356475

কণ্ঠশিল্পী নোবেল এবার মুফতি: দিলেন গান-বাজনা জায়েজের ১২ টি দলিল, সমালোচনার ঝড়

ডেস্ক রিপোর্ট : বিতর্ক যেন পিছু ছাড়ছেই না নোবেলের।জাতীয় সঙ্গীত পছন্দ নয় বলে প্রথম বিতর্ক সৃষ্টি করেছিলেন কলকাতার জনপ্রিয় অনুষ্ঠান সা রে গা মা পাতে।এরপর ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে স্যোসাল মিডিয়াতে চাওয়ালা বলে ব্যঙ্গ করে নতুন বিতর্কের জন্ম দেন।তারপর বাংলাদেশের লিজেন্ডারি শিল্পীরা গান জানেন না। তাদেরকে গান শেখাতে চান এমন কথা বলে স্যোসাল মিডিয়াতে ঝড় তোলেন।

সর্বশেষ কোনো এক ভণ্ড বাবার মুরিদ হয়ে হাদীসের কিছু জাল রেফারেন্স দিয়ে তার ফেসবুক পেইজে প্রমাণ করতে চাইলেন গান বাজনা জায়েজ!তার এমন অদ্ভুত আচরণে হতাশ তার ভক্ত সমাজ।

