355835

কুপ্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় ছাত্রের মা-বোনকে কোপালেন কলেজশিক্ষক

নিউজ ডেস্ক।।  কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় এক কলেজ শিক্ষক তার ছাত্রের মা ও বোনকে বটি দিয়ে কুপিয়ে আহত করেছেন। অভিযোগ উঠেছে ছাত্রের মাকে কুপ্রস্তাব দিয়ে রাজি না হলে শিক্ষক সানোয়ার হোসেন (৩৫) ধারালো বটি দিয়ে তাকে কুপিয়েছেন। এসময় মাকে বাঁচাতে এগিয়ে এলে পালিয়ে যেতে মেয়েকেও কুপিয়ে আহত করেন শিক্ষক।

আশঙ্কাজনক অবস্থায় আহত দুইজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত শিক্ষককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সোমবার দুপুর ৩টার দিকে ওই ছাত্রের নিজ বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।

গ্রেপ্তারকৃত সানোয়ার ভেড়ামারা সরকারি মহিলা কলেজের ইংরেজি বিষয়ের প্রভাষক। তিনি কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার নওদা বহলবাড়িয়া গ্রামের মো. ইদবার আলীর ছেলে। চাকরির কারণে ভেড়ামারায় নওদাপাড়ায় ভাড়া বাসায় থাকেন।

কুপ্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় এমন ঘটনা ঘটেছে উল্লেখ করে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে ভেড়ামারা থানায় মামলা দায়ের করেছেন ভুক্তভোগীর স্বামী।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে প্রতিবেশি একজন কলেজ শিক্ষক জানান, সানোয়ার হোসেন ভেড়ামারা পৌর শহরের নওদাপাড়া এলাকায় দশম শ্রেণির এক ছাত্রকে বাসায় গিয়ে পড়াতেন। একপর্যায়ে সানোয়ারের সঙ্গে ওই ছাত্রের মায়ের সম্পর্ক তৈরী হয়। একান্তে মেলামেশাও করেন তারা। বিষয়টি জানাজানি হলে সম্প্রতি তাদের মধ্যে ঝামেলা সৃষ্টি হয়।

গত সোমবার দুপুর ৩টার দিকে ছাত্রকে পড়াতে ওই বাড়িতে যান শিক্ষক সানোয়ার। এসময় তার সঙ্গে ছাত্রের মায়ের কথা-কাটাকাটি হয়। এরপর রান্নাঘরের বটি নিয়ে এসে শিক্ষকের উপর হামলা করতে উদ্যত হয় ছাত্রের মা। এসময় বটি কেড়ে নিয়ে ওই নারীর মাথায় ও পেটে আঘাত করেন।

এসময় মাকে বাঁচাতে অনার্স পড়ুয়া মেয়ে এগিয়ে এলে তাকেও আঘাত করে পালানোর চেষ্টা করেন সানোয়ার। চিৎকার শুনে প্রতিবেশীরা এসে তাকে আটক করে পুলিশকে খবর দেয়। পরে ভেড়ামারা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) প্রকাশ রায় তাকে আটক করেন।

মুমূর্ষু অবস্থায় ছাত্রের মাকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তার শরীরে ৬২টি সেলাই দেয়া হয়েছে। এদিকে আহত মেয়েকে ভেড়ামারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

ভেড়ামারা থানার ওসি মোহাম্মদ শাহজালাল বলেন, এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। ওই শিক্ষককে আজ মঙ্গলবার আদালতে পাঠানো হবে।

অন্যদিকে এলাকাবাসী জানান, ওই শিক্ষকের স্ত্রী তার অনৈতিক সম্পর্কের প্রতিবাদ করায় প্রায়ই তার ওপর শারীরিক নির্যাতন চালাতেন সানোয়ার। এলাকাবাসী ওই শিক্ষককে একাধিকবার সতর্ক করলেও কোনো লাভ হয়নি। এ ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেন এলাকাবাসী। উৎস: আরটিভি অনলাইন।

 

ad

পাঠকের মতামত