352320

ধর্ষণের শিকার ভুক্তভোগী নারীর সন্তান হলে সেই সন্তানের দায়িত্ব নেবে সরকার

নিউজ ডেস্ক : ধর্ষণের শিকার ভুক্তভোগী নারীর সন্তান হলে সেই সন্তানের দায়িত্ব নেবে সরকার। ধর্ষকের সম্পদ থেকে ভরণপোষণের এ টাকা আদায় করা হবে।

প্রস্তাবিত ‘নারী শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০২১’- এমন বিধান রাখা হয়েছে। ভুক্তভোগীকে দেয়া হয়েছে গর্ভপাতের অনুমতিও।

আর ধর্ষণের শিকার নারীর সন্তান বেড়ে উঠবে মায়ের পরিচয়ে। এ আইনকে দেশের বিচারবিভাগের জন্য মাইলফলক বলছেন আইন সংশ্লিষ্টরা।

মাতৃত্ব প্রতিটি নারীর জন্য গৌরব বয়ে আনলেও ধর্ষণের শিকার নারী কিংবা কিশোরী যখন মা হয়, তখন তার নবজাতক শিশুটির ভাগ্যে জোটে অসহনীয় অপমান আর লাঞ্ছনা। ভুক্তভোগীর মতোই শিশুটির ভবিষ্যৎ হয়ে পড়ে অনিশ্চিত।

বিচারের জন্য আদালতের দ্বারস্ত হলেও মামলার নিষ্পত্তি হতে বছরের পর বছর পার হয়। ততদিনে হতদরিদ্র ভুক্তভোগী পরিবার নিঃস্ব হয়ে মামলা তুলে নিতে বাধ্য হন। আবার কখনও জামিনে বেরিয়ে ধর্ষক দেখাতে থাকে রক্তচক্ষু। ভুক্তভোগী এক নারী জানান, কোথায় আমার সন্তানকে নিয়ে যাবো। তার ভবিষ্যৎ কী হবে। আমার কী হবে।

এমন অবস্থায় ধর্ষণের শিকার নারী আর তার সন্তানের সুরক্ষায় নতুন আইন পাসের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। প্রস্তাবিত আইনে বলা হয়েছে ধর্ষণের শিকার নারীর সন্তান শুধু তার মায়ের পরিচয়েই পরিচিত হবেন। আর শিশুটির ২১ বছর পর্যন্ত সরকার তার ভরণপোষণের দায়িত্ব নেবে। যা আদায় করা হবে ধর্ষকের কাছ থেকে।

খসড়া আইনটিতে বলা হয়েছে, ধর্ষণের কারণে অন্তঃসত্ত্বা হলে গর্ভধারণের ১০ সপ্তাহের মধ্যে স্বেচ্ছায় ভুক্তভোগী গর্ভপাত করাতে পারবেন।

দেশের বিচার বিভাগের জন্য এ আইনকে মাইলফলক- বললেন আপিল বিভাগের সাবেক বিচারপতি এ এইচ এম শাসমুদ্দিন চৌধুরী। তিনি বলেন, এই আইনটা আরো আগে করা প্রয়োজন ছিলো। কেউ যদি ধর্ষণের শিকার হয়ে অন্তঃস্বত্বা হয়ে যান তাহলে বাচ্চার দায়িত্বভার বহন তার জন্য বোঝা।

অ্যাটর্নি জেনারেল আবু মোহাম্মদ আমিন উদ্দিন বলেন, আইনটি বাস্তবায়ন হলে ধর্ষণের শিকার নারী ও তার সন্তানের সুরক্ষা অনেকাংশে নিশ্চিত হবে।

আইন কমিশনের প্রস্তাবিত আইনটি সংসদে বিল আকারে উপস্থাপনের জন্য পাঠানো হয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, আইন এবং মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ে।-সময়নিউজ

 

ad

পাঠকের মতামত