346673

মৃ’ত্যুর আগে যে হৃ’দয়বিদারক কথা বলে গিয়েছিল নুর নাহার

টাঙ্গাইলের বাসাইলে বিয়ের ৩৪ দিনের মা’থায় স্বামীর বর্বর যৌ’নসঙ্গমে মা’রা যাওয়া ১৪ বছরের কি’শোরী নুর নাহার মৃ’ত্যুর আগ মুহূর্তে তার নানাকে জড়িয়ে ধরে কিছু হৃদয়বিদারক কথা বলেছিল। বিলাপের স্বরে নুর নাহারের সেই কথাগুলো বলতে বলতে অ’জ্ঞান হয়ে পড়েন নানা লাল খান। তিনি বলেন, নানা ও (স্বামী) মানুষ না জানোয়ার, আমি (ছা’ত্রী) কত হাতে পায়ে ধরেছি, সহ্য করতে পারছি না, তাও ও (স্বামী) আমা’রে ছাড়ে নাই। র’ক্ত পড়তাছে, যন্ত্র’ণায় কুকাইতাছি, দম বন্ধ হয়ে আসছে, আমা’রে বাঁচতে দেন, তাও ও (স্বামী) আমা’রে ছাড়ে নাই। ও (স্বামী রাজিব) বলে প্রথম দিকে এ রকম সমস্যা হয়ই, কয়েকদিন পর ঠিক সয়ে যাবে, এমনটাই বলতে বলতে মৃ’ত্যুর কোলে ঢলে পড়ে।

তিনি আরো বলেন, আমা’র মে’য়ের জামাইর অভাবের কারণে নুর নাহারকে ছোটবেলাতেই আমা’র বাড়িতে নিয়ে আসি। দিনমজুরি করেই তাকে লেখাপড়া করাচ্ছিলাম। ছে’লে প্রবাসী ও ধনী হওয়ায় আম’রা নুর নাহারকে বিয়ে দেই। বিয়ের কয়েকদিন পর থেকে তার র’ক্তক্ষরণ শুরু হয়। এজন্য নুর নাহারের শাশুড়ি তাকে গ্রাম্য কবিরাজের ওষুধ খাওয়াচ্ছিল। পরে র’ক্তক্ষরণ বেশি হলে হাসপাতা’লে ভর্তি করা হয়।

লালা খান বলেন, অ’প্রাপ্ত বয়সে বিয়ের কারণে নুর নাহারের গো’পনা’ঙ্গ দিয়ে র’ক্তক্ষরণ হয়েছে বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন। শেষ পর্যন্ত আম’রা তাকে আর বাঁ’চাতে পারলাম না। মৃ’ত্যুর পর নুর নাহারের স্বামী রাজিব তার ম’রদেহ পর্যন্ত দেখতে আসেনি। মূলত স্বামীর কারণেই আমা’র নাতনির মৃ’ত্যু হয়েছে।

নুর নাহারের স্বামী রাজিব বলেন, বিয়ের পর তার সঙ্গে পাঁচ ছয়দিন মেলামেশা হয়েছে। সে বলছে তার ক’ষ্ট হয়, ব্যথার কথা জানান এবং র’ক্তক্ষরণ দেখা দেয়। বিষয়টি দুই পক্ষের অ’ভিভাবকদেরও জানানো হয়। নুর নাহারের শাশুড়ি বিলকিস বেগম বলেন, আমি মনে করছি ভূত-প্রেতের আছর করতে পারে। তাই কবিরাজ দিয়ে তাবিজ এনে পরিয়েছি। তাতেও কোন উন্নতি না হওয়ায় টাঙ্গাইল সদরে একটি ক্লিনিকে নিয়ে যাই।

নুর নাহারের বাবা বলেন, রাজিবের বাবাকে কয়েক দফা ফোন দিয়েছি। তিনি বলছেন, আপনারা চিকিৎসা করান, আমি গিয়ে কি করবো।

আর ক্লিনিকে নুর নাহারকে তার পরিবারের কাছে বুঝিয়ে দিয়ে স্বামী রাজিব কৌশলে সেখান থেকে কে’টে পড়ে। এর আগে গত রোববার ভোরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতা’লে চিকিৎসাধীন অবস্থায় নুর নাহারের মৃ’ত্যু হয়।

ad

পাঠকের মতামত