355855

লকডাউনে শ্রমিকদের জন্য মাসিক সরকারি অনুদান দাবি ফখরুলের

নিউজ ডেস্ক।। চলমান লকডাউনে শ্রমিকদের জন্য মাসিক সরকারি অনুদানের দাবি জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আজ মঙ্গলবার জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের উদ্যেগে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও শ্রমিক নেতা জাফরুল হাসানের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় তিনি এই দাবি জানান।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘এই কোভিড-১৯ কালে অবশ্যই শ্রমিকদেরকে সাবসিডি দিতে হবে। প্রত্যেক শ্রমিক নেতা, শ্রমিক কর্মীদের অবশ্যই সরকারের তরফ থেকে ত্রাণ সহযোগিতা করতে হবে। এই মুহূর্তে এটাই হচ্ছে সবচেয়ে বড় দাবি। আমরা দাবি করছি, দেশে ইনফরমাল সেক্টারে যত শ্রমিক আছেন, গার্মেন্টস ফ্যাক্টরিগুলোতে যত শ্রমিক আছেন, অন্যান্য কলকারখানার সাথে যেসব শ্রমিক যুক্ত আছেন তাদের প্রত্যেককে মাসের একটা অনুদান অবশ্যই দিতে হবে যেটা অন্যান্যদেরকে দেয়া হয়েছে।’

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘করোনাকালে শুধমাত্র মালিকদেরকে দিলেই হবে না, শুধুমাত্র ব্যাংক থেকে ঋণ দিলেই হবে না। আমি লন্ডনে আমার বন্ধুর সঙ্গে কথা বলছিলাম, সে আমাকে বলছে, আমি এখন খুব ভালো অবস্থায় আছি। কেন লকডাউনে? সে বলছে যে, সরকার আমাকে দিচ্ছে ১৫‘শ পাউন্ড করে। এটাকেই বলে ওয়েল ফেয়ার স্টেট, এটাকে বলে মানুষের জন্য ভালোবাসা, কমিটমেন্ট টু দি পিপল। আসুন আমরা এই আন্দোলনটা গড়ে তুলি শ্রমিকদে নিয়ে যে, আজকে এই সময়ে তাদের ইনসেনটিভ দিতে হবে, তাদের ত্রাণ দিতে হবে, তাদের সহযোগিতা দিতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘এখন শুধুমাত্র আনুষ্ঠানিকতায় চলে গেছি, আমরা দোয়া করছি, মিলাদ করছি, স্মরণ সভা করছি। সংগঠন গড়ে না তুললে আন্দোলন কীভাবে হবে? আপনার সরকার পরিবর্তন করতে হলে, ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারকে সরাতে হলে তো প্রধান যে দুইটা শক্তি দরকার। একটা হচ্ছে ছাত্র সংগঠন, আরেকটি শ্রমিক সংগঠন। সেই সংগঠন তো আমরা সেভাবে গড়ে তুলতে পারছি না। সেটা তো আমাদের ব্যর্থতা। সেই কারণে আমি অনুরোধ করব আসুন আমরা সবাই পরস্পরের সাথে যোগাযোগ করি, কথা বলি-কীভাবে সংগঠনগুলোকে আবার গড়ে তোলা যায় সেই চেষ্টা করি।’

দলের অবস্থা তুলে ধরে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আজকে আমাদের দলের অনেক কষ্ট, অনেক দুঃসময়। অনেক প্রতিকূলতার মধ্যে দিয়ে আমরা যাচ্ছি। আমাদের প্রধান যিনি আমাদের নেতৃত্ব দেন সেই দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া তিন বছর ধরে আজকে কারাগারে। আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান তিনি ৮ হাজার মাইল দূরে নির্বাসিত অবস্থায়, ৩৫ লক্ষ মানুষের বিরুদ্ধে মামলার সাথে নতুন গত কয়েকদিনে ২০ হাজার মানুষের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।’

জাফরুল হাসানের কর্মময় জীবনের কথা তুলে তিনি বলেন, ‘আজকে দেখুন, গ্রোথ হচ্ছে মালিকদের তারা গাড়ি বাড়ি কিনছেন,বিদেশে প্রপার্টি তৈরি করছেন। আর শ্রমিক ভাই-বোনেরা বস্তিতে বাস করেছে, দুইবেলা ঠিকমতো তারা খেতেও পায় না। এই বিষয়গুলো শ্রমিক নেতাদের দেখা উচিত। নজরুল ইসলাম খান বলেন, আসুন জাফর ভাইয়ের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকীতে শপথ করি যতদিন বেঁচে আছি ততদিন সংগঠনের জন্য আন্তরিকভাবে কাজ করব।’

প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের ৬ এপ্রিল চিকিতসাধীন অবস্থায় মারা যান প্রবীণ শ্রমিক নেতা জাফরুল হাসান।

শ্রমিক দলের সভাপতি আনোয়ার হোসেইনের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য দেন—বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, বিএনপি নেতা শামসুজ্জামান দুদু, মজিবর রহমান সারোয়ার, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, শ্রমিক নেতা নাইমুল হাসান জুয়েল, ওয়াজেদ-উল ইসলাম খান, নুরুল ইসলাম খান নাসিম প্রমুখ।

 

ad

পাঠকের মতামত