357908

করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের আশঙ্কা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের

নিউজ ডেস্ক।।‘ঈদ উৎসবকে কেন্দ্র করে জনসমাগম এবং মানুষের চলাচল যেভাবে বেড়েছে তাতে আমরা অত্যন্ত শঙ্কিত। যারা ঢাকা ছেড়ে গেছেন, পরবর্তীতে তারা যখন ফিরে আসবেন তখন আমাদের করোনার সংক্রমণ বাড়ে কিনা তা নিয়ে আমরা চিন্তিত।’ মঙ্গলবার (১১ মে) দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক এ বি এম খুরশিদ আলম এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে এই শঙ্কা প্রকাশ করেন।

তিনি বলেন, ‘এরই মধ্যে আমাদের সক্ষমতা অনেকখানি বেড়েছে। আমাদের করোনা হাসপাতালগুলোর অধিকাংশ বেড এখন খালি। আমাদের দ্বিতীয় ঢেউ যেটা এসেছিল সেটা অনেকখানি নিয়ন্ত্রণে চলে এসেছে। কিন্তু আমরা শঙ্কা প্রকাশ করছি, আগামীতে না আমরা আরেকটা ঢেউয়ের সম্মুখীন হই।’

মহাপরিচালক আরও বলেন, ‘ভারতে যে সংক্রমণ হয়েছে সেটার ভয়াবহতা আমরা দেখেছি। আমি অধিদফতরের পক্ষ থেকে সবার কাছে বিনীত অনুরোধ জানাবো, মানুষের সচেতনতা বাড়াতে আমরা সবাই মিলে যেন চেষ্টা করি। করোনা মহামারি কবে পৃথিবী থেকে যাবে আমরা জানি না। সে ক্ষেত্রে পৃথিবী থেকে এটা নির্মূল না হওয়া পর্যন্ত স্বাস্থ্যবিধি মেনে না চলার কোনও সুযোগ নেই। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর আহ্বানও যদি আমরা না শুনি তাহলে আমাদের কে রক্ষা করবে। আমাদের নিজেদের সর্বনাশ যদি নিজেরা ডেকে আনি তাহলে এটা থেকে পরিত্রাণ পাওয়া খুব মুশকিল।’

স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (পরিকল্পনা) ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা বলেন, আমরা জীবনে আরও অনেকগুলো ঈদ উপভোগ করতে চাই। কিন্তু এখন আমরা স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে নেই। সুতরাং এ অস্বাভাবিক পরিস্থিতিতে যে ঈদ সামনে এসেছে সেটাকে যদি আমরা ঘরের মধ্যে সীমিত আকারে পালন করি তাহলে আমাদের জীবনে আরও অনেক ঈদ উপভোগ করার সুযোগ আসবে।

তিনি আরও বলেন, ঈদের জামাত কিভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত আকারে উন্মুক্ত জায়গায় আয়োজন করা যায় সে বিষয়টিকে লক্ষ্য রাখার জন্য জনসাধারণকে এবং মসজিদ সংশ্লিষ্ট আলেম-ওলামা যারা আছেন তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। বিকল্প পদ্ধতিতে ঈদ জামাত আয়োজন করার জন্য বলছি।

সেব্রিনা ফ্লোরা বলেন, ঈদ জামাতের পরবর্তী সময়ে আমাদের একটা রীতি হচ্ছে কোলাকুলি করা কিংবা হাত মেলানো। সেটাও কিন্তু সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার কারণ। সুতরাং এক্ষেত্রে ঈদের সময় আমরা কোলাকুলি না করি, হাত না মেলাই, সেই বিষয়ে আমাদের লক্ষ্য রাখতে হবে।

 

ad

পাঠকের মতামত