বাসযোগ্যতা হারাচ্ছে দিল্লি
ধীরে ধীরে বাসযোগ্যতা হারাচ্ছে ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লি। শীত আসার আগেই ধোঁয়াশায় রাস্তায় চলাচল করা মুশকিল। হেডলাইট জ্বালিয়েও দেখা যাচ্ছে না কোনোকিছু।
বেলা বাড়লেও দেখা নেই সূর্যের। ধোঁয়ার ভারী চাদরে ঢাকা পড়েছে দিল্লি। বায়ুদূষণ এমনই ভয়াবহ রূপ ধারণ করছে যে, মাত্র কয়েক হাত দূরের বস্তুও দেখা যায় না।
শ্বাসকষ্টে ভোগা মানুষের জন্য রীতিমতো মৃত্যুঝুঁকি সৃষ্টি করছে এ দূষণ। এক জরিপে দেখা গেছে, দিল্লির শতকরা ৭৩ ভাগ পরিবারের এক বা একাধিক সদস্য সর্দি, কাশি, অ্যাজমা, ফুসফুসের রোগসহ নানা বায়ুদূষণজনিত রোগে ভুগছে।
স্থানীয় এক বাসিন্দা জানান, নিঃশ্বাস নিতে খুবই কষ্ট হয়। আগে বাইরে বের হতাম কম। দরজা-জানালা সব আটকে রাখতাম। কিন্তু আবদ্ধ ঘরে নাকি ক্ষতি আরও বেশি। খুবই অস্বাস্থ্যকর এখানকার বাতাস।
দীপাবলীতে আঁতশবাজি কেনাবেচা বন্ধ করায় দূষণ কতটা কমবে, তাতে সন্দেহ রয়েছে। পটকা বিক্রি বন্ধ করতে হলে আগেই সেটার সিদ্ধান্ত নিয়ে উৎপাদন বন্ধ করতে হতো। লাইসেন্স বাতিল করে দিলে তাতে ব্যবসায়ীদের ক্ষতি কমত।
এদিকে শীত আসার আগেই পরিস্থিতি খারাপ হতে থাকায় নতুন করে নানা পদক্ষেপ নিতে শুরু করেছে রাজ্যসরকার। গত ছয় দিন ধরে বাতাসের মান আশঙ্কাজনক হারে কমতে থাকায় জরুরি স্বাস্থ্য সতর্কতা জারি করেছে দেশটির স্বাস্থ্য বিভাগ।