352471

১৮ দিনের সন্তান রেখে যুবলীগ নেতার স্ত্রীর মৃত্য নিয়ে রহস্য

নিউজ ডেস্ক।। শ্বশুরবাড়ির লোকজনের দাবি ডলি আক্তার (২১) নামে ওই গৃহবধূর ১৮ দিনের সন্তান রেখে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন।

তবে নিহত ডলির পরিবারের দাবি তাকে হত্যা করা হয়েছে। ঘটনার পর থেকেই পলাতক রয়েছে তার স্বামী উপজেলা যুবলীগের শিক্ষা ও পাঠাগার বিষয়ক সম্পাদক মহির উদ্দিন (৪০)।

নিহত ডলি আক্তার (২১)উপজেলার হিজুলিয়া গ্রামের হযরত আলীর বড় মেয়ে।

বুধবার সকালে ঘিওর উপজেলার বড়টিয়া ইউনিয়নের হিজুলিয়া গ্রামের ওই বাড়ি থেকে ওই নারীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ।

নিহতের বড় ভাই মো. সানি মিয়া বলেন, দুই বছর আগে তার বোনকে একই গ্রামের আবুল প্রধানের ছেলে যুবলীগ নেতা মহির উদ্দিনের (৪০) সঙ্গে বিয়ে দেয়া হয়। বোনের চেয়ে তার বয়স বেশি হওয়ায় প্রথমে পরিবারের লোকজন তার সঙ্গে বিয়ে দিতে রাজি ছিলো না। পরে নানা চাপের মুখে ওই যুবলীগ নেতার সঙ্গে বোনকে বিয়ে দিতে বাধ্য হন তারা।

কিন্তু ওই যুবলীগ নেতা মাদকাসক্ত হওয়ায় প্রায়ই তার বোনকে মারধরসহ শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করতো। এক সপ্তাহ আগে বোন সন্তান প্রসব করে। তাদের বাড়িতে গিয়েও বোনকে মারধর করে মহির উদ্দিন।এর প্রতিবাদ করলে তার সঙ্গেও হাতাহাতি হয়। পরে স্বামীর সঙ্গে বোন শ্বশুরবাড়ি চলে আসে।

বুধবার সকালে খবর পেয়ে ওই বাড়িতে গিয়ে তিনি তার বোনের মরদেহ বাড়ির ওঠানে পড়ে থাকতে দেখেন। এসময় মহির উদ্দিনের মা ও ভাবি তাকে জানান তার বোন আত্মহত্যা করেছে।

সানির অভিযোগ, দুই বছর ধরে নির্যাতন করলেও তার বোন সব সহ্য করেছে।আর এখন ১৮ দিনের ছেলে সন্তান রেখে আত্মহত্যা করতে পারে না।তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।

ঘিওর থানার ওসি রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ বিপ্লব জানান, গৃহবধূর আত্মহত্যার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়।

নিহতের শ্বশুরবাড়ির লোকজন জানিয়েছে, ডলি আক্তার বুধবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে গলায় ওড়না পেছিয়ে ঘরের মধ্যে আত্মহত্যা করেছে।পরে নবজাতকের কান্নার শব্দ পেয়ে ঘরে গিয়ে তারা মায়ের ঝুলন্ত লাশ দেখতে পান।

পরে তাকে সেখান থেকে নামিয়ে আনেন স্বজনরা। সকালে নিহতের স্বামী ঘিওর বাজারে যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হলেও তিনি ফিরে আসেননি।

পুলিশ গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মানিকগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। রিপোর্ট পাওয়া গেলেই মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে বলে জানান পুলিশের ওই কর্মকর্তা। উৎস: যুগান্তর।

 

ad

পাঠকের মতামত