355024

কোয়ারেন্টিন থেকে উধাও একই পরিবারের ৯ জন

নিউজ ডেস্ক।। সিলেটে যুক্তরাজ্য থেকে আসা প্রবাসীদের নির্দিষ্ট দিন প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে থাকার কথা থাকলেও অনেকে হোটেল থেকে লুকিয়ে বা পালিয়ে বাইরে যাচ্ছেন বলে অভিযোগ ওঠেছে।

আজ রোববারও এমন নয়জন কোয়ারেন্টিন ভেঙে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছেন। এতে করে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।

যুক্তরাজ্যে নতুন ধরনের করোনা শনাক্ত হওয়ার পর থেকেই যুক্তরাজ্য থেকে আসা প্রবাসীদের কোয়ারেন্টিনে থাকার নিয়ম করা হয়। এজন্য সিলেটের বেশ কয়েকটি হোটেলের সঙ্গে প্রশাসনের সমঝোতা হয়। সেই হোটেলগুলোতে পছন্দমতো ওঠেন প্রবাসীরা। হোটেল নিজ খরচে থাকতে হয় বলে শুরু থেকেই একধরনের নারাজি দেখান প্রবাসীরা।

আজ রোববার এদের মধ্যে একই পরিবারের নয়জন হোটেল ব্রিটানিয়ার প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিন থেকে পালিয়ে যান। তারা সবাই গত ১৮ মার্চ বিমান বাংলাদেশের একটি ফ্লাইটে করে সিলেটে এসেছিলেন। আজ রোববার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে।

এসময় রাষ্ট্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা এনএসআই’র এক সদস্য পরিদর্শনে গেলে ব্রিটানিয়া হোটেলে থাকা প্রবাসীদের মধ্যে ৯ জনের অনুপস্থিতি দেখতে পান। হোটেল ব্রিটানিয়ার রেজিস্ট্রার থেকে প্রাপ্ত তথ্যমতে সেই নয়জন হলেন- আব্দুল মালিক, রুনা আক্তার, তামিমা আক্তার, তাইবা আক্তার, রুবাবা আক্তার, রাহিমা বেগম, রাদিয়া আক্তার, শায়মা বেগম, ম. তাহমিদ চৌধুরী। তারা সবাই একই জকিগঞ্জ উপজেলার একই পরিবারের বাসিন্দা বলে জানা গেছে।

এ বিষয়ে হোটেল ম্যানেজার কাওসার খান বলেন, ‘প্রতিদিন সকাল ও রাতে দুইবার গণনা করা হয়। সকালেও আমরা গণনা করার সময় এ নয়জন হোটেলে ছিলেন। কিন্তু এনএসআই’র এক সদস্য দুপুরে হোটেলে আসলে নয়জনকে হোটেলে না পেয়ে বিষয়টি আমাকে অবগত করেন। পরে এসব প্রবাসীদের সাথে যোগাযোগ করলে তারা জানিয়েছেন, নিকটাত্মীয় কেউ একজন গুরুতর অসুস্থ হওয়ায় তারা বেরিয়ে এসেছিলেন। আবার হোটেলে ফিরছেন।’

এদিকে এসব হোটেলে নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছেন সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের সদস্যরা। কীভাবে তারা বেরিয়ে গেলেন এমন প্রশ্নে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (গণমাধ্যম) বিএম আশরাফ উল্যাহ তাহের বলেন, ‘আমি শুনেছি ৯ জন উধাও হয়ে গেছেন। কিন্তু কীভাবে তারা গেলেন বা যারা গিয়েছেন তারা কারা তার কোনো সঠিক তথ্য এখনো পাইনি।’

‘আমি আমার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের ব্যাপারটি অবগত করেছি। সঠিক তথ্য নিয়ে তার পর বুঝতে পারব তারা কীভাবে গেলেন বা আমাদের পুলিশ সদস্যরা তখন কোথায় ছিল বা কি করছিল। এ ব্যাপারে অবশ্যই পদক্ষেপ নেওয়া হবে’, যোগ করেন পুলিশের এই কর্মকর্তা।

তিনি আরও বলেন, ‘কোতোয়ালি থানার একজন এএসআই ও তিন কনস্টেবল দায়িত্বে ছিলেন। এছাড়া হোটেল কর্তৃপক্ষেরও কিছু দায়িত্ব আছে। বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে। এছাড়া এ ধরনের আরও যেসব অভিযোগ আছে সেগুলোও কঠোরভাবে দেখা হচ্ছে। এ ধরনের ঘটনা আর ঘটার সম্ভাবনা নেই।’

 

ad

পাঠকের মতামত