349984

কাঁদতে কাঁদতে মুখ ঢেকে মাঠ ছাড়লেন নেইমার

স্পোর্টস ডেস্ক: রোববার ফ্রেঞ্চ লিগ ওয়ানে লিঁওর বিপক্ষে হেরে গেছে ফরাসি জায়ান্ট প্যারিস সেইন্ট জার্মেই (পিএসজি)।

ম্যাচের ৩৫ মিনিটে টিনো কাদেওয়েরের গোলে লিড নেয় লিঁও। ওই এক গোলেই শেষ পর্যন্ত জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে দলটি।

তবে ম্যাচের ফল ছাপিয়ে গেছে পিএসজি তারকা নেইমারের কান্না।

ম্যাচের যোগ করা সময়ে সাত মিনিটের মাথায় ব্রাজিলিয়ান সুপারস্টারকে বিপজ্জনক ট্যাকল করেন তার দেশেরই মিডফিল্ডার থিয়াগো মেন্দেজ।

এতে মারাত্মক আঘাত পেয়ে লুটিয়ে পড়েন নেইমার। ব্যথা এতটাই চরম ছিল যে মাঠেই তাকে কাঁদতে দেখা গেছে। এর পর স্ট্রেচারে শুয়ে কাঁদতে কাঁদতেই মাঠ ছাড়তে হয়েছে এই পিএসজি তারকাকে।

নেইমারকে ওই মারাত্মক ট্যাকলের পর ভিএআর সাহায্য নিয়ে মেন্দেজকে লালকার্ড দেখিয়ে মাঠ ছাড়া করেন রেফারি বেনোইত বাস্তিয়েন।

রোববার রাতের ওই ম্যাচে নেইমারের ওপর চড়াও হয়ে খেলেছে লিঁও। সব মিলিয়ে নেইমারকে ছয়বার বিপজ্জনক ট্যাকল করেছেন লিঁওর খেলোয়াড়রা।

বাকি সবগুলোতে উতরে গেলেও মেন্দেজের করা ট্যাকলটি ছিল সবচেয়ে বেশি জঘন্য।

ম্যাচের অন্তিম সময়ে সমতায় ফিরতে প্রাণপণ চেষ্টা করে যাচ্ছিলেন নেইমার।

এ সময় দুজন প্রতিপক্ষকে ড্রিবলিংয়ে পরাস্ত করে সামনে এগিয়ে যান নেইমার। তৃতীয় খেলোয়াড় মেন্দেজকেও ড্রিবলিং করার চেষ্টা করেন।

কিন্তু মেন্দেজ কোনো রকম ব্যাকরণের ধার না ধরে স্লাইডিং ট্যাকল করে নেইমারকে রুখে দেয়ার চেষ্টা করেন।

এতে মেন্দেজের দুই পায়ের সঙ্গে বাঁ পা আটকে গোড়ালিতে মারাত্মক আঘাত পান নেইমার।

পড়ে গিয়ে ব্যথায় মুখ বিকৃত করে কাঁদতে শুরু করেন। হাত বাড়িয়ে সাহায্য চান। মাঠে মেডিকেল দল ছুটে গিয়ে তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ব্যথা উপশমের চেষ্টা করেন। কিন্তু ব্যথার প্রকোপ এত ছিল যে, তাকে স্ট্রেচারে করে মাঠ ছাড়তে হয়। এ সময় চোখের জলে বুক ভেসে যায় নেইমারের। কান্না লুকাতে দুই হাতে মুখও ঢেকে ফেলেন তিনি।

নেইমারের চোট কতটা গুরুতর তা জানা যায়নি। এ বিষয়ে এখনও কোনো বিবৃতি দেয়নি পিএসজি।

অবশ্য পিএসজি কোচ টমাস টুখেল বলেন, ‘নেইমার এখন ফিজিও ও চিকিৎসকদের সঙ্গে আছে। চোট কতটা মারাত্মক, তা সোমবার পরীক্ষার পর বলা যাবে।’

তথ্যসূত্র: স্কাই স্পোর্টস

ad

পাঠকের মতামত