বিতর্কিত এই গায়কের পোস্টটি লিঙ্ক সহ নিচে হুবহু দেওয়া হলো:
গান-বাজনা জায়েজ❗️
১২ টি দলিল সহ বণর্না নিন্মে দেওয়া হল:-
গান-বাজনা কখনো হারাম নহে। পবিত্র কুরআন শরীফ এবং হাদিসে গান বাজনা নিয়ে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তত্ত্ব আছে। তাই আমরা গান-বাজনাকে হারাম বা নাজায়েজ বলার আগে তা নিয়ে একটু আলোচনা করা উচিত ।
আল্লাহ্ এবং তার রাসূলের আশেকদের জন্য গান-বাজনা তাদের আত্মার খোরাক। যদি আনন্দ-ফুর্তির জন্য গান-বাজনা করা হয় সেই ক্ষেত্রে অবশ্যই হারাম বলে গন্য হবে।
নিন্মে গান-বাজনা ও নৃত্য সম্পর্কে কিছু দলিল দেওয়ার চেষ্টা করছি:-
বি:দ্র: পবিত্র কুরআন শরীফ ব্যাতিত অন্য কোনো গ্রন্থ বা কিতাবের যথার্থ মর্যাদা রয়েছে। তবে তাতে অন্ধ বিশ্বাসের পক্ষপাতী আমি ব্যাক্তিগতভাবে নই। তবুও যারা হাদিসের গুরুত্ব নিয়ে এর আগের পোস্টে আলোচনা করেছেন তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
✔️১. খাজা মইনুদ্দীন চিশতী (রঃ) – বড় পীরকে গান শুনিয়ে ছিলেন ।
“নিশ্চই রাসূলে খোদা পুরুষ প্রধান
মহা গুনে গুনান্নিত মহা মহিয়ান।”
সেদিন আকাশ ও জমিন একসাথে নৃত্য করেছিল খাজা বাবার গানের ছন্দে।
__সূত্র:- তাযকেরাতুল আউলিয়া ৪র্থ খন্ড__
✔️২. রাসূল (সাঃ) ইন্তেকালের আগে রাসূলের ঋণ ক্ষমা চাওয়ার জন্য হযরত বিলাল (রা:) তাঁর গলায় ঢোল নিয়ে ঢোল বাজিয়ে বাজিয়ে রাসূলের ঋণ ক্ষমা চেয়ে ছিলেন ।
___সূত্র:- তাওয়ারীতে মোহাম্মাদী___
✔️৩. রাসূলের নির্দেশে সেদিন বিলাল (রা:) তাঁর গলায় ঢোল নিয়ে মদকে নিষেধ করেছিলেন কিন্তু ঢোলকে নয় ।
___সূত্র:- বুখারী শরীফ ৬ষ্ঠ খন্ড ৭৩ পৃষ্ঠা___
✔️৪. খাজা বাবা এবং উনার মুর্শিদ ওসমান (রঃ) হারুনী খানকার মজলিসে বসে গান শুনছিলেন । আসরে ৯ ব্যক্তি ছিল। তার মধ্য ২ ব্যক্তির শুধু পোশাক পড়ে ছিল, কিন্তু তারা ছিল না। খাজা বাবা উনার পীরকে জিজ্ঞেস করলে ওসমান হারুনী (রঃ) বলেন। তারা এস্কের জিকিরে খোদার জাতের সাথে লয় হয়ে গেছে। তারা আর কখনো এ পৃথিবীতে ফিরে আসবে না।
___সূত্র:- আনিসুল আরোহা ৮৮ পৃষ্ঠা___
✔️৫. রাসূল (সাঃ) যখন মক্কা থেকে মদিনায় এসেছিলেন হিযরত করে। মদিনার মেয়েরা সেদিন ঢোল বাজিয়ে রাসূলকে গান শুনিয়েছিলেন । রাসূল সেদিন গানকে হারাম বলেন নি ।
__সূত্র:- বুখারী শরীফ ৫ম খন্ড ২২২ পৃষ্ঠা___
✔️৬. আনসারী মেয়েরা আমার রাসূলের হিযরতের সময় নৃত্য করে গান গেয়ে শুনিয়ে ছিলেন। সেদিন রাসূল নিজেই আনন্দিত ছিলেন।
___সূত্র:- বুখারী শরীফ ৫ম খন্ড ২২৩ পৃষ্ঠা___
✔️৭. রাসূল (সাঃ) যখন মা আয়েশার ঘরে গভীর ঘুমে মগ্ন ছিলেন। তখন মদিনার মেয়েরা নৃত্য করে গান গেয়ে নবীর ঘুম ভেঙ্গে দিয়েছিলেন। আবু বকর (রা:) মেয়েদের ধমক দিয়ে থামিয়ে দিতে গেলে, রাসূল তখন আবু বকর (রাঃ) কে ধমক দিয়ে তাদের গাওয়াকে উৎসাহ দিয়েছিলেন।
____সূত্র:- বুখারী শরীফ ১ম খন্ড ২৭৭পৃষ্ঠা___
✔️৮. একদিন জিব্রাঈল (আ:) রাসূলকে সংবাদ দিলেন। উনার গরীব উম্মতগন ধনী উম্মতদের চেয়ে ৪ শত বছর আগে জান্নাতে যাবে। সেদিন রাসূল খুশি হয়ে বলেছিলেন। তোমাদের মধ্য কে গান জানো ? আমাকে গান শোনাও। তখন বধুবী নামক এক ব্যক্তি রাসূল (সাঃ) সহ ভরা মজলিসে গান গেয়ে শুনিয়ে ছিলেন ।
___সূত্র:- কুৎনীত শরীফ ৩৩৭ পৃষ্ঠা____
✔️৯. রাসূল (সাঃ) মূসা নামক তার এক সাহাবীর কন্ঠে গান শুনে সেদিন বলেছিলেন হে মূসা, নিশ্চয় দাউদ নবীর বংশ হতে আমার আল্লাহ্ তোমাকে এই সুর দিয়েছেন ।
___সূত্র:- মূল বুখারী শরীফ ৭৫৫ পৃষ্ঠা___
✔️১০. সায়মা নামক এক মহিলা আমার রাসূলকে কোলে নিয়ে গান গেয়ে শুনিয়েছিলেন।
__সূত্র:- বুখারী শরীফ ৫ম খন্ড ৫৩-৫৪ পৃষ্ঠা পর্যন্ত__
✔️১১. পবিত্র কাবা শরীফ তোয়াফ কালে এক রমনী জুনায়েদ বোগদাদী (রঃ) কে গান গেয়ে শুনিয়েছিলেন।
__সূত্র:- তাযকেরাতুল আউলিয়া ৩য় খন্ড ১৩৭পৃষ্ঠা__
✔️১২. মসজিদে নববী তৈরি করার সময় আমার রাসূল নিজেই তারানা গেয়েছিলেন।
__সূত্র:- বুখারী শরীফ ৬ষ্ঠ খন্ড ১৯৮ পৃষ্ঠা___
উপরের দলিলগুলো যদি আপনাদের বিশ্বাস না হয়, তাহলে আপনারা নিজেরাই উক্ত হাদিস পরীক্ষা নিরীক্ষা করে দেখতে পারেন। গান-বাজনা এবং নৃত্য কে সরাসরি হারাম বা নাজায়েজ বলা উচিত নয়। কারন তুমি আল্লাহ্কে যেভাবে যে অবস্থায় স্বরণ করো আল্লাহ্ তাতেই সাড়া দেবেন।
তাছাড়া কোরআন শরীফের এক জায়গায় শানে নুযুল এ বলা আছে দাউদ নবী (আঃ) এর বাশির সুরের কথা, তিনি ভালো বাশি বাঁজাতে পারতেন।
আল্লাহ আমাদের সবাইকে সঠিকটা বুঝার তৌফিক দান করুন। আমিন। ♥️

তার বক্তব্যের চুম্বকীয় অংশ নিম্নরূপ : গান-বাজনা কখনো হারাম নহে। পবিত্র কুরআন শরীফ এবং হাদিসে গান বাজনা নিয়ে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তত্ত্ব আছে। তাই আমরা গান-বাজনাকে হারাম বা নাজায়েজ বলার আগে তা নিয়ে একটু আলোচনা করা উচিত ।

আল্লাহ্ এবং তার রাসূলের আশেকদের জন্য গান-বাজনা তাদের আত্মার খোরাক। যদি আনন্দ-ফুর্তির জন্য গান-বাজনা করা হয় সেই ক্ষেত্রে অবশ্যই হারাম বলে গন্য হবে।

