349882

গৃহবধূকে দেহ ব্যবসায় নামাতে না পেরে গণধর্ষণ করালেন আরেক নারী

জেলা প্রতিনিধি: মাদারীপুরের শিবচরে এক সন্তানের জননী গৃহবধূকে দলবেঁধে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। শনিবার (১২ ডিসেম্বর) দুপুরে উপজেলার পাঁচ্চর সোনার বাংলা প্লাজার সামনে এ ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় রাতে শিবচর থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী। ধর্ষণে জড়িত ও সহযোগিতার অভিযোগে আখি আক্তার নামের (২৫) এক নারীসহ দুইজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

মামলার বিবরণে জানা যায়, শনিবার দুপুরে ওই গৃহবধূকে একটি ইজিবাইকে উঠিয়ে পাঁচ্চর বাখরেরকান্দি প্রজেক্টের মধ্যে একটি একতলা বাড়িতে নিয়ে যায় আখি আক্তার, সুমন মোল্লাসহ পাঁচ ব্যক্তি। সেখানে হাত-পা ও মুখ বেঁধে আটকে রেখে বিকেল পর্যন্ত দুই দফায় তাকে ধর্ষণ করেন একাধিক ব্যক্তি। বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে মুখ বেঁধে ইজিবাইকে করে পুনরায় ধর্ষণের জন্য অন্য জায়গায় নেয়ার পথে কৌশলে মুখ খুলে চিৎকার দিলে স্থানীয়রা মোটরসাইকেল নিয়ে এসে ইজিবাইকটির পথরোধ করে। এ সময় ইজিবাইকে থাকা আসামিরা দ্রুত পালিয়ে গেলে গৃহবধূকে উদ্ধার করে স্থানীয়রা। রাতে শিবচর থানায় ভুক্তভোগী বাদী হয়ে ধর্ষণে সহযোগিতাকারী এক নারীসহ পাঁঁচজনের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা করেন।

পুলিশ জানায়, প্রবাসীর স্ত্রী আখি আক্তার উপজেলার রাজারচর মোল্যাকান্দি এলাকার ভুক্তভোগী ওই নারীর পূর্ব পরিচিত। আখির বিরুদ্ধে দেহ ব্যবসার অভিযোগ রয়েছে। তিনি শিবচর পৌর এলাকায় বসবাস করার সময় তিন মাস আগে ভুক্তভোগী ওই নারীকে দেহ ব্যবসার প্রস্তাব দেন। এ ঘটনা জানতে পেরে ভুক্তভোগী নারীর পরিবারের সদস্যরা আখিকে বেদম মারধর করেন। এরপর আখি স্থান ত্যাগ করে বাখরেরকান্দি প্রজেক্টের মধ্যে বাসা ভাড়া নেন।

সেখানে তিন সুবল মণ্ডল ওরফে সুমন মোল্লার সঙ্গে থাকতেন। শনিবার সন্তানের জন্য দুধ কেনার টাকা হাওলাদ আনতে ভুক্তভোগী ওই নারী পাঁচ্চর সোনারবাংলা প্লাজার কাছে তার ফুফাতো ভাইয়ের কাছে যান। পূর্ব শত্রুতার জের ধরে দুপুরে আখি ও তার সহযোগীরা জোর করে তাকে একটি ইজিবাইকে উঠিয়ে বাখরেরকান্দি প্রজেক্টের মধ্যে একটি পরিত্যক্ত ঘরে নিয়ে আটকে রাখেন। সেখানে নিয়ে প্রথমে তাকে মারধর করে তারা। এরপর সোহেল, এসকান ও সুবল মণ্ডল নামের তিন ব্যক্তি তাকে একাধিকবার ধর্ষণ করেন।

রাতে ধর্ষণের শিকার ওই গৃহবধূ বাদী হয়ে শিবচর থানায় আখি আক্তার (২৫), সুবল মণ্ডল ওরফে সুমন মোল্যা (৩২), সোহেল (৩৫), এসকান (৩৭) ও অটোরিকশা চালক সোহাগ হাওলাদারের (৩৫) নামে একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন।

শিবচর থানার তদন্ত কর্মকর্তা মো. আমির হোসেন সেরনিয়াবাত বলেন, মেডিকেল পরীক্ষার জন্য ভুক্তভোগীকে মাদারীপুর সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

শিবচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিরাজ হোসেন বলেন, ‘মামলা দায়েরের পরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে প্রধান আসামিসহ দুইজনকে গ্রেফতার করেছে। প্রাথমিকভাবে দলবেঁধে ধর্ষণের সত্যতা পাওয়া গেছে। বাকি আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।’

তিনি আরও জানান, আখি মূলত দেহ ব্যবসায়ী। পূর্ব শত্রুতার জেরে আখিই এই ঘটনাটি ঘটিয়েছেন।

ad

পাঠকের মতামত