, বসা হয়নি।
নির্যাতনের বিষয়টি অস্বীকার করেছেন ফাতেমা বেগম। তবে, তার ছেলে হিমেল নির্যাতনের বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, ‘আমার ঘর থেকে মোবাইল চুরির করার অপরাধে তাকে ধরে গাছের সঙ্গে বেঁধে রেখেছিলাম। পরে রিফাতের বাবা এসে আমাকে পিটিয়ে ছেলেকে নিয়ে যান।’

এ বিষয়ে গৌরীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল হালিম সিদ্দিকী বলেন, এ বিষয়ে এখনো কোনো অভিযোগ পাইনি। তবে, খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

জানতে চাইলে গৌরীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) হাসান মারুফ বলেন, বিষয়টি জানা নেই। তবে, আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।

 

ad

পাঠকের মতামত