354671

জিহ্বার রং দেখে বোঝা যায় আপনি কোন রোগে আক্রান্ত

নিউজ ডেস্ক।। আপনি কি জানেন আপনার জিহ্বা আপনার স্বাস্থ্য সম্পর্কে অনেক কিছুই বলতে পারে? আকার, গঠন এবং রং এর ওপর ভিত্তি করে আপনার জিহ্বা আপনার স্বাস্থ্য সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ অনেক সিগনালই দেয়।

এর জন্য আপনাকে যা করতে হবে তা হলো সকাল বেলা দাঁত ব্রাশ করার আগেই প্রাকৃতিক আলোতে জিহ্বাটি পরীক্ষা করে দেখা। আর দিনের অন্য কোনো সময় পরীক্ষা করতে চাইলে কোনো খাবার খাওয়ার অন্তত এক ঘণ্টা পর তা করতে হবে।

জিহ্বার রংয়ের তারতম্যে ধরা যায় শরীর সুস্থ নাকি অসুস্থ!

আসুন জেনে নেওয়া যাক কোন রংয়ের জিহ্বা কী বার্তা দিচ্ছে :-

১.স্বাভাবিক রং : জিহ্বার স্বাভাবিক রং হালকা গোলাপি। হালকা সাদা আস্তর কোনো সমস্যা নয়।

২. হালকা গোলাপি : জিহ্বার আদর্শ রং হলো হালকা গোলাপি। এই রংয়ের জিহ্বা স্বাস্থ্যকর দেহের নির্দেশক। একটি স্বাস্থ্যকর দেহের জিহ্বা দেখতে এমনই হয়।

৩. লাল : লাল রংয়ের জিহ্বা আপনি যেকোনো সংক্রামক রোগে আক্রান্ত হয়েছেন তার নির্দেশক। এ থেকে আরো বুঝা যায় যে দেহে বা রক্তে কোনো ধরনের প্রদাহ সৃষ্টিকারী প্রক্রিয়া চলছে।

৪. উজ্জ্বল লাল : হৃৎপিণ্ডের কোনো রোগের লক্ষণ উজ্জ্বল লাল জিহ্বা। অনেক সময় এটি আপনার রক্তে কোনো রোগ থাকারও লক্ষণ হতে পারে।

৫. হলুদ : পাকস্থলী বা লিভারে কোনো সমস্যা হলে জিহ্বার রং হলুদ হয়।

৬. বেগুনি বা রক্তবর্ণ : ফুসফুস এবং হৃদরোগ থাকলে জিহ্বার এমন রং হয়।

৭. নীল : কিডনি রোগের লক্ষণ হলো জিহ্বার রং নীল হওয়া।

৮. ফ্যাকাশে জিহ্বা : ভিটামিন এবং খনিজ পুষ্টি উপাদানের ঘাটতি হলে জিহ্বা ফ্যাকাশে হয়ে যায়।

৯. সাদা : শরীরে পানিশূন্যতা দেখা দিলে জিহ্বার রং সাদা হয়ে যায়। এ ছাড়া ছত্রাক সংক্রমণ এবং ফ্লুর লক্ষণও হতে পারে এটি।

১০. ধুসর : হজম প্রক্রিয়ার কোনো রোগ হলে এমন রং হয় জিহ্বার।

১১. ভারী সাদা আস্তরণ : জিহ্বার উপরিভাগে ভারী সাদা আস্তরণ পড়লে বুঝবেন দেহে কোনো বিষক্রিয়া হয়েছে বা সংক্রামক রোগে আক্রমণ করেছে।

১২. বাদামি আস্তরণ : ফুসফুসের কোনো রোগের লক্ষণ এটি।

১৩. হলুদ আস্তরণ : হজম প্রক্রিয়ায় কোনো সমস্যা হলে এমন আস্তরণ পড়ে।

১৪. ধুসর আস্তরণ : গ্যাস্ট্রিটাইটিস এবং পেপটিক আলসারের লক্ষণ এটি।

১৫. কালো : যারা প্রচুর ধুমপান করেন তাদের জিহ্বায় ব্যাকটেরিয়া জমে কালো হয়ে যেতে পারে, এমনকি জিহ্বায় চুলও গজাতে পারে।

মনে রাখুন : জিহ্বা সুস্থ রাখতে নিয়মিত দাঁত ব্রাশ ও জিহ্বা পরিষ্কার করতে হবে যাতে সেখানে ব্যাকটেরিয়া বংশবিস্তার করতে না পারে।

 

ad

পাঠকের মতামত