348460

ম্যারাডোনার স্মৃতিতে দুই বোন হলেন ‘ম্যারা ডোনা’

ফুটবল জাদুকর ম্যারাডোনার বিদায়ে কাঁদছে বিশ্ব। শোকে স্তব্ধ ফুটবলপ্রেমীরা। মাঠের দ্যুতি ছড়ানো এই নক্ষত্রকে হারিয়ে বাকরুদ্ধ ভক্ত-সমর্থকরা। কিন্তু চলে যাওয়া মানেই তো প্রস্থান নয়। তাই হয়তো প্রিয় তারকার স্মৃতি ধরে রাখতে ভক্তদের নানা আয়োজন। স্মৃতির মানসপটে ম্যারাডোনাকে ধরে রাখার কতশত প্রচেষ্টা। ম্যারাডোনার বেলায় এটাই হয়তো স্বাভাবিক। কেননা তিনি যে ফুটবল ঈশ্বর। ফুটবলের রাজপুত্র, কিংবদন্তি।

আর্জেন্টাইন এ কিংবদন্তি হয়তো দীর্ঘকাল মানুষের মনে থাকবেন। তবুও ম্যারাডোনার স্মৃতি বাঁচিয়ে রাখতে সমর্থকদের ভিন্নধর্মী আয়োজন অবাক করার মতোই। আর্জেন্টিনার বুয়েন্স আয়ার্সের এক পরিবারে দেখা গেল তারই নিদর্শন। ম্যারাডোনার অন্ধ ভক্ত বুয়েন্স আয়োর্সের এক বাবা তার দুই যমজ কন্যার নাম রাখলেন ম্যারাডোনার নামে। ম্যারাডোনার মৃত্যুর পর নয় বছরের দুই শিশুকন্যাকে এই কিংবদন্তির নামে ডাকা শুরু করেছেন তিনি।

ম্যারাডোনা নামকে দুই ভাগে ভাগ করে একজনের নাম রেখেছেন ম্যারা আর অন্যজনের নাম দিয়েছেন ডোনা। শুধু তাই না ‘ম্যারা’ এবং ‘ডোনা’ দুই নামে দুটি জার্সিও তৈরি করে দিয়েছেন তাদের। আর তাদের জার্সি নম্বরও ১০।

তবে যমজ মেয়েদের নামকরণটা হঠাৎ করেই রাখা বিষয়টি এমন নয়। বাবা ওয়ালটার জানান, ১৯৯০’র বিশ্বকাপে ম্যারাডোনার খেলা দেখে আমি তার ভক্ত হয়ে যাই। ফাইনালে পশ্চিম জার্মানির কাছে হেরে যাওয়ার পর তার কান্না দেখেছি। ওই বিশ্বকাপের পর আমার স্ত্রী স্টেলা ম্যারিসের সঙ্গে প্রথম সাক্ষাতে আমরা ঠিক করে রেখেছিলাম ম্যারাডোনার নামে নাম রাখব আমাদের সন্তানদের।

এই দুই যমজ কন্যার মধ্যে ‘ম্যারা’ বয়সে এক মিনিটের বড়। তাই নামের প্রথম অংশ তাকেই দেওয়া হয়েছে। ফুটবল ঈশ্বর ম্যারাডোনা সম্পর্কে ম্যারা জানায়, নতুন নামে আমি অনেক আনন্দিত। এটা জেনে ভালো লাগছে যে, এই নামে বিখ্যাত এক কিংবদন্তি ফুটবলার ছিলেন। যিনি বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয় ছিলেন। ছোট বোন ডোনা জানায়, ম্যারাডোনার মৃত্যুর খবর শুনেছি। এটা খুবই দুঃখের বিষয়। তিনি খুব ভালো ফুটবলার ছিলেন শুনেছি। আমার বিশ্বাস হয় না, তিনি আর আমাদের মাঝে নেই।

ad

পাঠকের মতামত