350179

বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধুর ভাষণের বদলে জিয়াউর রহমানের ভাষণ!

বিজয় দিবসের কর্মসূচিতে বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ও কালজয়ী ভাষণ আজও স্বাধীনতাপ্রেমী মানুষকে অনুপ্রাণিত করে।

বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকী, স্বাধীনতা ও বিজয় দিবস, জাতীয় শোকদিবস-সব অনুষ্ঠানেই ঐতিহাসিক এই ভাষণ প্রচার হয়ে উঠেছে।

কিন্তু রাজশাহীর তানোর আবদুল করিম সরকার সরকারি কলেজে বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে ঘটেছে গুরুতর ভাষণ বিভ্রাট!
বিজয় দিবসে বুধবার সকালে বঙ্গবন্ধুর ভাষণ বাজাতে গিয়ে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ভাষণ বাজানো হয়েছে।

ঘটনা টের পেয়ে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতারা ছুটে গিয়ে জিয়াউর রহমানের ভাষণ বাজানো বন্ধ করেন। কলেজ অধ্যক্ষের এমন দায়িত্ব অবহেলায় চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে স্থানীয়দের মাঝে।

কলেজের একাধিক শিক্ষক ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা জানান, সকালে কলেজের শিক্ষক কর্মচারীরা কলেজ শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। এ সময় কলেজের নিজস্ব সাউন্ড সিস্টেমে বাজতে শুরু করে সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ভাষণ।

বিষয়টি প্রথমে অধ্যক্ষ শিক্ষক কর্মচারীরা কেউই খেয়াল করেননি। তবে স্থানীয় গোল্লপাড়া বাজারে অবস্থানকারী দলীয় নেতাকর্মীরা শুনতে পেয়ে কলেজে ছুটে গিয়ে ভাষণ বন্ধ করেন। পরে বঙ্গবন্ধুর ভাষণ সংগ্রহ করে সেটি বাজানো শুরু হয়।

কীভাবে এমন গুরুতর ভাষণ বিভ্রাট ঘটল জানতে চাইলে কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আব্দুল আজিজ বলেন, মঙ্গলবার কলেজের পিয়ন আরিফ ও ফুলকুমারকে বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ একটি মেমোরি কার্ডে তুলে আনতে স্থানীয় একটি মাইক সার্ভিসে পাঠানো হয়। সেখান থেকে বঙ্গবন্ধুর ভাষণের বদলে জিয়াউর রহমানের ভাষণ দেয়া হয়। ।

এ সময় মেমোরি কার্ডে বঙ্গবন্ধুর ভাষণ তোলা হয়েছে কিনা সেটা পরীক্ষা করে দেখা হয়নি। বিজয় দিবসের কর্মসূচির শুরুতে ভাষণ বাজাতে গিয়ে এই বিভ্রাট ঘটে গেছে। এটি ইচ্ছাকৃত নয়- ভুলক্রমে ঘটেছে বলে অধ্যক্ষের দাবি।

এদিকে কলেজের কয়েকজন শিক্ষক কর্মচারী জানান, কলেজের অধ্যক্ষ আগে তানোরের তালোন্দ ইউনিয়ন বিএনপির সহ-সভাপতি ছিলেন।

২০১৩ সালে তিনি আওয়ামী লীগে যোগ দেন। পরে তাকে উপাধ্যক্ষ করা হয়। কিছুদিন আগে তাকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।

স্থানীয় আওয়ামী লীগ বিষয়টিকে স্বাধীনতার বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্র মনে করে তদন্তের দাবি জানিয়েছে। এর সঙ্গে জড়িতদের শাস্তির দাবি করেছেন তারা।

সূত্র: যুগান্তর

ad

পাঠকের মতামত