গান বাজনা জায়েজের পক্ষে তার উদ্ভট কিছু দলীল: রাসূল (সাঃ) ইন্তেকালের আগে রাসূলের ঋণ ক্ষমা চাওয়ার জন্য হযরত বিলাল (রা:) তাঁর গলায় ঢোল নিয়ে ঢোল বাজিয়ে বাজিয়ে রাসূলের ঋণ ক্ষমা চেয়ে ছিলেন ।
সূত্র:- তাওয়ারীতে মোহাম্মাদী

রাসূলের নির্দেশে সেদিন বিলাল (রা:) তাঁর গলায় ঢোল নিয়ে মদকে নিষেধ করেছিলেন কিন্তু ঢোলকে নয় ।
সূত্র:- বুখারী শরীফ ৬ষ্ঠ খন্ড ৭৩ পৃষ্ঠা

খাজা বাবা এবং উনার মুর্শিদ ওসমান (রঃ) হারুনী খানকার মজলিসে বসে গান শুনছিলেন । আসরে ৯ ব্যক্তি ছিল। তার মধ্য ২ ব্যক্তির শুধু পোশাক পড়ে ছিল, কিন্তু তারা ছিল না। খাজা বাবা উনার পীরকে জিজ্ঞেস করলে ওসমান হারুনী (রঃ) বলেন। তারা এস্কের জিকিরে খোদার জাতের সাথে লয় হয়ে গেছে। তারা আর কখনো এ পৃথিবীতে ফিরে আসবে না।
সূত্র:- আনিসুল আরোহা ৮৮ পৃষ্ঠা

নোবেল তার পেইজে এমন আরও বহু উদ্ভট দলীল পেশ করেছেন।যেখানে খাজা বাবাদের উক্তি এনেছেন যেটা কখনও দলীল হতে পারে না।বুখারী দুই খন্ড হওয়া সত্বেও তার রেফারেন্সের বুখারী কত খন্ড সেটা ঠাওর করা যায় নি।এছাড়া হাদীসে দুফ এর তর্জমা করেছে ঢোল দ্বারা।কবিতার তর্জমা করেছে গান দ্বারা ইত্যাদি।

তার এমন আনাড়ি দলীলের জবাব তার পেইজেই নেটিজেনরা প্রচণ্ড ক্ষোভের সঙ্গে দিয়েছেন।

কিঙ্গোপলি খ্যাত MD Tanvir Hayder Tushar লেখেন:

রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেনঃ ‘অবশ্যই অবশ্যই আমার পরে এমন কিছু লোক আসবে যারা যেনা, রেশম, নেশাদার দ্রব্য ও গান-বাজনা বাদ্যযন্ত্রকে হালাল মনে করবে’ (বুখারী হা/৫৫৯০)।

মহান আল্লাহ তাআলা আপনাকে বুঝার তৌফিক দান করুক এবং
ভুল এবং সঠিক ব্যাপারগুলো আপনার জন্য সহজ করে দিক ভাই।

Al amin ansari বলেন: রমজান চলে আসছে। এখন শয়তানকে বাঁইধা রাখা হবে। তার দায়িত্বগুলো পালনে আপনার ভূমিকা যথার্থ। আশাকরি, এবার শয়তানের তরফ থেকে নবেল পাবেন।

Ra fi বলেন: রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেনঃ “আমার উম্মতের কিছু লোক মদের নাম পাল্টিয়ে তা পান করবে। তাদের সামনে গায়িকারা বিভিন্ন বাদ্যযন্ত্র সহকারে গান করবে। আল্লাহ্ তা’আলা তাদেরকে ভূ-গর্ভে বিলীন করে দেবেন এবং কতকের আকৃতি বিকৃত করে বানর ও শূকরে পরিণত করে দেবেন। [বুখারী: ৫৫৯০, আবু দাউদ: ৪০৩৯]

তুই আসলে একটা বলদ

Imtiyaz burhan বলেন: যারা কোন গুনাহকে হালাল মনে করে করে তারা কাফের হয়ে যায়। এটা শরীয়তের অকাট্য দলিল দ্বারা প্রমাণিত । আপনারা নিজেরা তো প্রকাশ্যে গুনাহ করছেনই তথাপি নিজেদের গুনাহের পক্ষে দলিল দেওয়ারও অপচেষ্টা করছেন। একে তো চুরি আবার তার উপর সিনাজুরি। এখনো সময় আছে ঈমানের পথে ফিরে আসুন ।এসব ভন্ডামি বাদ দিন ।আল্লাহ তা’আলা আমাদের সবাইকে হেদায়েত দান করুন। আমিন !!

এছাড়া নেটিজেনদের একাংশের মন্তব্য নোবেলের ব্রেইন ওয়াশ হয়ে গেছে।তার সঠিক পথে ফিরে হয়তো আসা সহজ কোনো ব্যাপার না।কারণ সে তার হারাম পেশাকে হালাল বানানোর একটা ছুতো পেয়ে গেছে।

https://www.facebook.com/noblemanofficialbd/posts/3817586011671190

 

ad

পাঠকের মতামত