
ধূমপায়ী উন ধূমপান নিষিদ্ধে আইন করলেন
আন্তর্জাতিক ডেস্ক || জনসমাগমপূর্ণ স্থানে ধূমপান নিষিদ্ধে সম্প্রতি একটি আইন করেছে উত্তর কোরিয়া। অথচ দেশটির শীর্ষনেতা কিম জং উন নিজেই প্রকাশ্যে ধূমপান করেন। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠেছে আইন দিয়ে ধূমপায়ীদের সংখ্যা কমিয়ে আনতে পারবে উত্তর কোরিয়া?
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, উত্তর কোরিয়ার পুরুষদের অর্ধেকই ধূমপায়ী। দেশটিতে ধূমপানবিরোধী বহু কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। তবুও ধূমপায়ীদের সংখ্যা খুব একটা কমেনি। দেশটিতে পুরুষরা ধূমপান করলেও সাংস্কৃতিক কারণে নারীরা এর থেকে দূরে থাকেন।
চলতি মাসের প্রথম দিকে জনসমাগমপূর্ণ স্থানে ধূমপান নিষিদ্ধে একটি আইন প্রণয়ন করে উত্তর কোরিয়া।
এতে বলা হয়েছে, সিগারেটের উৎপাদন, বিক্রি ও ধুমপানের আইনি ও সামাজিক নিয়ন্ত্রণে রাষ্ট্রীয়ভাবে তামাক নিষিদ্ধকরণ নীতি’কে শক্তিশালী করবে এই আইন।
আইনটিতে ‘রাজনৈতিক ও আদর্শিক শিক্ষা’ দেওয়ার স্থান, নাট্যকেন্দ্র ও সিনেমা, শিক্ষাকেন্দ্র, সরকারি স্বাস্থ্যকেন্দ্র ও গণপরিবহনে ধূমপান নিষিদ্ধ করা হয়েছে। আইন অমান্যকারীকে শাস্তির হুমকি দেওয়া হলেও সেই শাস্তি কী হবে তা জানায়নি উত্তর কোরিয়ার সরকারি সংবাদমাধ্যম।
অবশ্য উত্তর কোরিয়ার শীর্ষনেতা কিম জং উন অনেক বেশি মাত্রার ধূমপায়ী। শিশুদের সঙ্গে সাক্ষাতই হোক আর ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা পর্যবেক্ষণই হোক-অধিকাংশ সময়ই তার হাতে সিগারেট দেখা গেছে।
২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে ট্রেনে করে ভিয়েতনাম যাওয়ার উনের একটি ভিডিও ফুটেজ প্রকাশিত হয়। এতে দেখা গেছে উনের হাতে জ্বলন্ত সিগারেট এবং তার বোন কিম ইয়ো জং অ্যাশট্রে ধরে আছেন।
উত্তর কোরিয়ায় কর্মরত যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক এনজিও করিনা কানেক্টের পরিচালক জেমন বেনফিল উত্তর কোরিয়ার নতুন আইন প্রসঙ্গে বলেন, ‘ধূমপানবিরোধী প্রচারণা সম্ভবত কিছু নির্দিষ্ট স্থানে ধূমপান কমিয়ে আনার জন্য। অন্যথায় স্রেফ ইচ্ছাশক্তি ছাড়া উত্তর কোরিয়ায় ধূমপান বন্ধে খুব বেশি প্রক্রিয়া নেই।’