359109

যেভাবে ইসলাম গ্রহণ করেন রুশ চিত্রশিল্পী

নিউজ ডেস্ক।। ইসলাম গ্রহণের পর অটোমান ও ইসলামী শিল্পকলা নিয়ে কাজ করছেন রুশ চিত্রশিল্পী মারিয়া কোমিসা। সম্প্রতি মস্কোর মিউজিয়াম অব ওরিয়েন্টাল আর্ট-এ ‌‘লেটার অব দ্য ট্রাভেলার্স’ বা পর্যটকের চিঠি নামে নিজের একক প্রদর্শনী শুরু করেন। রাশিয়ার শিল্পপ্রেমীদের কাছে ইসলামী ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি তুলে ধরতে তিনি উদ্যোগ নেন।

সম্প্রতি তুরস্কের সংবাদ মাধ্যম আনাদোলু এজেন্সিকে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে মারিয়া প্রাচ্যের শিল্পকলার প্রতি নিজের প্রবল আগ্রহের কথা জানান। ইসলামী সংস্কৃতির জগতকে শৈশব থেকে গভীরভাবে উপলব্ধি করেন বলে উল্লেখ করেন। তুর্কি ও ইসলামী সংস্কৃতির প্রতি তাঁর গভীর সম্পর্ক শিল্পচর্চায় এগিয়ে যেতে প্রেরণা যোগায়।

রাশিয়ায় তুর্কি ও ইসলামী সংস্কৃতি তুলে ধরতে মস্কোর মিউজিয়ামে শিল্পকর্মের প্রদর্শনী করেন মারিয়া কোমিসা।

নিজের ইসলাম গ্রহণ সম্পর্কে রাশিয়ার এ চিত্রশিল্পী জানান, ‘ক্রিমিয়ার বখছিসরাই থাকাকালে ইসলামের সঙ্গে আমার পরিচয়। একদিন আমাকে পবিত্র কোরআনের একটি কপি দেওয়া হয়। পরবর্তীতে আমি ইসলাম গ্রহণ করি।’

ইসলাম গ্রহণের পর স্বামীকে নিয়ে তিনি তুরস্কের বুরসা নগরীতে পাড়ি জমান। এক সময় শহরটি অটোমান সম্রাজ্যের রাজধানী ছিল। তুরস্কে কাটানো দিন সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘তুরস্কে আমি অত্যন্ত আনন্দঘন দিন অতিবাহিত করি। সেখানেই আমি তার্কিশ ভাষায় কথা বলা শুরু করি। তখনই আমি প্রথম বারের মতো হিজাব পরি। অথচ সেখানকার অনেকে বিশ্বাস করতে চাইত না যে আমি একজন মস্কো বংশোদ্ভূত নারী। অন্যান্য বিষয়ের মতো এখানকার স্থাপত্যরীতিতে আমি বেশ মুগ্ধ। বিশেষত এখানকার উলু মসজিদের সৌন্দর্যে আমি খুবই মুগ্ধ।’

বৈচিত্রময় শিল্পকলার দরুন বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় তুরস্কের অনন্য অবস্থান রয়েছে। তাই নিজের আঁকা শিল্পে তিনি অটোমান সম্রাজ্য ও ইসলামী ঐতিহ্য তুলে ধরার চেষ্টা করেন।

মূলত ইসলামের সুফিবাদে বেশ প্রভাবিত বলে জানান রুশ নওমুসলিম কোমিসা। তাছাড়া অটোমান বুদ্ধিজীবী ও ক্যালিগ্রাফার মাতরাকি নাসুহ দ্বারাও বেশ অনুপ্রাণিত বলে জানান তিনি। সূত্র : আনাদোলু এজেন্সি

 

ad

পাঠকের মতামত