353137

শাশুড়িকে নিয়ে পালিয়েছেন জামাই, থানায় শ্বশুরের অভিযোগ

নিউজ ডেস্ক।। লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলায় স্ত্রীকে মারধর করে শাশুড়িকে নিয়ে পালানোর অভিযোগ উঠেছে এমদাদুল নামের এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। গতকাল সোমবার এ বিষয়ে হাতীবান্ধা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন তার শ্বশুর।

অভিযোগে তিনি জানান, গত ২২ জানুয়ারি হাতীবান্ধা উপজেলার সিঙ্গিমারী ইউনিয়নের ধুবনী গ্রামে এক আত্মীয়ের বাড়িতে ছিলেন তার স্ত্রী। সেখান থেকে তার স্ত্রীকে নিয়ে পালিয়ে যান মেয়ের জামাই এমদাদুল।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, শ্বশুরের বাড়ি পাশের নীলফামারী জেলার ডিমলা উপজেলার উত্তর সোনাখুলি এলাকায়। জামাই এমদাদুল (এনদা) একই এলাকার তরিফ উদ্দিনের ছেলে। কয়েক দিন আগে নিজ বাড়িতে মায়ের সঙ্গে স্বামীর মেলামেশা দেখে ফেলেন এমদাদুলের স্ত্রী। এ জন্য সাতদিন ঘরে আটকে রেখে তাকে মারধর করেন এমদাদুল। পরে তার স্ত্রী রাতে দরজা ভেঙে খালার বাড়ি উপজেলা হাতীবান্ধার ধুবনী এলাকায় পালিয়ে গিয়ে হাতীবান্ধা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হন। এ সুযোগে শাশুড়িকে নিয়ে সটকে পড়েন এমদাদুল।

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন এমদাদুলের স্ত্রী বলেন, ‘বিয়ের পর সংসার ভালোই চলছিল। কিন্তু কী থেকে কী হলো নিজেও জানি না। আমার মা আমার স্বামীর বাড়িতেই বেশি সময় থাকতেন। স্বামী ইমদাদুলের আমার চেয়ে মায়ের সঙ্গেই বেশি সম্পর্ক গড়ে ওঠে। কয়েক দিন মায়ের সঙ্গে তার মেলামেশা দেখে ফেলি। এতে স্বামী আমাকে মারধর করে সাতদিন ঘরে তালা দিয়ে আটকে রাখেন। পরে রাতে অসুস্থ অবস্থায় দরজা ভেঙে পালিয়ে এসে খালা বাড়িতে আশ্রয় নেই এবং হাতীবান্ধা হাসপাতালে ভর্তি হই। এ ঘটনায় আমি হাতীবান্ধা থানায় একটি নির্যাতনের অভিযোগ দিয়েছি।’

তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করে জামাই এমদাদুল বলেন, ‘আমার স্ত্রী অনেকের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন। এ নিয়ে একাধিকবার গ্রাম্য সালিস হয়েছে। আমার শাশুড়ি আমার পক্ষে কথা বলায় তারা বাপ-বেটি মিথ্যা অপবাদ দিচ্ছে। আমি কোথাও আমার শাশুড়িকে নিয়ে যাইনি। আমি বড়খাতা বাজারে নিয়মিত দোকান করছি। আমিও এসবের প্রতিকার চেয়ে থানায় একটি অভিযোগ করেছি।’

হাতীবান্ধা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এরশাদুল আলম বলেন, ‘অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

 

ad

পাঠকের মতামত