355252

স্বামীর সামনে স্ত্রীকে যৌ.ন হেনস্তা, যুবলীগ নেতার ক্ষমা প্রার্থনা

নিউজ ডেস্ক।। স্বামীর সাথে বেড়াতে গিয়ে রাস্তায় স্ত্রীকে শ্লীলতাহানি করায় স্থানীয় এক যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে গ্রাম্য সালিশ হলে সে তার দোষ স্বীকার করে ক্ষমা চেয়েছে বলে জানা গেছে।

রবিবার (২৮ মার্চ) সকাল ১০ টার দিকে সিংগাইর ধল্লা ইউনিয়ন পরিষদে এ সালিশ হয়। ইউপি চেয়ারম্যান ও মেম্বারসহ গ্রামের লোকজন এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

পরিষদের ১ নং ওয়ার্ডের মেম্বার ছানোয়ার হোসেন জানান, শুক্রবার (২৬ মার্চ) রাত সারে সাতটায় তার ভাতিজি চাঁনমালা স্বামী বিপল হোসেনকে নিয়ে বেড়াতে যায়। ফোর্ডনগর নুরানী সমবায় সমিতির কাঠ বাগানের সামনে যাওয়া মাত্র এ ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগ সেক্রেটারি মৃত লুৎফর খানের ছেলে সন্ত্রাসী মানিক খান তার ভাতিজির চোখে মোবাইল ধরে শরীর থেকে ওড়না টেনে ইচ্ছের বিরুদ্ধে শরীরে হাত দেয়। তখন সে এবং তার স্বামী বিপল হোসেন প্রতিবাদ করলে মানিক তার স্বামীকে থাপ্পড় ও লাথি মারে। স্বামীকে উদ্ধার করতে এলে ভাতিজিকেও মারধর করে। বিষয়টি জানার পর চাঁনমালার স্বজনেরা মানিককে ধরে মারধর করে। মানিক পরবর্তীতে ৮/১০ সন্ত্রাসী এনে চাঁনমালার ভাই প্রতিবাদকারী শওকত হোসেনের মুদি দোকানে হামলা এবং তাকে ছুরিকাঘাত করে উপজেলা কমপ্লেক্সে পাঠায়। এ সময় তার দুই মেয়ে অসুস্থ সোনিয়া ও নুরতারাকেও মারধর করে মানিক গং রা।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আসলাম হোসেন বলেন, সেখানে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। ছানোয়ার মেম্বার, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ইউনুছ মিয়া ও মজিদ মোল্লাসহ এলাকার লোকজন জানান, থানার দারোগা সোবাহান ও বাবুল এসেছে। কিন্তু চাকুসহ দুই সন্ত্রাসীকে ধরে তাদের হাতে দিতে চাইলে উল্টো আমাদের ধমক দিয়ে বলেন, আমাদের সামনে আপনারা আসামি ধরার কে। এ বলে তারা চলে যায়। যে কারণে আমরা মামলা না করে চেয়ারম্যানের ওপর বিচারের ভার দিয়েছি।

এএসআই বাবুল হোসেন বলেন, মানিককে পাইনি তাই ধরিনি এবং কারোর হাতে এ সময় চাকু ছিলো না। এছাড়া ওদের সংখ্যা বেশি আমরা ছিলাম মাত্র ২ জন। আমাদের ওপরও হামলা হতে পারতো। এদিকে এ ঘটনার আগের দিন মানিক গং দের নামে থানায় এ ধরণের লিখিত অভিযোগ দেন। ওই এলাকারই জান্নাতুল নাঈমা (৩২) নামে এক নারী। তিনি বলেন, বিষয়টি তদন্ত করার জন্য থানার ওসি এসেছিলেন। কিন্তু আমিও বিচার পাইনি মানিক গংদের বিরুদ্ধে।

ধল্লা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহিদুল ইসলাম ভুইয়া বলেন, মানিক যা করেছে এমনটা আমি আশা করি না। তবে উভয় পক্ষই আমার কাছে এসেছে মীমাংসার কথা বলতে। মজিদ মোল্লা বলেন, চেয়ারম্যানের সালিশে অনেক লোকই উপস্থিত ছিলাম। মানিক তার দোষ স্বীকার করে সবার সামনে ক্ষমা চেয়েছে এবং আহতের চিকিৎসার খরচ সে দেবে। এছাড়া আমরা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নেতা, তাই মানিককে দলীয় পদ থেকেও বহিষ্কারের চিন্তা ভাবনা চলছে। উৎস: ইত্তেফাক।

ad

পাঠকের মতামত