
অন্য দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপে চীনের গুপ্তচর নেটওয়ার্ক!
বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে চীনের বিশাল গুপ্তচর নেটওয়ার্ক। চীনের ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টি (সিসিপি) তাদের স্বার্থে এ নেটওয়ার্ককে কাজে লাগাচ্ছে। গণতান্ত্রিক দেশগুলোর অভ্যন্তরীণ বিষয়কে প্রভাবিত করতেই বিশ্বজুড়ে গুপ্তচরবৃত্তি চালানো হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
সাম্প্রতিক এক পরিসংখ্যানের বরাত দিয়ে ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম জিনিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চীনের এই বিশাল নেটওয়ার্ক বিভিন্ন দেশে গুপ্তচরবৃত্তির গভীরতাই প্রকাশ করছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘আফগান জাতীয় সুরক্ষা অধিদপ্তর (এনডিএস) সম্প্রতি চীনা গুপ্তচরদের বিশাল নেটওয়ার্ক প্রকাশ করেছে। এই নেটওয়ার্ক এ অঞ্চলের ভূ-রাজনীতিকে প্রভাবিত করার চেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে এবং চীন সরকারের বিভিন্ন কার্যক্রম তুলে ধরছে।’
গত ডিসেম্বরে আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুল থেকে ল ইয়াংইয়াং নামের এক চীনা গুপ্তচরকে আটক করে আফগানিস্তান। গত জুলাই থেকে আফগানিস্তানে গুপ্তচরবৃত্তি করে আসছিল ইয়াংইয়াং। আটকের পর তার বাসা থেকে অস্ত্র, গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়।
একই দিনে কাবুলের শিরপুরের বাসভবন থেকে শিয়া হাং নামে আরেক চীনা গুপ্তচরকে আটক করাহয়। অভিযানের সময় তার বাসভবন থেকে বিস্ফোরক দ্রব্য উদ্ধার করা হয়।
এরপর আরও সাত গুপ্তচরকে আফগানিস্তান থেকে আটক করা হয়। যারা চীনের হয়ে আফগানিস্তানে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করছিল। কাবুল থেকে আটক চীনা দুই গুপ্তচর চীনের গুপ্তচর নেটওয়ার্কের আফগানিস্তান প্রধান হিসেবে কাজ করছিল বলে জানা গেছে।
ধারণা করা হয়, পাকিস্তানি সংস্থা আইএসআই আফগানিস্তানের হাক্কানী নেটওয়ার্ক এবং চীনা গোয়েন্দা এজেন্টদের মধ্যে মধ্যস্থতাকারী হিসেবে কাজ করে থাকে।
বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, পাকিস্তান হাক্কানী নেটওয়ার্কের সঙ্গে কাজ করছে এবং চীন পাকিস্তানের তালেবানকে অর্থ যোগান দিচ্ছে। আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের পরই দুটি দেশ তালেবান এবং আল কায়েদার মাধ্যমে নিজেদের কর্মকাণ্ড পরিচালনা করছে। তারা আফগানিস্তানের শান্তির বিরুদ্ধে গোপনে গুপ্তচরবৃত্তি করছে।