350330

ড্রোনে মাদক পাচার!

পাক-ভারত সীমান্তে ড্রোনের সাহায্যে মাদক এবং অস্ত্র পাচার করা হচ্ছিল বলে জানিয়েছে পাঞ্জাব পুলিশ। এ ঘটনায় দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

পুলিশ জানায়, পাঞ্জাবে ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে রিমোটচালিত ড্রোনের সাহায্যে বর্ডারের দুই পাড়ে পাচারের কাজ চলত।

জানা যায়, পুলিশ একটি কোয়াডকপ্টার ড্রোন বাজেয়াপ্ত করেছে। এই ধরনের ড্রোন সেনাবাহিনী সীমান্তে ব্যবহার করে। নজরদারির জন্য ভারত-পাক সীমান্তে এ ধরনের ড্রোন ব্যবহার করা হয়। সেই ড্রোনকেই নিজেদের কাজে লাগিয়েছিল পাচারকারীরা। ড্রোনে ড্রাগ এবং অস্ত্র লাগিয়ে তা সীমান্তের একদিক থেকে অন্য দিকে রিমোটের সাহায্যে পাঠিয়ে দেওয়া হতো। নিরাপদ জায়গায় সেই ড্রোন নামানো হতো। পাচারকারীরা প্রয়োজনীয় জিনিস খুলে ফের তা পাঠিয়ে দিত সীমান্তের অন্য প্রান্তে।

পুলিশ জানিয়েছে, পাকিস্তানের জঙ্গি সংগঠন এবং খালিস্তানপন্থি সংগঠনের যোগ মিলেছে ওই চক্রে। ধৃত ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদ করে নতুন নতুন তথ্য মিলছে। সন্ধান পাওয়া যাচ্ছে চক্রের অন্য পাণ্ডাদের।

যে ড্রোনটি পুলিশ বাজেয়াপ্ত করেছে, তার থেকে একটি ৩২ বোরের পিস্তল, গুলি এবং ড্রাগ উদ্ধার হয়েছে। যে দুই ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে তাদের নাম লখবীর সিং এবং বাচিত্তার সিং। দুজনই পাঞ্জাবের বাসিন্দা। অমৃতসর গ্রামীণ পুলিশ অভিযান চালিয়ে দুজনকে আটক করেছে। তাদের জেরা করে খালিস্তানপন্থি সংগঠনের যোগ মিলেছে বলে পুলিশ সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছে।

পাঞ্জাব পুলিশের প্রধান দীনকর সিং সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, জেরায় লখবীর জানিয়েছেন পাকিস্তানের কুখ্যাত ড্রাগ মাফিয়া চিস্তির সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ ছিল তাদের। পঞ্জাবের কয়েকজন জেলবন্দি ড্রাগ পেডলারও এই চক্রের সঙ্গে যুক্ত।

লখবীর জানিয়েছেন, চার মাস আগে দিল্লি থেকে তারা ড্রোনটি কিনেছিলেন। তারপর অপারেশন শুরু হয়।

পুলিশের ধারণা, এই ধরনের আরও বেশকিছু চক্র সীমান্তে কাজ করছে। তাদের খোঁজেও তল্লাশি শুরু হয়েছে।

সূত্র: পিটিআই ও এনডিটিভি

ad

পাঠকের মতামত