350398

ফোনে কথা বলার স‍ুযোগ পাচ্ছে বন্দিরা, কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে সিন্ডিকেট

কারাগারে বন্দিরা মোবাইলফোনে স্বজনদের সঙ্গে কথা বলার সুযোগ পাচ্ছে। কেরানীগঞ্জে অবস্থিত ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে প্রায় ১১ হাজার হাজতি ও সাজাপ্রাপ্ত কয়েদি রয়েছেন। অভিযোগ রয়েছে, এসব কারাবন্দি পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সরকারি নির্দেশে প্রতি সপ্তাহে দুবার মোবাইল ফোনে ২০ টাকা চার্জ দিয়ে কথা বলার সুযোগ পান।

জানা যায়, কারারক্ষীরা সরকারি এ সুযোগকে কাজে লাগিয়ে সিন্ডিকেটের মাধ্যমে পাঁচ মিনিট কথা বলিয়ে ২০,০ টাকা করে নিচ্ছেন। সেই হিসাবে প্রতি মাসে কারাবন্দিদের কাছ থেকে তারা হাতিয়ে নিচ্ছেন অন্তত ২ কোটি টাকা। আরো অভিযোগ রয়েছে, করোনাকে পুঁজি করে দর্শনার্থীদের আনা কোনো খাবার ও শীতের কাপড় গ্রহণ করতে দেওয়া হয় না কারাবন্দিদের। সে ক্ষেত্রে কারারক্ষীরা পিলখানা হত্যাযজ্ঞের সাজাপ্রাপ্ত কয়েদিদের মাধ্যমে খাবার হোটেল, চা দোকান ও তৈরি পোশাকের ব্যবসা পরিচালনা করে থাকেন। তাই বাধ্য হয়ে এসব দোকান থেকে শীতবস্ত্র কিনতে হয় কারাবন্দিদের। আর সেজন্য তাদের গুনতে হয় স্বাভাবিক বাজারের চেয়ে কয়েক গুণ বেশি টাকা। যাদের বাড়তি দামে এসব কাপড় কেনার সামর্থ্য নেই, তারা পোহাচ্ছেন নিদারুণ দুর্ভোগ।

কারাগারে বন্দিদের কাছে এক কাফ চা কিংবা কফির দাম নেওয়া হয় ৫০ টাকা থেকে ৮০ টাকা। তাছাড়া অন্য খাদ্যদ্রব্যের মধ্যে ব্রয়লার মুরগি পিস ১৫০ থেকে ২০০ টাকা, পাঙ্গাশ মাছের পিস ১২০ থেকে ১৫০ টাকা, গরুর মাংসের পিস ২০০ থেকে ৩০০ টাকা, প্লেটপ্রতি মোরগ পোলাও ২৫০ থেকে ৩৫০ টাকায় বিক্রি হয়। বাজারে শীতকালীন সবজির ব্যাপক সমারোহ এবং তুলনামূলক দাম কম হলেও এখানকার হোটেলে ব্যবহার করা হয় আধা পচাগলা চাল কুমড়া ও মিষ্টি কুমড়া। তার সঙ্গে যোগ হয় সস্তা দামের পাঙ্গাশ মাছ ও ব্রয়লার মুরগির মাংস। তাই সরকারিভাবে বরাদ্দকৃত খাবারের বাইরে কেউ অন্য কিছু খেতে চাইলে ভরসা কয়েদির মাধ্যমে পরিচালিত এ হোটেল।

অভিযোগ ও অনিয়মের ব্যাপারে জেলার মাহবুব আলম জানান, জেলখানায় হাজতি ও কয়েদিদের কিছু নিয়ম মেনে চলতে হয়। তাদের স্বার্থহানি ঘটলে তারা বিভিন্ন সময় কারারক্ষীদের বিরুদ্ধে এ ধরনের অভিযোগ তোলেন। তাদের অভিযোগ সত্য নয়।

সূত্র: বিডি২৪লাইভ

ad

পাঠকের মতামত