352465

ননদকে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে বিক্রির অভিযোগ, ভাবী আটক

নিউজ ডেস্ক।। ভোলার লালমোহন উপজেলার এক তরুণীকে মোটা অংকের বেতনে শাড়ী কাপড়ে পুঁতি লাগানোর চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে ভারতে নিয়ে বিক্রি করেছেন তারই ভাবী। ঘটনার প্রায় একবছর পর ভারতের ব্যাঙ্গালোর থেকে কৌশলে পালিয়ে দেশে ফিরে থানায় অভিযোগ করেন ওই তরুণী ।

পরে তরুণীর অভিযোগের ভিত্তিতে বুধবার (২০ জানুয়ারি) রাতে উপজেলার ডাওরী এলাকায় অভিযান চালিয়ে তরুণীটির ভাবী রুমা বেগমকে আটক করে লালমোহন থানা পুলিশ।

লালমোহন থানার ওসি মাকসুদুর রহমান মুরাদ জানান, ‘নির্যাতিতা ওই তরুণী বাদী হয়ে তার ভাবী রুমা বেগম, রুমা বেগমের ফুফু (ভারতে অবস্থানকারী) জোসনা বেগম এবং জোসনা বেগমের স্বামী মোস্তাকিন আলী বাবুর বিরুদ্ধে মামলা করেছেন।’

মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, নির্যাতিতা তরুণীটির আপন ভাবী রুমা বেগম, তার ফুফু জোসনা বেগমের মাধ্যমে প্রায় ৩ বছর আগে ভারতের ব্যাঙ্গালোর যায়। সেখানে রুমাকে দিয়ে দেহ ব্যবসা করায় রুমার আপন ফুফু জোসনা। গত দুই বছর আগে রুমা বেগম দেশে ফিরে তার ননদকে (নির্যাতিতা তরুণী) শাড়ী কাপড়ে পুঁতি লাগানোর কাজে মোটা অংকের বেতনে চাকরীর প্রলোভন দেখাতে থাকে। এরই মধ্যে লালমোহনের ডাওরী এলাকায় ওই তরুণীটির বাড়িতে হাজির হন রুমা বেগমের ফুফু ভারতের ব্যাঙ্গালোরের বাসিন্দা জোসনা বেগম।

২০২০ সালের ১৫ জানুয়ারি রুমার ফুফু জোসনা বেগম, তরুণীটিকে প্রথমে ঢাকায় নিয়ে একটি বাসায় উঠায়। সেখানে আটকে রাখে ২০ দিন। এর পর তাকে বেনাপোল ও কলকাতা হয়ে ব্যাঙ্গালোর নিয়ে একটি বাসায় রাখে আরও ২০ দিন। পরে জোসনা বেগম, তরুণীটিকে দালালদের কাছে বিক্রি করে দেয়। দালালরা ভারতের বিভিন্ন যায়গায় তরুণীটিকে প্রায় এক বছর ঘুরিয়ে দেহ ব্যবসার কাজে বাধ্য করে।

গত ১৫ ডিসেম্বর তরুণীটি কৌশলে দালালদের হেরেমখানা থেকে পালিয়ে আশ্রয় নেয় ব্যাঙ্গালোরের মারোথরি থানায়। এর পর গত ১ জানুয়ারি মারোথরি থানা পুলিশ যশোরের এনজিও সংস্থা জাষ্টিজ এ্যান্ড কেয়ারের হাতে তুলে দেয় তরুণীটিকে। পরে গত ২০ জানুয়ারি বুধবার এনজিও সংস্থার লোকজন তরুণীটিকে নিয়ে লালমোহন থানায় হাজির হয়।

এনজিও সংস্থা জাষ্টিজ এ্যান্ড কেয়ারের প্রোগ্রাম অফিসার মুহিদুল ইসলাম জানিয়েছেন, ‘নির্যাতিতা তরুণীটির ভাবী রুমা বেগমই তার আপন ননদকে জেনে শুনে ভারতের বাসিন্দা রুমার ফুফু জোসনার হাতে তুলে দিয়েছে। রুমা ভারতে গিয়ে নিজেও এই ঘটনার শিকার হয়ে বিষয়টি গোপন করেছে এবং তার ননদের জীবনকেও বিপন্ন করেছে। এমন অপরাধীদের বিচার হওয়া উচিৎ।’

 

ad

পাঠকের মতামত