357714

ঈদের আগে বাড়লো মুরগি-চিনির দাম

নিউজ ডেস্ক।। আর এক সপ্তাহ পরেই ঈদুল ফিতর। এক সপ্তাহের ব্যবধানে ব্রয়লার মুরগির দাম কেজিতে ১০ থেকে ১৫ টাকা ও চিনির দাম ২ থেকে ৫ টাকা বেড়েছে।

এর আগে গত সপ্তাহে বোতলজাত ও খোলা সয়াবিন তেল এবং পাম সুপার তেলের দাম বেড়েছে। বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম লিটারে বেড়েছে ৫ টাকা।

আর খোলা সয়াবিন ও পাম সুপারের দাম কেজিতে ৪ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। সেই সঙ্গে কেজিতে ৫ টাকা বেড়েছে পেঁয়াজের দাম। মুরগি, তিনি, তেল ও পেঁয়াজের দাম বাড়লেও অনেকটাই স্থিতিশীল রয়েছে সবজির দাম। এক সপ্তাহের ব্যবধানে বেশিরভাগ সবজির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। শুক্রবার রাজধানীর বাজার ঘুরে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।

বাজার-মহল্লা ভেদে ব্রয়লার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৫০ থেকে ১৫৫ টাকায়, যা গত সপ্তাহে ছিল ১৪০ টাকা। ব্রয়লার মুরগির পাশাপাশি দাম বেড়েছে লাল লেয়ার মুরগির। গত সপ্তাহে ২০০ থেকে ২২০ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া লেয়ার মুরগির দাম বেড়ে দাড়িয়েছে ২৩০ থেকে ২৩৫ টাকা। তবে অপরিবর্তিত রয়েছে সোনালী বা পাকিস্তানি কক মুরগির দাম। আগের মতো ২৪০ থেকে ২৮০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে সোনালী মুরগি।

মোহম্মদপুর কৃষি বাজারের ব্যবসায়ী কামাল বলেন, বাস চলাচলের সংবাদে গ্রাম থেকে অনেকে ঢাকায় ফিরে এসেছে। পাশাপাশি বাইরে মানুষের চলাচল বেড়েছে। এসব কারণে ব্রয়লার মুরগির চাহিদা বেড়েছে। আর চাহিদা বাড়ার কারণে দাম কিছুটা বেড়েছে। ঈদের আগে দাম আরও বাড়তে পারে বলে ধারণা করছেন তিনি। ঈদের আগে মুরগির দাম বৃদ্ধি একটি স্বাভাবিক ঘটনায় পরিণত হয়েছে। ব্রয়লার মুরগি দাম বেড়েছে ইতোমধ্যেই।

তিনি বলেন, ঈদের দুই দিন আগে দেখবেন সব ধরনের মুরগির দাম আরও বেড়ে যাবে। মুরগির পাশাপাশি খোলা ও প্যাকেটজাত উভয় ধরনের চিনির দাম বেড়েছে। খোলা চিনির কেজি বিক্রি হচ্ছে ৭৫ থেকে ৭৬ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ৭২ থেকে ৭৪ টাকা। আর ৭৫ টাকায় বিক্রি হাওয়া প্যাকেট চিনির দাম বেড়ে ৭৮ টাকা হয়েছে। হঠাৎ করে কোম্পানি আবার চিনির দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। এ কারণে আমাদের বাড়তি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে বলে জানান তিনি।

এদিকে সবজি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে সব ধরনের সবজি। বেগুনের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৬০ টাকা। মানভেদে শসার কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৬০ টাকা। পটলের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৪০ টাকা, বরবটি ৪০ থেকে ৫০ টাকা, ঢেঁড়স ৩০ থেকে ৪০ টাকা কেজি । সপ্তাহের ব্যবধানে এ সবজির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।

এছাড়া ঝিঙে আগের মতো ৪০ থেকে ৫০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। লাউয়ের পিস বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ টাকা। পাকা টমেটোর কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৪০ টাকা। এক কেজি কচুর লতি বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৮০ টাকা। কাঁচকলার হালি বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৪০ টাকা। এদিকে ব্যবসায়িরা জানান ঈদ পর্যন্ত সবজি এমন দামেই বিক্রি হবে। তবে ঈদের পর কিছু কিছু সবজির দাম বাড়তে পারে।

এদিকে বাজারে উচ্চমূল্যে বিক্রি হচ্ছে গরম মশলা এলাচি , জিরা, দারচিনি, লবঙ্গের দাম কেজি প্রতি সর্বনিম্ন ৫০ থেকে ৩০০ টাকা বেড়েছে। সম্পাদনা: জেরিন আহমেদ

 

ad

পাঠকের মতামত