357046

রমজানে দিনের বেলায় স্ত্রীকে চুম্বন ও আলিঙ্গন করলে রোজা কি নষ্ট হয়ে যাবে?

ডেস্ক রিপোর্ট : যদি রোজা অবস্থায় স্বামী তার স্ত্রীকে সহবাস ব্যতীত চুমো দেয় বা আলিঙ্গন করে তবে তা জায়েয। এতে রোজা কোন অসুবিধা হয় না। কেননা নবী করীম (সা) রোজা অবস্থায় স্ত্রীকে চুম্বন করতেন, আলিঙ্গন করতেন।

আয়েশা রা: থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূল সা. রোযা অবস্থায় (স্ত্রীকে) চুমু দিতেন এবং আলিঙ্গন করতেন। কিন্তু আপন (জৈবিক) চাহিদা পূরণের ক্ষেত্রে তিনি ছিলেন তোমাদের মধ্যে সবচে’ বেশি নিয়ন্ত্রণ ক্ষমতার অধিকারী। [বুখারী ১৮৪১ মুসলিম ১১২১] তবে এতে যদি সহবাসে লিপ্ত হয়ে পড়ার আশঙ্কা থাকে তবে তা মাকরূহ হবে।

আর চুম্বন বা আলিঙ্গনের কারণে যদি বীর্যপাত হয়ে যায় তবে দিনের বাকি অংশ সাওম অবস্থায় থেকে পরে সাওমের কাজা আদায় করবে। কাফ্ফারা আদায় করতে হবে না। এটা অধিকাংশ আলেমদের মত। চুমু বা আলিঙ্গনের কারণে যদি মজী বের হয় তবে এতে রোজার কোন ক্ষতি করে না। এটা অধিকতর বিশুদ্ধ মত।

রোজাদারের জন্য সে যুবক হোক বা বৃদ্ধ, স্ত্রীকে চুমু দেয়া এবং আলিঙ্গন করা জায়েজ যদি যৌন তাড়নার বশবর্তী হয়ে সহবাসে লিপ্ত বা বীর্যপাত হবে না বলে নিজের ওপর দৃঢ় অবস্থা থাকে। চাই তার রোজা নফল হোক বা ফরজ, রমজানে হোক বা অন্য কোন মাসে। আলিঙ্গন দ্বারা উদ্দেশ্য গায়ে গা মিলানো। যেমন, স্পর্শ করা বা জড়িয়ে ধরা। আলিঙ্গন এখানে স্ত্রী সহবাস উদ্দেশ্য নয়। কারণ স্ত্রী সহবাস অবশ্যই রোযাভঙ্গকারী।

রমজান মাসে কোন রোজাদার যদি আপন স্ত্রীকে চুমু দেয় অথবা স্পর্শ করে কিংবা আলিঙ্গন করে আর এতে তার বীর্যস্খলন হয় তাহলে রোযা ভেঙ্গে যাবে। তবে এরপরও তাকে সারাদিন রোজাবস্থায় থাকতে হবে। এবং রোজা কাজা করতে হবে তাওবা-ইস্তেগফারসহ।

তবে যদি ‘মজি’ বের হয় তাতে রোযা ভঙ্গ হবে না। আলেমদের বিশুদ্ধ মতানুসারে এতে তার উপর কোন কিছু ওয়াজিব হবে না তবে তার জন্য উচিত হলো যৌন উত্তেজক আচরণ যেগুলো হারামে পতিত করার সম্ভাবনা রাখে তা হতে বিরত থাকা।

[আহসানুল ফাতাওয়া, ফাতাওয়া দারুল উলুম, ইমদাদুল ফাতাওয়া, বেহেশতি যেওর, মিনহাতুল বারী ৩৬৪/৪]

রমজান মাসে রাত্রে সেহেরি খাওয়ার আগে স্বামী ও স্ত্রী মিলন করা যাবে। সিয়াম অবস্থায় সহবাস করা যাবেনা।

কিন্তু সিয়াম অবস্থায় চুম্বন করা যাবে। পবিত্র কুরআনে আল্লাহ বলেন আমি তুমাদের জন্য ধর্মকে সহজ করতে চাই। তাই তোমরা রমজান মাসে রাত্রে স্ত্রী গমন করলে তোমাদের কোনো পাপ নেই।

আল্লাহ পবিত্র কুরআনে বলেন যে এই রমজান মাসে কুরআন অবতীর্ণ করা হয়ে ছে তাই তুমরা রমজান মাসে বেশি বেশি কোরআন পাঠ করুন।

রমজান মাসের উদ্দেশ্য হচ্ছে ইমান ও তাকওয়া বৃদ্ধি করা তাই এই মাসে আল্লাহর কাছে নিজেকে বিলীন করে দিতে হবে বুঝে বুঝে কুরআন পাঠ করার মাধ্যমে।

রমজান মাসে স্ত্রীকে ভালোবেসে চুম্বন করা যাবে কিন্তু আবেগ পূর্ন চুম্বন খেলে আপনার সিয়াম হয়ে যাবে কিন্তু রমজানের উদ্দেশ্য অর্জন করতে পারবেন না।

যদি সাওম অবস্থায় স্বামী তার স্ত্রীকে সহবাস ব্যতীত চুমো দেয় বা আলিঙ্গন করে তবে তা জায়েয। এতে সাওমের কোন অসুবিধা হয় না। কেননা নবী করীম [সা.] সাওম অবস্থায় স্ত্রীকে চুমো দিতেন, আলিঙ্গন করতেন। তবে এতে যদি সহবাসে লিপ্ত হয়ে পরার আশঙ্কা থাকে তবে তা মাকরূহ হবে।

আর চুমো বা আলিঙ্গনের কারণে যদি বীর্যপাত হয়ে যায় তবে দিনের বাকি অংশ সাওম অবস্থায় থেকে পরে সাওমের কাজা আদায় করবে। কাফ্ফারা আদায় করতে হবে না। এটা অধিকাংশ আলেমদের মত। চুমো বা আলিঙ্গনের কারণে যদি মজী বের হয় তবে এতে সাওমের কোন ক্ষতি করে না। এটা অধিকতর বিশুদ্ধ মত। আল্লা¬হ তাআলাই সর্বাধিক জ্ঞাত।

 

ad

পাঠকের মতামত