349791

পদ্মা সেতুর পিলারে স্মৃতি লিখে রাখছেন বহু মানুষ

পদ্মাসেতুর সবশেষ ৪১তম স্প্যান বসানোর মাধ্যমে দৃশ্যমান হয়েছে পুরো ৬.১৫ কিলোমিটার। বৃহস্পতিবার (১০ ডিসেম্বর) সকালে সবশেষ স্প্যানটি বসানো হয়। এর মাধ্যমে সংযোগ পেয়েছে পদ্মার দুই পার। হতে পারে এটিই দেশের সবর্শেষ সবচেয়ে বড় সেতু। আর নিজস্ব অর্থায়নে সেতু হওয়ায় দেশের কোটি মানুষের আবেগ জড়িয়ে আছে এই সেতুর সঙ্গে।

এরইমধ্যে পদ্মা সেতুর পুরো রূপ দেখতে মুন্সিগঞ্জের মাওয়া প্রান্তে ভিড় করছেন দর্শনার্থীরা। পদ্মার বুকে দৃশ্যমান পুরো সেতু দেখতে দূর-দূরান্ত থেকে আসছেন নানা বয়সী মানুষ। সেতুর সংযোগ সড়ক, রেল প্রকল্প ও ঢাকা-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়েতেও পরিবার নিয়ে ঘুরে বেড়িয়েছেন অনেকেই। ছোট ছোট দলে অনেকে নৌকা নিয়ে নদীর মাঝে গিয়ে দেখছেন সেতুর রূপ।

কিন্তু ঘটনার এখানেই শেষ নয়। সেতুর কাজ সম্পূর্ণ শেষ হওয়ার আগেই কেউ কেউ সেখানে গিয়ে পিকনিকের আদলে রান্না করে খাওয়া-দাওয়া করেছেন। কেউ কেউ আবার পদ্মার চরে থাকা পিলারগুলোতে লিখে রাখছেন স্মৃতি। কেউ বা করছেন অহেতুক আঁকাআঁকি। যা নষ্ট করছে সেতুর সৌন্দর্যকে। কিন্তু পদ্মাসেতুর পিলারের গায়ে লেখালেখি বা আঁকিআঁকি করা আগে থেকেই নিষেধ ছিল।

কিন্তু এ নিষেধাজ্ঞার তোয়াক্কা করছেন না কেউ। পদ্মার নির্মল পরিবেশে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে থাকা সেতুর সৌন্দর্য দেখতে গিয়ে উল্টো তা নষ্ট করছেন সেতু এলাকায় ঘুরতে যাওয়া লোকজন।

সেতু সংশ্লিষ্টরা জানান, একদল মানুষ সেতুর সৌন্দর্য নষ্ট করছেন। যেটা আমাদের মর্মাহত করে। তবে সেতুর নির্মাণকাজ শেষ হলে তখন এসব থাকবে না। এছাড়া, চরের অংশে থাকা পিলারে যাতে কেউ লেখালেখি না করে সেজন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান।

ad

পাঠকের মতামত