355766

হোটেল বুকিংয়ে প্রথম স্ত্রীর নাম লিখেছিলেন মামুনুল হক, ছেলের সঙ্গে দ্বিতীয় স্ত্রীর ফোনলাপ ফাঁস (ভিডিও)

নিউজ ডেস্ক।। নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ের রয়েল রিসোর্টের কক্ষ ভাড়ার সময় হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হক রেজিস্টারে নিজের নাম-ঠিকানা সঠিক লিখলেও তার সঙ্গীনির নাম লুকিয়েছেন।

মামুনুল হকের কথিত সেই দ্বিতীয় স্ত্রীর নাম জান্নাত আরা ঝর্ণা হলেও মামুনুল রিসোর্টের নথিতে তার নাম উল্লেখ করেছেন আমেনা তাইয়্যেবা।

জানা গেছে আমেনা তাইয়্যেবা মামুনুল হকের প্রথম স্ত্রীর নাম। তিনি চার সন্তানের জননী।

নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোস্তাফিজুর রহমান এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এসময় তিনি আরও বলেন, ‘আমরা শুনতে পেরেছি তার (মামুনুল) আসল স্ত্রীর নাম আমেনা তাইয়্যেবা। বিষয়টির তদন্ত করছি। ’

রিসোর্টের ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ বকুল বলেন, অভ্যর্থনার কর্মীরা মামুনুলের কাছে তার সঙ্গীনির পরিচয় জানতে চাইলে তিনি বলেছেন তার স্ত্রী, নাম আমেনা তাইয়্যেবা। এছাড়া মামুনুল কক্ষ ভাড়া করার সময় নিজের জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপিও জমা দেন। হেফাজত নেতা ১২ ঘণ্টার জন্য ভাড়া করেন ৫০১ নম্বর কক্ষটি। সেখানে এক ঘণ্টা অবস্থানের পর মামুনুল খাবারের অর্ডার করেন। এরপর সাড়ে পাঁচটার দিকে শুরু হয় গন্ডোগোল।

এঘটনার পর সম্প্রতি একটি অডিও-ও ভাইরাল হয়ে যায়। রোববার (৪ এপ্রিল) মামুনুল হকের দাবি করা দ্বিতীয় স্ত্রী জান্নাত আরা ঝর্না ও ওই নারীর ছেলের কথোকোপথনের একটি অডিও ভাইরাল হয়। অডিওটি সামনে নিয়ে এসেছে দেশের বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল একাত্তর টিভি।

ফোনালাপটি জান্নাত আরা ঝর্নার সঙ্গে তার ছেলে আব্দুর রহমানের। ছেলের বয়স ১৭। নয় বছর বয়সে ঝর্নার সঙ্গে হাফেজ শহীদুল ইসলামের বিয়ে হয়। পারিবারিক কলহের জেরে আড়াই বছর আগে তাদের ডিভোর্স হয়। শহীদুল্লাহ ও ঝর্না দম্পতির আব্দুর রহমান ও তামীম নামে দুই ছেলে আছে।

ফোনালাপের একপর্যায়ে তাদের তামীমের ব্যাপারে জানতে চাইলে আব্দুর রহমান জানায়, সে তার সঙ্গে দেখা করতে যাবে। এরপর ঝর্না বলেন, আমার সঙ্গে আপাতত দেখা করতে আইসো না। দেখা করতে আরো লেইট (দেরি) হবে।

তখন আব্দুর রহমান বলে, সেই বোঝাপড়া আমরা দু’ভাই করে আসবানে! কোন সময় দেখা করতে হয় কোন সময় কি করতে হয়! এরপরই ঝর্না বলে ওঠেন, এখন ঝামেলা দিও না। বহুত ঝামেলার মধ্যে আছি। আর ঝামেলা করিও না।

আব্দুর রহমান বলে, তার জন্য দরদ দেখিও না। সে কিন্তু প্রচণ্ড পরিমাণে মাইর খাবে। খুলনা থেকে আসলে। সে কিন্তু জানে না আমরা দুই ভাই। এই কথা শুনার পর ঝর্না বলেন, শুন আজকে আমি মৃত্যুর হাত থেকে বের হলাম। সত্য গোপন থাকে না। আম্মু খারাপ করছে, আরেকজন খারাপ করছে বুঝলাম। কিন্তু তুমি তো ভালো করবা।

এই সময় তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি শুরু হয়। আব্দুর রহমান বলে, ‘আমার ভালো করার দরকার নেই। আমার সঙ্গে কথা বলো না। ’ এরপর মা ছেলেকে বলেন, মেজাজ ঠাণ্ডা করে পরে ফোন করার জন্য। কিন্তু ছেলে বলে ওঠে, মেজাজ ঠাণ্ডা হবে তখন যখন ওনার সঙ্গে দেখা হবে।

সেদিন যে কি হবে উনার! আমি মিডিয়ার সামনে বলবো তো, উনি কেমনে বন্ধুর স্ত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ করলো। কেমনে বিয়ে করলো। কিসের ইয়েতে! এগুলো মিডিয়ার সামনে বলবো। সূত্র: বাংলা নিউ২৪.কম, নিউজ ২৪

ad

পাঠকের মতামত