355666

নেই শুধু বাস, বাকি সবই যেন স্বাভাবিক!

নিউজ ডেস্ক।। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ এড়াতে ১১ দফা নির্দেশনা দিয়ে লকডাউন ঘোষণা করেছে সরকার। দ্বিতীয় দফার এই লকডাউনের প্রথম দিন বন্ধ রয়েছে সব ধরনের গণপরিবহন।

এরপরও লকডাউন উপেক্ষা করে রাজধানীর সড়কে বের হয়েছে মানুষ। সেই সঙ্গে সড়কগুলোতে আজ আধিপত্য করছে ব্যক্তিগত গাড়ি, সিএনজি, রিকশা ও মোটরসাইকেল।

সোমবার (৫ এপ্রিল) সকালে রাজধানীর টেকনিক্যাল, কল্যানপুর, শ্যামলী, আগারগাও, শেওড়াপাড়া, ফার্মগেট, রাজাবাজার, কাওরানবাজার, মতিঝিল, কাকরাইল, পল্টন, শাহবাগ এলাকার সড়ক ঘুরে দেখা যায়, রাস্তার পাশেই পরিবহনের জন্য অপেক্ষা করছে অফিসগামী মানুষ। সড়কে বাস না থাকলেও অন্যান্য যান চলাচল ছিল চোখে পড়ার মতো।

এর মধ্যে ব্যক্তিগত গাড়ি, রিকশা, সিএনজি, মোটরসাইকেলের উপস্থিতি অন্যান্য দিনের মতো। ফলে রাজধানীর কোনো কোনো জায়গায় স্বাভাবিক সময়ের মতোই ট্রাফিক সামাল দিতে হচ্ছে পুলিশ সদস্যদের। এমনকি কিছু সিগনালে ছোটখাটো যানজটও দেখা গেছে। এমন চিত্র চোখে পড়েছে রাজধানীর বিজয় স্মরণী, চন্দ্রিমা উদ্যান, কাওরানবাজারে।

মান্ডা থেকে কাওরানবাজারগামী রুবেল জানান, লকডাউন হলেও খোলা রয়েছে অফিস। অফিসে তো তাহলে যেতেই হবে। সকাল থেকে বাস না পেয়ে বাড়তি খরচ করে বাধ্য হয়ে রিকশায় যাচ্ছি।

লকডাউন হলেও যানজট দেখা গেছে রাজধানীর কয়েকটি জায়গায়। মেয়র হানিফ ফ্লাইওভারের কাজলা মোড় থেকে রায়েরবাগ পর্যন্ত যানজট লেগে আছে। ঠাঁই দাঁড়িয়ে আছে শতশত প্রাইভেটকার, ট্রাক, লেগুনা ও দূরপাল্লার বাস। গাদাগাদি করে ট্রাকেও মানুষকে চলাচল করতে দেখা গেছে। এদের মধ্যে অনেকই মানছেন না স্বাস্থ্যবিধি।

সকাল ১০টার দিকে শনিরআখড়ায় ট্রাক চালক মনির বলেন, ৯টা থেকে জ্যামে বসে আছি। জানি না কতক্ষণ থাকতে হবে। শুনেছি চিটাগাং রোড পর্যন্ত যানজট।

করোনার সংক্রমণ এড়াতে গেলো বছরের মার্চের শেষের দিকে শুরু হয়েছিলো প্রথম দফার লকডাউন বা সাধারণ ছুটি। এ সময় কার্যত বন্ধ ছিল সব ধরনের অফিস-আদালত, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমনকি নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দোকানও। কিন্তু এবারের চিত্র ভিন্ন। সোমবার রাজধানীতে লকডাউনের প্রথম দিনের সকালে লক্ষ্য করা গেছে গণপরিবহনের অনুপস্থিতি। তবে লকডাউন হলেও বাড়ির বাইরে বেড়িয়েছে নগরবাসী। প্রধান সড়কের পাশে চোখে পড়েছে অফিসগামী অপেক্ষমান মানুষের ভিড়।

শেওড়াপাড়া থেকে ফার্মগেটগামী বিপ্লব জানান, আমাদের অফিস খোলা। অফিসের গাড়ির এসে নিয়ে যাওয়ার কথা। গাড়ির অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে আছি।

লকডাউনের নির্দেশনায় সব ধরনের মার্কেট ও দোকানপাট বন্ধ রাখার নির্দেশনা ছিলো এবার। প্রধান সড়কের আশেপাশের অধিকাংশ দোকান বন্ধ থাকলেও ভিন্ন চিত্র চোখে পড়েছে প্রধান সড়ক থেকে একটু ভেতরে গেলেই। গলির ভেতরের দোকান, বাজার প্রায় সবই চলছে প্রতিদিনের মতো। মানুষের উপস্থিতি কিছুটা কম থাকলেও নেই নির্দেশনা মানার বাতিক। স্বাস্থ্যবিধি মেনে খোলা জায়গায় কাঁচাবাজার থাকার কথা থাকলেও তা আমলে নেননি অধিকাংশ ব্যবসায়ীরাই।

ad

পাঠকের মতামত