348790

রাজশাহীতে বিক্রি হচ্ছে পেটের সন্তান!

রাজশাহীতে গর্ভের সন্তান বিক্রির অভিযোগ পাওয়া গেছে। ভূমিষ্ঠ না হতেই এরই মধ্যে পেটের শিশুকে বিক্রি করে দেওয়া হচ্ছে।

জানা গেছে, গত কয়েকদিন আগে সিমা ভদ্রা এলাকায় শ্যামলী নামের আরেক নারী তার ৫ মাসের এক শিশুকে বিক্রি করে মাত্র ১২ হাজার টাকায়। ওই শিশুকে কিনে নেয় ঢাকার এক গার্মেন্টস কর্মী। বিক্রির পর থেকে শিশুর সেই মা শ্যামলীকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। ফলে শিশুকে কিনে বিপদে পড়েছে ওই নিঃসন্তান দম্পতি। ক্রয়কৃত শিশু আদৌ শ্যামলীর, নাকি চুরি করা তা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে।

এদিকে রাজশাহীতে যারা সন্তান ধারণ করে গর্ভে বা জন্ম দিয়ে বিক্রি করছে তারা নগরে ভ্রাম্যমাণ পতিতা হিবেসে কাজ করে। রাজশাহীতে এই সিন্ডিকেটে বেশ কয়েকজন রয়েছে। যাদের মধ্যে কয়েকজনের বয়স ১৮ বছরের নিচে। আর বিক্রি হয়ে যাওয়া শিশুদের শেষ পরিণতি কী হচ্ছে তা কেউই খবর রাখছে না বা এর কোন হিসেবও কারো কাছে নেই।

গত শনিবার দুপুরে রাজশাহী স্টেশন এলাকায় সন্তানসম্ভবা কিশোরীর সাথে কথা হলে সে জানায়, তার বাড়ি বরিশাল। শিশুকালে তার এই শহরে পা পড়ে। নিজের বাবা-মা সম্পর্কে তার জানা নেই। তার মতো আরো অনেক কিশোরী ও নারী রাজশাহী স্টেশনের পশ্চিমে অবস্থিত প্রাইমারি স্কুলের পেছনে কথিত সংসার পেতে বসেছে। কে তার গর্ভের শিশুর বাবা তা সে জানে না। এই সন্তানের দায়িত্ব সে নিতে পারবে না। তাই গর্ভে থাকতেই তার সন্তানকে বিক্রি করে দিয়েছে।

রাজশাহী রেলওয়ে থানার পুলিশ বিকেলে তাদের বিরুদ্ধে অপহারণ মামলা দিয়ে চিফ মেট্রোপলিটন আদালতে হাজির করে। আদালত তাদেরকে জেলহাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেয় এবং শিশুকে ছোটমনি নিবাসে প্রেরণ করে। গ্রেপ্তারের আগে জান্নাতি ও তার স্বামীর সাথে কথা হলে তারা জানান, ১২ বছরের সংসারে তাদের কোন সন্তান নেই। তাই তারা ঠিক করেন অনাথ কোনো শিশুকে দত্তক নেয়ার। গত ১০ থেকে ১২ দিন আগে জান্নাত রাজশাহীতে ছোটবনগ্রাম এলাকায় তার বোনের বাড়িতে বেড়াতে আসে। এর মাঝে শুক্রবার রাতে ভদ্রা রেল বস্তিতে বসবাসকারী তার খালা রোকেয়া তাকে জানান, একটা শিশু পাওয়া গেছে। জান্নাত দ্রুত ভদ্রায় পৌছায় এবং শিশুকে ১২ হাজার টাকায় কিনে নেয়।

রাজশাহী রেলওয়ে থানার ওসি মোহাম্মদ শাহ কামাল জানান, গ্রেপ্তারকৃতরা যে শিশুকে কিনেছে তা আসলে কার কাছ থেকে তা তারা বলতে পারেনি। অর্থাৎ শিশুর প্রকৃত মা কে তারা জানাতে বা দেখাতে পারেনি। এ কারণে তাদের বিরুদ্ধে শিশু অপহরণ মামলা দেয়া হয়েছে। আদালত তাদের জেলহাজতে প্রেরণ করেছেন, আর শিশুকে ছোটমনি নিবাসে প্রেরণ করেছেন।

সূত্র: বিডি২৪লাইভ

ad

পাঠকের মতামত