352914

দাম বেড়েছে গরুর মাংসের

নিউজ ডেস্ক।। রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে মাঝে মাঝেই মুরগির দামে ওঠানামা করতে দেখা গেলও কয়েক মাস ধরে একই দামে বিক্রি হয়ে আসছিল গরু ও খাসির মাংস। তবে শুক্রবার (২৯ জানুয়ারি) মালিবাগ কাঁচাবাজারে গিয়ে জানা গেল ভিন্ন তথ্য- বেড়েছে গরুর মাংসের দাম।

দাম বৃদ্ধির কারণ জানতে চাইলে বিক্রেতারা জানান, বাজারে গরুর সরবরাহ কমছে। তাই কেজিতে ১০ টাকা বেড়েছে। অর্থাৎ কয়েক দিন আগেও সাড়ে ৫৫০ টাকায় এক কেজি গরুর মাংস পাওয়া গেলেও এখন বিক্রি হচ্ছে ৫৬০ টাকায়। তবে, এই দাম ক্রেতা-বিক্রেতার দরদামের ওপর নির্ভর করে ৫৮০ পর্যন্তও ঠেকছে।

তবে, চাহিদা-জোগানের হেরফের না হওযায় খাসির মাংসের দাম আগের মতোই আছে। অর্থাৎ প্রতি কেজি খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে ৮০০ থেকে সাড়ে ৮০০ টাকায়।

মাংসের বাজারে দেশি-বিদেশি ও ব্রয়লা জাতের মুরগির দামও রয়েছে স্থিতিশীল। বিক্রেতারা জানান, প্রতি কেজি ব্রয়লার বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকায় আর এক পিস দেশি মুরগির দাম পড়ছে ২০০ থেকে ৩০০ টাকা। ডিমও বিক্রি হচ্ছে আগের দামেই। বাজারে ফার্মের মুরগির ১০০ লাল ডিম পাওয়া যাচ্ছে সাড়ে ৬০০ টাকায়। ফার্মের মুরগির সাদা ডিমের ১০০ পিস পড়ছে ৬২০ টাকা আর দেশি মুরগির ডিম বিক্রি হচ্ছে ১২শ’ টাকা ১০০ পিস হিসাবে। দেশি হাঁসের ১০০ ডিমের দাম পড়ছে সাড়ে ১১শ’ টাকা।

মাছের বাজারও রয়েছে স্থিতিশীল। প্রতিকেজি বড় আকারের রুই-কাতলা বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকায়; বড় আইড়-বোয়ালের কেজি পড়ছে ৬০০ থেকে এক হাজার টাকা। প্রতি কেজি দেশি কই ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা, শোল-শিং ৪০০ থেকে ৫০০, টেংরা-পুঁটি সাড়ে ৩০০ থেকে ৫০০ ও এক কেজি চিংড়ি-পাবদার দাম পড়ছে ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা।

বিক্রেতারা জানান, মাছের সরবরাহ রয়েছে চাহিদামতোই। তবে, করোনার কারণে মানুষে আয়ের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ায় বাজারে মাছের বিক্রি কমেছে। কারণ, আগে যিনি ৫ কেজি মাছ কিনতেন এখন কিনেন অর্ধেক, আর আগে যিনি ৪ কেজি কিনতেন এখন কিনেন ২ কেজি।

নিয়মিত মালিবাগ বাজারে আসা কয়েকজন ক্রেতা জানান, অন্যান্য বাজারের তুলনায় এই বাজারে দাম কিছুটা বেশি থাকে।

তবে, কমতির দিকে শাকসবজির বাজার। বাজারে বেশির ভাগ সবজির দাম ৪০ থেকে ৬০ টাকার মধ্যে। আলু, টমেটো, পেঁপেসহ অনেক সবজি বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকার নিচে।

 

ad

পাঠকের মতামত