358374

৮৩ বছরের বৃদ্ধাকে দুই যুবকের পালাক্রমে ধর্ষণের অভিযোগ

নিউজ ডেস্ক।। শরীয়তপুরের ডামুড্যা উপজেলার শিধলকুড়া ইউনিয়নে ৮৩ বছর বয়সী এক অসুস্থ বৃদ্ধাকে পালাক্রমে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে একই এলাকার দুই যুবকের বিরুদ্ধে। গতকাল সোমবার রাতে এ ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় ওই বৃদ্ধা ডামুড্যা থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন। অভিযুক্তরা হলেন- শিধলকুড়া ইউনিয়নের আরমান বেপারীর ছেলে সামিম বেপারী (২৭) ও শহীদ মাদবরের ছেলে হাসান মাদবর (২৬)।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, গতকাল দিবাগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে বৃদ্ধার ঘর থেকে আর্তচিৎকার শুনে পাশের ঘরের লোকজন ছুটে আসে। ঘরে ঢোকার চেষ্টা করেও ভেতর থেকে আটকানো থাকার কারণে ঢুকতে পারেনি স্থানীয়রা। ফলে সামিম ও হাসান পেছনের দরজা দিয়ে পালিয়ে যায়।

প্রত্যক্ষদর্শী রিনা বেগম বলেন, ‘রাতে প্রায় ৩টার দিকে হঠাৎ ঘুম ভেঙে যায়। তখন আমি শুনতে পাই পাশের ঘরের নারী আস্তে আস্তে চিৎকার করছে। আমি মনে করেছিলাম অসুস্থ হয়ে এমনটা করছে। কিছুক্ষণ পর তাকে সাহায্য করার জন্য এগিয়ে গেলে হঠাৎ বলে ওঠে, “তোরা কে কোথায় আছস আমারে বাঁচা সামিম আর হাসান আমাকে মেরে ফেলতাছে।” আমি দরজা ধাক্কা দিলে বন্ধ থাকায় খোলে না। পরে সে বলে, “ওরা পিছনের দরজা দিয়ে বেরিয়ে যাচ্ছে।” দৌড়ে পেছন গেলে দেখি দুইজন দৌঁড়ে যাচ্ছে। কিন্তু অন্ধকার তারা কে সেটা চিনতে পারিনি। ঘরে ঢুকে তাকে অজ্ঞান ও বিবস্ত্র অবস্থায় খাটে পড়ে থাকতে দেখি।’

এ প্রসঙ্গে ওই বৃদ্ধা বলেন, ‘স্বামী মারা যায় অনেক বছর আগে। ঘরে একাই থাকি। ৩ মেয়েই থাকে শ্বশুর বাড়িতে। প্রতিদিনের মতো রাতে শুয়ে পড়ি, আমি অসুস্থ ছিলাম। রাতে মাঝেমধ্যেই সামিম আসতো ঘুমাতে। কালও পুলিশ আসছে ওকে ধরে নিতে, এই কথা বলায় সরল মনে দরজা খুলে দেই। তারা ঘরে ঢুকে দরজা আটকিয়ে পাশের খাটে গিয়ে শোয়। আমি ঘুমিয়ে পড়ি। হঠাৎ তারা আমার ওপর আক্রমণ করে। মুখ চেপে রাখায় আমি চিৎকার করলেও বের হয়নি। হঠাৎ মুখ ছুটে যাওয়ায় জোরে চিৎকার করি। পাশের ঘরের রিনা ও ওর জামাইসহ আরও অনেকে ছুটে আসে। জীবনে বড় পাপ করেছি। না হলে আজ এই দিনটা দেখা লাগতো না।’

অন্যদিকে সামিমের দাদা সামসুল ইসলাম (৭৮) বলেন, ‘আমার নাতি নেশা পানি করে কিন্তু কোনো মেয়েলী সমস্যা নেই। এলাকার মানুষ আমাদের ফাঁসানোর চেষ্টা করছে।’

এ বিষয়ে ডামুড্যা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রবীর চক্রবর্তী বলেন, এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। ভুক্তভোগীকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য শরীয়তপুর হাসপাতালে পাঠানো হবে। রিপোর্ট আসার পর তদন্ত সাপেক্ষে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

 

ad

পাঠকের মতামত