351191

এয়ার ফ্রেশনার ব্যবহারে যে জন্য সতর্ক হবেন

নিউজ ডেস্ক।। দৈনন্দিন জীবনে আমরা সকলেই এয়ার ফ্রেশনার ব্যবহার করে থাকি। এখন প্রশ্ন হচ্ছে এই এয়ার ফ্রেশনার কতটা নিরাপদ? বিশেষজ্ঞদের মতে এই এয়ার ফ্রেশনারে রাসায়নিক রয়েছে। তাই তাদের মতে এটি কখনও নিরাপদ নয়।

ঘরের পরিবেশ স্যাঁতসেঁতে হয়ে গেলে বা ঘরে অবাঞ্ছিত কোনো দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়লে এয়ার ফ্রেশনার ব্যবহার করে থাকি আমরা। অনেকে আবার ঘরের বাতাসকে সুগন্ধযুক্ত করার জন্যও এয়ার ফ্রেশনার ব্যবহার করেন। প্রচলিত বাক্য রয়েছে যে, সুন্দর পরিবেশ মানসিকতাকেও সুন্দর করে তুলে। এ কারণেই হয়তো ঘরে এয়ার ফ্রেশনার ব্যবহার করা হয়।

এদিকে বিশেষজ্ঞরা বলছেন এয়ার ফ্রেশনার নিরাপদ নয়। তাদের মতে, এয়ার ফ্রেশনারে রাসায়নিক থাকে। যা কিনা মানবদেহের জন্য অনেক ক্ষতিকর। সেন্টেড ক্যান্ডেল ও কসমেটিক্স- এসবও এয়ার ফ্রেশনারের মতোই ক্ষতিকর। এসব ব্যবহারিক সামগ্রীতে রয়েছে থ্যালেট। থ্যালেট মূলত প্লাস্টিকের বোতল এবং বক্স তৈরিতে ব্যবহার করা হয়। এই ক্ষতিকারক রাসায়নিক শরীরের হরমোনের জন্য অনেক ঝুঁকিপূর্ণ।

ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাস্থ্য ও পরিবেশ বিশেষজ্ঞদের গবেষণা বলছে, রুমে এয়ার ফ্রেশনার ব্যবহার করলে তা বিক্রিয়া দ্বারা বিভাজিত হয়ে ক্ষতিকর যৌগে রূপ নেয়। তার অর্থ এই নয় যে, এয়ার ফ্রেশনার একদমই ব্যবহার করতে নিষেধ করছেন বিশেজ্ঞরা। তবে অবশ্যই সতর্কতার বিষয়টি মনে রাখতে বলা হয়েছে।

এয়ার ফ্রেশনার ব্যবহারের ক্ষেত্রে মুখে মাস্ক ব্যবহার করা অনেক জরুরি। অন্যাথায় বিষাক্ত বাতাস খুব সহজেই নিশ্বাসের সাথে ফুসফুসে প্রবেশ করবে এবং যে কোনও ধরনের দুর্ঘটনার কারণ হয়ে যেতে পারে। প্রয়োজনে ঘরের দরজা-জানালা খুলে স্প্রে করুন এয়ার ফ্রেশনার।
বাড়িতে অনেক বয়স্কদের হার্টের সমস্যা থেকে থাকে। যদি এমন মানুষ বাড়ি থেকে থাকে তাহলে এয়ার ফ্রেশনার ব্যবহার না করাই উত্তম। শ্বাসকষ্ট থাকলেও এড়িয়ে যাওয়া উচিত। চিকিৎসকরা এই দুই শ্রেণীর মানুষদের এয়ার ফ্রেশনার ব্যবহার করতে নিষেধ করে থাকেন।

ad

পাঠকের মতামত