354292

যেভাবে হবে ২০২২ সালের এসএসসি-এইচএসসি পরীক্ষা

নিউজ ডেস্ক।। করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে অন্য দেশের মতো নানা প্রতিকূল পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে হচ্ছে বাংলাদেশকে। সবচেয়ে সমস্যার মধ্যে পড়েছে দেশের শিক্ষা খাত। প্রায় এক বছর ধরে দেশে সব ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে।

গত বছরের মার্চ মাস থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করায় এই সময়ে স্বাভাবিকভাবে ক্লাস-পরীক্ষা নেয়া সম্ভব হয়নি। কিছু ক্ষেত্রে অনলাইনে ও টেলিভিশনের মাধ্যমে ক্লাস নেয়া হয়েছে। তবে তা পর্যাপ্ত নয়।

পরিস্থিতি প্রতিকূল হওয়ায় গেল বছর পিএসই, জেএসসি পরীক্ষা বাতিল করা হয়। এই দুই শ্রেণির শিক্ষার্থীদের পরবর্তী শ্রেণিতে অটো প্রমোশন দেওয়া হয়। আর এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের বিশেষভাবে মূল্যায়ন করে অটোপাস দেওয়া হয়।

চলতি বছর এসএসসি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার সময় গড়িয়ে যাচ্ছে। আগামী ৩০ মার্চ স্কুল-কলেজ খুলে দেয়ার ঘোষণা দেয়া হয়েছে। এ বছর এসএসসি ও এইচএসসির সিলেবাস কমানো হয়েছে। সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে অল্প সময় ক্লাস করিয়ে পরীক্ষা নেয়ার ঘোষণা দেয়া হয়েছে।

২০২১ সালের এসএসসি ও এইচএসসির বিষয়ে এমন সিদ্ধান্ত নিলেও করোনার ক্ষতির ঢেউ পরবর্তী বছরেও গড়াচ্ছে। ২০২২ সালের এসএসসি-এইচএসসি নিয়েও পরিকল্পনা শুরু হয়েছে। আগামী বছর এই দুই শ্রেণির পরীক্ষার্থীদের সিলেবাস কমানোর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) একটি প্রস্তাবনা তৈরি করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছে। সিলেবাস প্রায় ৩০ শতাংশ কমিয়ে ২০২২ সালের এসএসসি-এইচএসসি পরীক্ষা নেয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে। এদিকে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় ৯ মাসের সংক্ষিপ্ত সিলেবাস প্রকাশ করেছে।

এ বিষয়ে এনসিটিবির চেয়ারম্যান প্রফেসর নারায়ণ চন্দ্র সাহা সংবাদমাধ্যমকে বলেন, শিক্ষামন্ত্রণালয়ের নির্দেশে ২০২২ সালের এসএসসি ও এইচএসসির সংক্ষিপ্ত সিলেবাসের কাজ প্রায় শেষ। যে কোনো সময় তা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে।

এ সংক্ষিপ্ত সিলেবাস প্রণয়নের সঙ্গে যুক্ত এনসিটিবির একজন ঊর্ধ্বতন কারিকুলাম বিশেষজ্ঞ সংবাদমাধ্যমকে বলেন, নবম ও একাদশ শ্রেণিতে যারা অধ্যয়নরত তাদের জন্যও সংক্ষিপ্ত সিলেবাস তৈরি করা হয়েছে। বর্তমানে যারা নবম শ্রেণিতে অধ্যয়নরত তারা ২০২২ সালে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেবে। তাদের জন্য সংক্ষিপ্ত সিলেবাস তৈরির কাজ চলমান।

এর আগে, গত ২২ ফেব্রুয়ারি অনলাইনে জরুরি সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বিশ্ববিদ্যালয় খোলার তারিখ ঘোষণা করেন।

এদিন তিনি বলেন, দেশের সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে শ্রেণিকক্ষে পাঠদান ২৪ মে থেকে শুরু হবে এবং হল খুলবে ১৭ মে। এর আগে সব ধরনের পাঠদান ও পরীক্ষা বন্ধ থাকবে। ১৭ মে এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব আবাসিক শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও কর্মচারীদের করোনা টিকা দেওয়া হবে। এছাড়া বিসিএস পরীক্ষার আবেদন ও পরীক্ষার তারিখ বিশ্ববিদ্যালয় খোলার সঙ্গে সঙ্গতি রেখে নির্ধারণ করা হবে।

গত বছরের ১৭ মার্চ থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। কয়েক ধাপে বাড়ানোর পর ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ছুটি ঘোষণা করা হয়। গত ২২ জানুয়ারি করোনা পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলতে গাইডলাইন প্রকাশ করে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতর। এ গাইডলাইন অনুসরণ করে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার প্রস্তুতি নিতে বলা হয়। স্কুল-কলেজগুলোতে ৩৯ পাতার গাইডলাইন পাঠিয়ে বলা হয়, ৪ ফেব্রুয়ারির মধ্যে স্কুলগুলো প্রস্তুত করে রাখতে, যাতে যে কোনো মুহূর্তে সেগুলো খুলে দেয়া যেতে পারে। উৎস: সময় নিউজ।

ad

পাঠকের মতামত