353434

জিয়ার খেতাব বাতিলের পেছনে ‘রাজনৈতিক প্রতিহিংসা’: মির্জা ফখরুল

সাবেক সামরিক শাসক ও বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ‘বীরোত্তম’ খেতাব বাতিলের সিদ্ধান্তের প্রতিক্রিয়ায় দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল (জামুকা) খেতাবটি বাতিলের যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, এটাকে আমি মনে করি, সম্পূর্ণভাবে রাজনৈতিক প্রতিহিংসামূলক। এই সিদ্ধান্ত যারা নিয়েছে, তাদেরকে আমি কখনোই মুক্তিযুদ্ধের প্রতি শ্রদ্ধাশীল মনে করি না।

তারা স্বাধীনতার বিপক্ষে, মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধে এবং পুরোপুরিভাবে মুক্তিযোদ্ধাদের বিরুদ্ধে। এই সিদ্ধান্তের মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধের প্রতি কলঙ্ক লেপন করা হল। আমি এহেন সিদ্ধান্তের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘সরকারের অপকর্ম’ এবং বেরিয়ে আসা ‘সমস্ত দুর্নীতি’ থেকে জনগণের দৃষ্টি দূরে সরিয়ে নিতেই এটা করা হয়েছে।

দলটির সিনিয়র নেতা খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, এ সিদ্ধান্ত মুক্তিযুদ্ধ এবং মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি চরম অবমাননা। স্বাধীনতার পর আওয়ামী লীগ সরকারই ক্ষমতায় ছিল। তারাই জিয়াউর রহমানকে বীর উত্তম উপাধি দিয়েছিল। এখন অন্য সিদ্ধান্ত গ্রহণ করলে জনগণ তা মেনে নেবে না।

অপর স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, এটাতো মুক্তিযোদ্ধাদের গায়ে আগুন লাগিয়েছে। জিয়াউর রহমানের মুক্তিযুদ্ধের স্বীকৃতি বাতিল মানে হলো মুক্তিযুদ্ধকে কটাক্ষ করা, অস্বীকার করা। দলমত নির্বিশেষ সব মুক্তিযোদ্ধাদের অপমান করা। এটা জনগণ মানে না, মানবেও না।

জিয়াউর রহমানের মুক্তিযুদ্ধের খেতাব কেড়ে নেওয়ার সিদ্ধান্তকে ‘সরকারের কুটিল প্রতিহিংসার বহিঃপ্রকাশ’ হিসেবে বর্ণনা করে এর নিন্দা জানিয়েছেন দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেন, জিয়াউর রহমান রনাঙ্গনের যোদ্ধা, তিনি গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছিলেন, স্বাধিনতা ও মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। আর যারা গণতন্ত্র কবরস্থ করেছে, যারা মানুষের অধিকার হরণ করেছে এবং মুক্তিযুদ্ধকে বির্তকৃত করেছে তারা এখন ক্ষমতায় নিঃসশ উল্লাশ করছে।

তিনি বলেন, সময়টা গণতন্ত্র বিরোধীদের হাতে এখন বন্দি। বন্দিদশা থেকে আমরা যখন গণতন্ত্ররেক উদ্ধার করতে পারবো, সেদিন সত্যকে আমরা প্রতিষ্ঠা করতে পারবো।

 

ad

পাঠকের মতামত