349951

হামলা করতে পারে চীন-পাকিস্তান, দ্বিমুখী যুদ্ধের প্রস্তুতি ভারতের

তাহলে কি শেষ পর্যন্ত যুদ্ধ হতে চলেছে? ভারতের সেনাবাহিনীর গোপন রিপোর্টে এমন সম্ভাবনার কথা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। পূর্ব লাদাখে উত্তপ্ত পরিস্থিতি আপাতত কিছুটা নিয়ন্ত্রণে থাকলেও কখন পানি মাথার ওপর চলে যাবে আন্দাজ করা কঠিন। দুই দেশ সামরিক এবং কূটনৈতিক স্তরে আলোচনা চালিয়ে গেলেও কোন সমাধানে পৌঁছানো যায়নি।

এ খবর জানিয়েছে ভারতীয় গণমাধ্যম নিউজ এইটটিন। গণমাধ্যমটি আরও জানায়, অবস্থার অবনতি হয় যখন চীন জানিয়ে দেয় ভারতের সঙ্গে পূর্বনির্ধারিত ডাকটিকিট প্রকাশ স্থগিত রাখছে তারা। এর ফলে দুই দেশের মধ্যে আবার দূরত্ব তৈরি হয়েছে। পাশাপাশি পশ্চিম সীমান্তে পাকিস্তান প্রতিদিনই হামলার ষড়যন্ত্র করছে। নিজেদের এয়ারবেস এবং হেলিপ্যাড তারা চীনকে খুলে দিয়েছে। স্কর্দুসহ বেশ কিছু বেস নতুন করে তৈরি করা হয়েছে।

অন্যদিকে পূর্ব সীমান্তে ভুটানের থেকে কিছু দূরে চীন নিজেদের বেসে চতুর্থ জেনারেশনের যুদ্ধবিমান নিয়ে প্রস্তুত রয়েছে। পাল্টা জবাব দিতে আগে থেকেই তিন বাহিনীকে যে কোনও ধরণের পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এবার আরও একটা পদক্ষেপ গ্রহণ করা হল যা নতুন অক্সিজেন দেবে ভারতের তিন বাহিনীকেই।
শোনা যাচ্ছে, আগে দ্বিমুখী যুদ্ধের জন্য যেখানে দশ দিনের অস্ত্র ভাণ্ডার মজুত রাখার কথা বলা হয়েছিল, জরুরি ভিত্তিতে তা বাড়িয়ে দশ থেকে পনেরো দিন করা হয়েছে। নতুন বর্ধিত স্তরটি নিঃসন্দেহে বাহিনীর মনোবল বাড়াবে। ভারতের শীর্ষ স্থানীয় সরকারি সূত্রের মতে, সশস্ত্রবাহিনীকে এখন পনেরো আইতে উন্নীত করা হয়েছে।

এর ফলে চীন এবং পাকিস্তান দুই দেশের বিরুদ্ধে পনেরো দিন তীব্র যুদ্ধ করার মত জায়গায় থাকবে ভারত। তিন বাহিনীর প্রধান সিডিএস বিপিন রাওয়াত নিজে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেছেন। ভারত মহাসাগরে নৌবাহিনীকে সতর্ক করা হয়েছে। মার্কিন প্রযুক্তিতে তৈরি আধুনিক অ্যাটাক হেলিকপ্টার রোমিও নৌবাহিনীর হাতে ক’দিনের ভেতরেই চলে আসার কথা।

এছাড়া ছয়টি নতুন সাবমেরিন কিনছে ভারত। রাফাল আগে থেকেই রয়েছে হরিয়ানার আম্বালা এয়ার বেসে। এই জায়গা থেকে দুই শত্রু দেশেই অল্প সময়ের মধ্যে হামলা চালানো সম্ভব। ফরাসি বিমানের দ্বিতীয় ভাগ ক’দিনের মধ্যেই এসে পড়বে পশ্চিমবঙ্গের হাসিমারায়। এছাড়া রাশিয়ান মিসাইল ডিফেন্স সিস্টেম যুক্ত হচ্ছে ভারতীয় বাহিনী।

ad

পাঠকের মতামত