347285

এবার আজারবাইজানে তুরস্কের সেনা মোতায়েন করছেন প্রেসিডেন্ট এরদোগান

নাগার্নো-কারাবাখ নিয়ে আর্মেনিয়ার সাথে যুদ্ধের পর এবার আজারবাইজানে শান্তিরক্ষী হিসেবে তুরস্কের সেনা মোতায়েন করতে যাচ্ছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়েব এরদোগান। দেশটিতে তুরস্কের সেনা মোতায়েন করতে অনুমোদন চেয়ে দেশটির পার্লামেন্টে একটি প্রস্তাব জমা দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট এরদোগান। সোমবার দেশটির পার্লামেন্টে প্রেসিডেন্ট এরদোগানের পক্ষে এই প্রস্তাব জমা দেয়া হয়।

আর্মেনিয়া ও আজারবাইজানের মধ্যকার সংঘাতে তুরস্ক সরাসরি আজারবাইজানকে সমর্থন করে আসছে। এর অংশ হিসেবেই আজারবাইজানের ভূখণ্ডে শান্তি প্রতিষ্ঠায় প্রেসিডেন্ট এরদোগান সেনা মোতায়েন করতে যাচ্ছেন বলে মনে করা হচ্ছে।

তুরস্কের পার্লামেন্টে দেয়া ওই প্রস্তাবে বলা হয়, আজারবাইজানে শান্তি প্রতিষ্ঠায় সেনা মোতায়েনের মধ্য দিয়ে সেখানে শান্তি ও নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে। এর মধ্য দিয়ে তুরস্কের জাতীয় স্বার্থও সুরক্ষিত হবে। আপাতত এক বছরের জন্য তুরস্কের শান্তিরক্ষী বাহিনী আজারবাইজানে মোতায়েন করার কথা ভাবছে আঙ্কারা।

এদিকে আজারবাইজানে তুর্কি শান্তিরক্ষী মোতায়েন প্রস্তাবনা নিয়ে মঙ্গলবার পার্লামেন্টে ভোটাভুটি হবে বলে জানিয়েছে তুর্কি গণমাধ্যম ইয়েনি শাফাক।

এদিকে আজারবাইজানে তুরস্কের সেনা মোতায়েনের পরিকল্পনার বিষয়ে মতামত জানিয়েছে রাশিয়া। মস্কো বলছে, তুর্কি সেনারা আজারবাইজানের অভ্যন্তরে থেকে কার্যক্রম চালাবে এবং তারা নাগার্নো-কারাবাখ এলাকায় ঢুকবে না।

এর আগে যুদ্ধবিরতির চেষ্টা কয়েক দফা ব্যর্থ হওয়ার পর সম্প্রতি আজারবাইজান ও আর্মেনিয়ার মধ্যে শান্তিচুক্তির মাধ্যমে কার্যকর যুদ্ধবিরতি প্রতিষ্ঠায় ভূমিকা রাখে রাশিয়া। এরপরই বিরোধপূর্ণ নাগার্নো-কারাবাখ এলাকায় শান্তিরক্ষী সেনা মোতায়েন করে মস্কো।

আন্তর্জাতিক ভাবে নাগার্নো-কারাবাখ আজারবাইজানের এলাকা। কিন্তু দীর্ঘ দিন ধরেই আর্মেনিয়ার মদতে সেখানে স্বাধীন প্রশাসন চালিয়ে আসছিল এথনিক আর্মেনিয়ানদের বিচ্ছিন্নতাবাদী সন্ত্রাসী একটি গোষ্ঠী। বিচ্ছিন্নতাবাদী সেই গোষ্ঠী নিজেদের আজারবাইজানের অংশ হিসেবে দেখতে চায় না। দীর্ঘ দিন ধরেই এই বিষয়টি নিয়ে আজারবাইজানের সঙ্গে আর্মেনিয়ার বিরোধ। গত দেড় মাসে যা চূড়ান্ত জায়গায় পৌঁছানোর পরই সেখানে সামরিক অভিযান শুরু করে আজারবাইজান। সূত্র : ডেইলি সাবাহ ও ইয়েনি শাফাক

ad

পাঠকের মতামত